• বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯  |   ২৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শীতের আমেজ নেই 

বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ হ্রাস

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:২৬
বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ হ্রাস
বাজারে শীতকালীন সবজির আমেজ নেই (ছবি : সংগৃহীত)

দেখতে দেখতে শেষের দিকে চলে এসেছে শীতের মৌসুম। শুরু হয়েছে নতুন ঋতুর আগমনী বার্তা। ফলে অনেক কিছুরই পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে কাঁচাবাজারে শীত শেষের বার্তা পাওয়া গেছে। আগের তুলনায় রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারের শীতকালীন অনেক সবজিরই সরবরাহও কমেছে।

এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী সপ্তাহ পর সবজির দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, দাম এখনো না বাড়লেও শীতের টাটকা সবজির সরবরাহ কিছুটা কমেছে। সবজির দোকানগুলোতেও কাঁচামালের পদের সংখ্যা ও পরিমাণ কমেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী সপ্তাহ পর সবজির দাম বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আজ শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দিনের শুরুর দিকটা রাজধানীর শাহজাদপুর ও উত্তর বাড্ডাসহ বিভিন্ন বড় কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে শীতের শুরুতে টাটকা সবজিতে ভরপুর থাকলেও এখন এ চিত্রে কিছুটা ভাটা পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে দোকানগুলোতে সবজির পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে।

বিষয়টি নিয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন- চলতি সপ্তাহ থেকে শীতের সবজির উৎপাদন অনেকটা কমেছে। ফলে বাজারে সবজির সরবরাহ ধীরে ধীরে কমে আসছে। আর দুয়েক সপ্তাহ পর বাজারে অনেক শীতের সবজির সংকট দেখা দিতে পারে।

এ দিকে সবজি বাজারের সর্বশেষ খুচরা দাম অনুযায়ী- প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১২০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১২০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, বাঁধাকপি আকার অনুযায়ী ৫০-৪০ টাকা, ফুলকপি আকার অনুযায়ী ৫০-৪০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ১০০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

অপর দিকে প্রতি পিস লাউ ৮০-১০০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচকলা ৪০ টাকা, প্রতি আটি লাল ও পালন শাক ১০-১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

শীতের মৌসুম যত শেষের দিকে যাবে তত সবজির সংকট হবে এবং দামও কিছুটা বাড়তে পারে।

সবজির সরবরাহ নিয়ে শাহজাদপুর কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন বলেন, মোকামে গিয়ে এখন অনেক সবজি পাওয়া যাচ্ছে না, আর পাওয়া গেলেও তা পরিমাণে কম। যেমন গত সপ্তাহ থেকে লাউয়ের একটু সংকট রয়েছে। সে জন্য যে লাউ ৬০ টাকা করে বিক্রি করেছি সেটা এখন ১০০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে।

সবজির সরবরাহ নিয়ে উত্তর বাড্ডা কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতা রাকিব বলেন, শীতের মৌসুম শেষের দিকে এবং এর সঙ্গে শীতের সবজির উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। ফলে বাজারে আগের মতো শীতের সবজির যে একটা সমারোহ ছিল, সেটা কমে আসছে। শীতের মৌসুম যত শেষের দিকে যাবে তত সবজির সংকট হবে এবং দামও কিছুটা বাড়তে পারে।

শীতের শুরুতে সবজির দাম স্থিতিশীল ছিল না বরং বাড়তিই ছিল। এখন শুনছি আগামী সপ্তাহ থেকে নাকি আবার বাড়তে পারে।

এ দিকে শাহজাদপুর কাঁচাবাজারে শুক্রবার সকালে বাজার করতে আসা ক্রেতা মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, সবজির বাজারটা এখন আর শীতের শুরুর মতো টাটকা মনে হচ্ছে না। সবজির পরিমাণ বাজারে অনেক কমে গেছে। বিক্রেতারা এখন থেকে আমাদেরকে বলছে যে আগামী সপ্তাহ থেকে হয়তো কিছু কিছু সবজির দাম বাড়তে পারে।

তিনি আরও বলেন, এমনিতেই শীতের শুরুতে সবজির দাম স্থিতিশীল ছিল না বরং বাড়তিই ছিল। এখন শুনছি আগামী সপ্তাহ থেকে নাকি আবার বাড়তে পারে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড