নিজস্ব প্রতিবেদক
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলবাসীকে নিকটস্থ সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ২টার মধ্যে উপকূলবাসীকে নিকটস্থ সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকল্পে পূর্বপ্রস্তুতি, সাড়াদান এবং উদ্ধার কার্যক্রমে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষ সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব এলাকায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ওইসব এলাকায় সর্বোচ্চ ১ কিলোমিটার দূরত্বে আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। সুতরাং আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বেশিক্ষণ সময় লাগবে না। নিজের ও পরিবারের জীবন/সম্পদ রক্ষার জন্য সবাইকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া উচিত।
এ দিকে উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেতের আওতায় থাকবে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগের (বিএমডি বা বাংলাদেশ মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট) বিজ্ঞানীরা বলেছেন, উপকূলের ১৯ জেলায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে। এর মধ্যে ১৩ জেলা বেশি ঝুঁকিতে। ঝড়ের সঙ্গে উপকূলীয় জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আজ সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
ওডি/এআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড