বাতিল হচ্ছে না এসএসসির কোনো পরীক্ষা

শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে সদ্যসমাপ্ত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায়। তবে কোনো পরীক্ষা বাতিল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

শিক্ষামন্ত্রী তিনি বলেন, মুষ্টিমেয় কয়েকজন শিক্ষার্থীর কারণে পরীক্ষা বাতিল করা হবে না। তবে ভবিষ্যতে সবাইকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার (০৩ মে) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসে গঠিত যাচাই-বাছাই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন ও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার নিরাপত্তাসংক্রান্ত সভায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

সম্প্রতি প্রশ্নফাঁস সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সদ্যসমাপ্ত হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। শুধু ‘খ’ সেট বা নৈর্ব্যক্তিক ৩০ নম্বরের অংশ ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এতে সুবিধা নিয়েছে পাঁচ হাজারের মতো শিক্ষার্থী। তবে মাদরাসা বোর্ডের কোনো প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং সুবিধা নেওয়া পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে ফলাফল বাতিলসহ ব্যবস্থা, প্রশ্ন ফাঁসকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, বিকাশ-রকেটসহ বিভিন্ন ব্যাংকিং মাধ্যমে লেনদেনকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে সন্দেহজনক মোবাইল নম্বরগুলো চিহ্নিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদন মূল্যায়ন করে নাহিদ বলেন, মাত্র পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ২০ লাখ শিক্ষার্থীকে ভোগান্তিতে ফেলা ঠিক হবে না। এ কারণে কোনো পরীক্ষা বাতিল করা হবে না। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কোনোভাবেই প্রশ্ন ফাঁস না হয়।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করা চ্যালেঞ্জ ছিল। সবার সহযোগিতার কারণে এখন পর্যন্ত এইচএসসিতে কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। অনেকে বিচার-বিশ্লেষণ না করেই ঢালাওভাবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অপরাধী বানিয়েছেন। এটি আমাদের জন্য অবিচার করা হয়েছে।

সভায় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, পুলিশ, র‌্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।