• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিজিএমইএ ভবনের দাম ১ কোটি ৭০ লাখ

  অধিকার ডেস্ক    ০২ মে ২০১৯, ০৮:৪৫

হাতিরঝিলে নির্মিত অবৈধ বিজিএমইএ ভবন
হাতিরঝিলে নির্মিত অবৈধ বিজিএমইএ ভবন (ছবি : সংগৃহীত)

রাজধানীর হাতিরঝিলে অবৈধ বিজিএমইএ ভবন ভাঙা ও ব্যবহারযোগ্য মালামাল কেনার জন্য রাজউক যে দরপত্র ডেকেছে তাতে এক কোটি ৭০ লাখ টাকা সর্বোচ্চ দর উঠেছে বলে জানিয়েছেন রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প বাস্তবায়ন) ও হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস।

রায়হানুল ফেরদৌস এ ব্যাপারে আরও জানান, দরপ্রস্তাব জমা দেয়া আগ্রহী পাঁচ প্রতিষ্ঠানের কারোরই ডিনামাইট ব্যবহার করে ভবন ভাঙার অভিজ্ঞতা নেই। ফলে এখন ডিনামাইট ব্যবহার না করে সনাতনী দেশীয় পদ্ধতিতেই (ম্যানুয়ালি) ভবনটি ভাঙার চেষ্টা করা হবে।

নিলাম মূল্যায়ন কমিটি দরপত্রগুলো যাচাই বাছাই করছে জানিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'যাচাই বাছাই শেষে আগামী সপ্তাহে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হবে। কার্যাদেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে পুরো ভবনটি ভাঙতে হবে।'

তিনিও আরও জানান, দুটি বেইজমেন্টসহ ১৫ তলা বিজিএমইএ ভবন ভাঙার পর ব্যবহারযোগ্য মালামাল বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যাবে। তা দিয়েই ভবনটি ভাঙা হবে। ভবন ভাঙার জন্য আলাদা কোনো অর্থ দেওয়া হবে না।

উল্লেখ্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে এবং উন্মুক্ত স্থান ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ ভঙ্গ করে বেগুনবাড়ি খালের একাংশ ভরাট করে গড়ে তোলা হয় বিজিএমইএ ভবন। ২০০৬ সালে সেই নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

জলাশয়ের উপর আড়াআড়িভাবে গড়ে ওঠা এই ভবনকে হাতিরঝিলের প্রকল্পের ‘ক্যান্সার’ আখ্যায়িত করে হাই কোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে ইমারতটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। পরে আপিল বিভাগেও তা বহাল থাকে।

সর্বোচ্চ আদালত বিজিএমইএ ভবন ভাঙার রায় দেওয়ার পর কয়েক দফায় সময় নিয়েছিলেন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা। সবশেষ আদালতের দেওয়া সাত মাস সময়সীমা গত ১২ এপ্রিল শেষ হয়।

এরপর ১৫ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবনের মালামাল সরিয়ে নিতে একদিন সময় বেঁধে দেয় রাজউক। পরে সময় বাড়ানো হয় আরও একদিন। ভবনে থাকা ১৯টি প্রতিষ্ঠান তাদের মালামাল সরিয়ে নিলে বিজিএমএইএ ভবন বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেয় রাজউক।

এরই মধ্যে ভবনটি ভাঙার এবং ব্যবহারযোগ্য মালামাল কিনতে আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। আগ্রহীদের ২৪ এপ্রিল বিকাল ৪টার মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে বলা হয়।

তিন মাসের মধ্যে ভবন ভাঙার শর্ত দিয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বহুতল ভবন ভাঙার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ভাঙার ব্যাপারে ক্রেতাকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

যারা ভবনটি ভেঙে ব্যবহারযোগ্য মালামাল কেনার জন্য সর্বোচ্চ দর প্রস্তাব করবেন তাদের প্রস্তাবই গ্রহণ করা হবে বলে রাজউকের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজিএমইএ তা না করলে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা ছিল রাজউকের প্রতি। সেক্ষেত্রেও রাজউক ভবন ভাঙার টাকা বিজিএমইএর কাছ থেকে আদায় করবে বলে আদেশ দিয়েছিল আদালত।

ওডি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড