অযথা সড়ক বন্ধ না রাখতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা

মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ চলাকালীন রাজধানীর যানজট নিরসন ও ভোগান্তি এড়াতে অযথা সড়ক বন্ধ না রাখতে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি।

সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের একথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, আমরা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি, যে এলাকায় কাজ শেষ হবে, সেটি যেন সঙ্গে সঙ্গে খালি করে দেওয়া হয়। কাজ শুরু না হলে যেন রাস্তা বন্ধ না হয়। আমরা লক্ষ্য করেছি, তিন থেকে চার মাস পূবেই কিছু কিছু স্থানে বেড়া দিয়ে রাখা, অথচ সেসব স্থানে কাজ এখনো শুরুই হয়নি। তিনি বলেন, কাজ শুরু হওয়ার পর রাস্তা বন্ধ করুক, অযথা যেন রাস্তা বন্ধ না করা হয়।

ঢাকার যানজট নিরসনের পাশাপাশি নগরবাসীর যাতায়াত আরামদায়ক, দ্রুততর ও নির্বিঘ্ন করতে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ২০১২ সালে গৃহীত এই মেট্রোরেল প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক এক কিলোমিটার। এ প্রকল্পে চলাচল করবে মোট ২৪ সেট ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে ছয়টি করে কোচ। এছাড়া ঘণ্টায় ১শ কিলোমিটার বেগে যাত্রী নিয়ে ছুটবে এসব ট্রেন। পাশাপাশি উভয়দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। পুরো প্রকল্পটির মোট ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে প্রকল্প সাহায্য হিসেবে জাইকা ঋণ দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ২০২১ সালে দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

এ দিকে, মন্ত্রী মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, ঢাকা শহরের ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি।

তিনি বলেন, অনেক সময় বাড়িওয়ালাদের কাছে সঠিক ঠিকানা ও তথ্য না থাকায় অপরাধ করেও পার পেয়ে যায় ভাড়াটিয়ারা। কাজেই এটি বন্ধে প্রত্যেক বাড়ির মালিক যেন ভাড়াটিয়াদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়েই বাড়ি ভাড়া দেয়। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর মেট্রো পুলিশকে ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা সিটি করপোরেশনকেও আমরা বিষয়টিতে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেছি।

অনুষ্ঠিত এ সভায় জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বর্তমানে পূর্বের তুলনায় বেশি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সম্পূর্ণরূপে সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কাজেই কমিটি এ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় ইতোমধ্যেই মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্সসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশে মাদক, জঙ্গি ও নারী নির্যাতনবিরোধী গণসচেতনতা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকায় যেন কেউ মাদক বহন করতে না পারে সেই লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত তৎপর রয়েছে।

ওডি/আইএইচএন