নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বাসা থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। এতে ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। সড়কের আশপাশে কেউ নেই। হঠাৎ করে বুধবার (০১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি ট্রাক এসে থামল বিল্লাহ ফার্মার সামনে। ট্রাক থেকে তিনজন নামলেন মাথায় গামছা ও মুখে মাস্ক পরে।
মুহূর্তেই দুইজন চাপাতি ও একজন রড নিয়ে ওষুধের দোকানে প্রবেশ করে। ওই সময় দোকানে ছিলেন- আরমান নামের এক ক্রেতা, মালিক নাহিদ বিল্লাহ ও ইউসিবিএল ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি মো. সোহাগ। কোনো কিছু বোঝার আগেই তিনজনকে চাপাতির উল্টা পাশ দিয়ে মারতে শুরু করে মাথায় গামছা ও মুখে মাস্ক পরা দুইজন। মারতে মারতে এক পর্যায় তাদের তিনজনকে দোকানে পেছনে নিয়ে যায়। আরমানের পকেটের মানিব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। ফার্মেসিতে থাকা ল্যাপটপ নগদ টাকা নিয়ে দ্রুত চলে যায়। মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যেই ডাকাতি করে চলে যায় তারা।
রাজধানী মোহাম্মদপুরের কলেজগেট এলাকার বিল্লাহ ফার্মায় এ ঘটনা ঘটেছে ।
এ বিষয়ে ক্রেতা মো. আরমান বলেন, আমি ওষুধ কেনার জন্য ফার্মেসিতে আসি। আসার মিনিট খানেকের মধ্যে তিনজন ফার্মেসিতে ঢুকে আমাকে চাপাতির উল্টা পাশ দিয়ে মারতে মারতে দোকানের পেছনে নিয়ে যায়। আমার পকেটে থাকা মানিব্যাগ ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এখনো আমার ভয়ে গা কাঁপছে।
ইউসিবিএল এটিএম বুথের সিকিউরিটি মো. সোহাগ বলেন, দোকান বন্ধ করবেন নাহিদ স্যার। আমি খালি একটি পানির বোতল নিয়ে বের হব। এমন সময় তিনজন ফার্মেসিতে ঢোকে, দুজনের হাতে চাপাতি একজনের হাতে রড ছিল। সবার মুখে মাস্ক পরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাপাতি দিয়ে ক্রেতাকে মারতে থাকে। আমি বললাম কী হয়েছে ভাই থামেন। এ কথা বলতে বলতে আমাদের চাপাতির ভয় দেখিয়ে দোকানের পেছনে নিয়ে যায়। অন্য দু’জন ল্যাপটপ ও ক্যাশের টাকা নিয়ে নেয়। গ্লাসের নিচে দৃশ্যমান ১০০ টাকার নোট ছিল সেটাও গ্লাস ভেঙে নিয়ে যায়।
ফার্মেসির মালিক নাহিদ বিল্লাহ বলেন, আমি বাসায় চলে যাব। দোকান ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করছি। এর মধ্যে একজন ওষুধ নিতে আসল। আমি ওষুধ দিব, এমন সময় তিনজন ফার্মেসিতে ঢুকে কাস্টমারকে চাপাতি দিয়ে মারতে শুরু করে। একজন আমার ল্যাপটপ নিয়ে নিল। কাস্টমারকে যখন মারছে, তখন আমি হাত উঁচু করে বললাম, কী হইছে মারছেন কেন। এ কথা বলতে বলতে আমাদের বলল, কথা বলবি না আর চাপাতি দিয়ে মারতে যাচ্ছে। এমন করতে করতে আমাদের দোকানের পেছনে নিয়ে গেল। ক্যাশে থাকা টাকা ও ল্যাপটপ নিয়ে গেল। আমরা দৌড়ে বের হলাম কিন্তু ততক্ষণে ট্রাক চলে গেছে। হোন্ডা নিয়ে শ্যামলী পুলিশ বক্স পর্যন্ত গেলাম পেলাম না। আমি মনে করেছিলাম, আমার মোবাইলও নিয়ে গেছে কিন্তু এসে দেখি মোবাইল টেবিলের নিচে পড়ে আছে। পরে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ও র্যাব-২ এর একটি টহল দল আসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বলেন, আমার জানা নেই। আমি জেনে আপনাকে জানাব।
র্যাব-২ এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা ঘটনাটি জানতে পেরেছি। ইতোমধ্যে সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে কাজ শুরু করেছি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড