• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মিরপুরে তিন ভবন লকডাউন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ এপ্রিল ২০২০, ২০:০৪
করোনা
ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের বি ব্লকের একটি বাড়িতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধের (৬৮) মৃত্যুর পর শনিবার (০৪ এপ্রিল) ওই বাড়িসহ তিনটি ছয়তলা ভবন লকডাউন করা হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ওই সব ভবনে জরুরি প্রয়োজনে একজনের বেশি কাউকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে আনতে পারবেন। তা ছাড়া লকডাউনে থাকা ব্যক্তিদের প্রয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

জানা গেছে, মৃত ব্যক্তি অগ্রণী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। অবসরের পর থেকে তিনি তেমন বাড়ি থেকে বের হতেন না। কেবল মসজিদে যেতেন। করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার পর ওই ব্যক্তি মিরপুর-১১ নম্বরের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শপত্র দিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছিলেন।

মৃত ব্যক্তির বড় ছেলে বলেন, বাবার গত ২৬ মার্চ থেকে প্রচুর পরিমাণে হেঁচকি দেখা যায়। তখন তাকে আমরা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তারা বাবাকে দেখে নাপা এবং আরেকটা ঠান্ডার ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেন। তারপর হেঁচকির পরিমাণ বাড়তে থাকলে আমরা তাকে মিরপুরের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। সেখানে তার অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছিল। তখন ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল থেকে বাবার ‘করোনা হয়েছে’ এমন সন্দেহে তারা আমাদের আবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যেতে বলেন।

আরও পড়ুন : ‘আইসোলেশন সেন্টারের’ জন্য প্রস্তুত লঞ্চ

তিনি বলেন, এরপর গত ২ এপ্রিল বাবার শরীরের অবস্থা আরও হতে থাকে। হেঁচকির সাথে জ্বর দেখা দেয়। আমরা তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। কুর্মিটোলার চিকিৎসকরা বাবাকে প্রথমে ভর্তি নিতে চাননি। তবে আমরা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসকের রেফারেন্স দেখালে তারা ভর্তি নেন এবং করোনা টেস্ট করেন। পরদিন ৩ তারিখ শুক্রবার সকালে টেস্টে বাবার করোনা ধরা পড়ে, তবে দুপুরেই তিনি মারা যান।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিবারের কেউ বিদেশেও নেই। তাছাড়া বাবা অবসরের পর সারাদিন বাসায়ই থাকতেন। শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য বাসার পাশের মসজিদুত তাইয়্যিবা’তে যেতেন। হয়তো মসজিদ বা রাস্তার কারও সংস্পর্শে গিয়েই বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

পুলিশ জানায়, বৃদ্ধের ছেলে তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে মিরপুর কমার্স কলেজের পেছনে শিক্ষকদের কোয়ার্টারে থাকতেন। বৃদ্ধের ছেলে ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষক। বাবাকে দেখতে তিনি তাঁর স্ত্রী–সন্তানদের নিয়ে কোয়ার্টারে এসে থাকতেন।

শাহ আলী থানার ওসি সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কমার্স কলেজের শিক্ষক মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে তার বাবার বাসায় কোয়ারেন্টিনে আছেন। সামাজিক সংক্রমণ প্রতিরোধে কোয়ার্টারে থাকা তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে পুলিশ নজরদারি করছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড