ঢাকা প্রতিনিধি
দুইদিন গত হলেও সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের তুরাগ নদীর শাখা খালে সালেপুর ব্রিজে ওঠার পূর্বে গভীর পানিতে নিমজ্জিত হয়ে নিখোঁজ চালক ও ট্যাক্সি ক্যাবের সন্ধান এখনো মেলেনি।
তবে ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশসহ নৌবাহিনীর ১৩ ডুবুরি দলসহ ১৭ সদস্য। এলাকাবাসীর অভিযোগ উদ্ধার কার্যক্রম শিথিল ভাবে চলছে। গত রাতে স্থগিতের পর মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দুপুরের পর থেকে উদ্ধার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় নিখোঁজ চালক ও ট্যাক্সি ক্যাবের পরিচয় উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজ ট্যাক্সি ক্যাবটি হচ্ছে ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের হলুদ রংয়ের ট্যাক্সি ক্যাব ও চালক ছিলেন জিয়াউর রহমান।
উদ্ধার অভিযানে মঙ্গলবার দুপুর থেকে নৌবাহিনীর লেফটেনেন্ট সিরাজুস সালেকিনের নেতৃত্বে সাইট টোনার স্ক্যানার মেশিন (পানির তলদেশে দেখার মতো) দিয়ে সালেপুর এলাকায় ব্রিজের পার্শ্ববর্তী প্রায় এক বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে স্ক্যান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নৌবাহিনীর ডুবুরিসহ ১৭ সদস্য কাজ করছেন।
নৌবাহিনীর চীফ পেডি অফিসার ডুবুরি কবির হোসেন জানান, দুপুর ২টা থেকে নিখোঁজ ট্যাক্সি ক্যাব ও চালকের সন্ধানে সাইট স্ক্যানার টোনার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। নৌবাহিনীর ১৭ দলের প্রতিনিধির মধ্যে ১৩ জন ডুবুরি অভিযানে অংশ নিয়েছেন। যেখানে এমন কিছু দেখা যাবে, সঙ্গে সঙ্গে চিহিৃত করে ডুবুরি নামানো হবে। আপাতত এক বর্গ কিলোমিটার জুড়ে কাজ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন অফিসারের সঙ্গে কথা বলে সংলগ্ন ঝিলের জলাধারে এলাকা বাড়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, আশা করছি দ্রুতই আমরা কোনো ভালো সংবাদ দিতে পারবো। এছাড়া আমাদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসও নিরলস ভাবে কাজ করছে উদ্ধার অভিযানে।
গত শনিবার রাত সোয়া ৮টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজারের সালেপুরে ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের হলুদ ট্যাক্সি ক্যাব ও চালক জিয়াউর রহমানসহ ব্রিজের পাশ দিয়ে খালের গভীর পানিতে নিমজ্জিত হয়। তীব্র স্রোত থাকার কারণে উদ্ধার কার্যক্রমে কিছুটা বেগ পেতে হয় উদ্ধার কর্মীদের।
উল্লেখ্য, একই স্থানে ঢাকা থেকে সাভার মুখী বৈশাখী পরিবহনের একটি বাস নিমজ্জিত হলে দুইদিন পর ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার হয়েছিল। সে সময়ে এ দুর্ঘটনায় ১৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। তখনকার সময়ে উদ্ধারকারীগণ ৮-১০ কিলোমিটার দূরত্বে ব্যর্থ তল্লাশি চালিয়েছিলেন। এখনও অনেকটা তাই করা হচ্ছে। ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি প্রায় দুই সপ্তাহ তদন্ত শেষে দুই পাশ থেকে সাইনবোর্ড ও জঙ্গল সরিয়ে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়নি।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড