অধিকার ডেস্ক
কোনো প্রকার ক্ষতিপূরণ ছাড়াই দেশে ফিরে আসছেন সৌদি আরবে নিয়োগকর্তার নির্যাতনের শিকার হওয়া বাংলাদেশি নারী সুমি আক্তার। রবিবার (১০ নভেম্বর) জেদ্দা প্রদেশের নাজরান শহরে অবস্থিত শ্রম আদালত এক শুনানি শেষে তাকে দেশে ফেরার অনুমতি দেন।
কয়েকদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে নিজের ওপর নিয়োগকর্তার নির্যাতনের কথা প্রকাশ করেন সুমি। ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হলে দূতাবাসের সহযোগিতায় সৌদি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এরপর সুমিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
তবে সুমির নিয়োগকর্তা তাকে ফেরত নিতে ২২ হাজার রিয়েল (৫ লাখ টাকা) ক্ষতিপূরণ দাবি করলে সৃষ্টি হয় জটিলতা। পরে জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল শ্রম আদালতে এ বিষয়ে একটি শুনানির আবেদন করে। শুনানিতে আদালত নিয়োগকর্তার দাবি করা অর্থ নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে সুমিকে ফাইনাল এক্সিট দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রবাসী কল্যাণ বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সুমির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) তাকে উদ্ধার করতে জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কাছে চিঠি পাঠায়। উদ্ধারের পর দেশটির পুলিশের হেফাজতে একটি সেফহোমে রাখা হয় তাকে। তবে সুমির নিয়োগকর্তা তাকে দেশত্যাগের অনুমতি না দেওয়ায় আইনি জটিলতায় আটকে যায় তার দেশে ফেরা।
শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে সব সমস্যা দূরে হলো। সুমির দেশে ফেরার ক্ষেত্রে এখন আর কোনো বাধা নেই। আইনি জটিলতা কেটে যাওয়ায় জেদ্দা কনস্যুলেট ইতোমধ্যে একটি চিঠি ইস্যু করেছে। শ্রম আদালতের আদেশের পর তাৎক্ষণিকভাবে সুমি আক্তারকে তার বর্তমান কফিল ‘ফাইনাল এক্সিট’ দিয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে ওই চিঠিতে। সুমি আক্তারকে জেদ্দার কনস্যুলেটের প্রচেষ্টায় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের অর্থায়নে বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।
সুমি আক্তার আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি কাজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যান।
ওডি/এসসা
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড