‘বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ১৭৩ দেশে কর্মী পাঠানো হয়েছে’

‘বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত সারা বিশ্বের ১৭৩টি দেশে কর্মী পাঠানো হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, এসব দেশে প্রফেশনাল, দক্ষ, আধাদক্ষ এবং সর্বদক্ষ এই চারটি ক্যাটাগরিতে কাজ করছে বাংলাদেশি কর্মীরা।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন ১৪৬ নম্বর প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বাজেটে প্রধানমন্ত্রী রেমিটেন্সের ওপর যুগান্তকারী দুই ভাগ প্রণোদনা সুবিধা দিয়েছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মোট রেমিন্টেন্স প্রবাহ হয়েছে ৪ হাজার ৫১০ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময় রেমিটেন্স ছিল ৩ হাজার ৮৬৮ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ডলারের হিসেবে রেমিটেন্স প্রবাহ ১৬ দশমিক ৩১৭ ভাগ বেড়েছে।

তিনি জানান, ‘অভিবাসী কর্মীদের সুরাক্ষার জন্য আইন ২০১৩ প্রণয়ন ও সেবা প্রদানের জন্য ২৯টি শ্রম কল্যাণ উইং প্রতিষ্ঠা, অভিবাসন কর্মী ঝুঁকির প্রেক্ষিতে বীমা পরিকর ও নীতিমালা প্রণয়ণ, নারী কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ৬টি সেফ হোম প্রতিষ্ঠা, নারী কর্মীদের যেকোনো সমস্যা সর্ম্পকে অবহিতকরণ ও প্রতিকার পাওয়ার জন্য বিএমএটিতে নারীকর্মীর অভিযোগ ব্যবস্থাপনা সেল গঠন করা হয়ছে।’

বিদেশে বিভিন্ন সমস্যা অবহিতকরণ ও প্রতিকারের জন্য প্রবাসবন্ধু কল সেন্টার চালু করা এবং শ্রম উইংয়ের মাধ্যমে প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের সার্বিক কল্যাণসহ বিশেষ ক্ষেত্রে আইনজীবী নিয়োগের মাধ্যমে আইনগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ইমরান আহমদ বলেন, যারা প্রবাসী তাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বৃত্তির টাকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রবাসী কর্মীর সন্তানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে সহায়তা করা হচ্ছে, অভিবাসী বাংলাদেশি ও অনিবন্ধিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ডাটাবেইজের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অভিবাসী কর্মীদের শ্রম অভিবাসন পরিক্রমার ৪টি স্তর অর্থাৎ প্রাকবহির্গমনকাল, বহির্গমনকাল, গন্তব্য দেশে অবস্থানকাল এবং দেশে প্রত্যাবর্তনকালকে বিবেচনায় নিয়ে পুনঃএকত্রীকরণ কার্যক্রম কার্যক্রম গ্রহণ করা হযেছে।’

ওডি/টিএএফ