অধিকার ডেস্ক
ভোর হতেই ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ উপকূল অতিক্রম করে বাংলাদেশের স্থলভাগে আঘাত হেনেছে। ভোর পাঁচটায় সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম করে ঝড়টি আঘাত হানে সাতক্ষীরায়।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় কয়েকটি জেলায় কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সাতক্ষীরার কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। জলোচ্ছ্বাসের কারণে বেশ কয়েকটি জেলার উপকূলীয় বাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে পানি মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানার আগেই ১৮ লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।
রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোর ৩টা থেকে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে সাতক্ষীরায় বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। এছাড়া উপকূলীয় শ্যামনগর এলাকায় কয়েক হাজার গাছগাছালি উপড়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রভাগ ভোর পাঁচটার দিকে সুন্দরবন অঞ্চল দিকে বাংলাদেশের খুলনা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে। এরপর এটি ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ছে।
সিডরের মতো বুলবুলের হাত থেকে এবারও বাংলাদেশকে বাঁচাল সুন্দরবন। প্রবেশের সময় ঘূর্ণিঝড়ের একপাশে ছিল পশ্চিমবঙ্গ, আর সুন্দরবন ছিল তিন পাশে। সুন্দরবন অতিক্রম করতে ঘূর্ণিঝড়ের দীর্ঘসময় লাগে ও গতি কমে আসে। ফলে পূর্ণ শক্তি নিয়ে বুলবুল বাংলাদেশের স্থলভাগে আঘাত করতে পারেনি।
উপকূলীয় দ্বীপ ইউনিয়ন, গাবুরা ও পদ্মপুকুরের ৮০ শতাংশ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টির পানিতে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।
ওডি/এসএইচএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড