নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরে ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে ৯ এপ্রিল এবং শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। লম্বা এ ছুটি করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে অনেকেই ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে পাড়ি জমিয়েছেন। এতে এখন অনেকটাই ফাঁকা ঢাকা। সন্ধ্যার পরপরই ঢাকার রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়ে না। নগরবাসী বাসায় অবস্থান করায় রাজধানীতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হ্রাস পেয়েছে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি বর্তমানে রাজধানীর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বিষয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, হত্যা, ধর্ষণ ও ডাকাতি অন্যান্য ছোট অপরাধের মতো ঘটনাগুলো স্বাধীনতার পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে।
ডিএমপির ডেপুটি কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, রাজধানীতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। আমি মনে করি, স্বাধীনতার পর অপরাধের পরিমাণ এটাই সবচেয়ে কম।
সরকারের নির্দেশনা অনুসরণ করে বেশিরভাগ নগরবাসী তাদের বাসা-বাড়ির অভ্যন্তরে অবস্থান করছে। তাই রাস্তায় কোনো ভুক্তভোগী নেই বলেও তিনি জানান।
মাসুদুর রহমান বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা সড়কে রয়েছেন। এ ছাড়া কোনো অপরাধী অপরাধ করার পর পালানোর চেষ্টা করলে রাস্তাগুলো খালি থাকায় ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসার সুযোগ আছে পুলিশের। তাই অপরাধীরা পুলিশের কাছে দ্রুত ধরা পড়বে।
এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদুর বলেন, গত ২৬ মার্চ থেকে নগরবাসী ২৪ ঘণ্টা তাদের বাড়িতে থাকায় চুরি এবং ডাকাতির মতো ঘটনাগুলো প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার নাবিদ কামাল শৈবালও রাস্তায় মানুষের অনুপস্থিতিতে অপরাধের সংখ্যা অনেক কমেছে বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, রাস্তায় কোনো ভুক্তভোগী নেই, এবং কোনো অপরাধী নেই। এ ছাড়া সরকারি এবং ব্যক্তিগত যানবাহন কম থাকায় পুলিশ কয়েক মিনিটের মধ্যে যেকোনো জায়গায় ছুটে যেতে পারে। তাই অপরাধীরা অপরাধ করার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার চিন্তা-ভাবনা করছে।
গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধিকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হ্রাসের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, যেহেতু মানুষের চলাচল সীমিত রয়েছে, এবং চেকপোস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই অপরাধীরা অপরাধ করার আগে দুবার চিন্তা-ভাবনা করছে।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, সরকারের সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর গত সপ্তাহে তাঁর এলাকায় অপরাধের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
সাধারণত, প্রতি মাসে থানায় ৬০ থেকে ৭০টি মামলা রেকর্ড করা হয়। মার্চ মাসে রেকর্ড হওয়া মামলার সংখ্যা ছিল ৫০টি। এর মধ্যে গত দশ দিনে মাত্র দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান ওসি রফিকুল।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড