• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযান

  মনিরুল ইসলাম মনি

০৩ মার্চ ২০২০, ১৮:২৫
বিদ্যুৎ
বুড়িগঙ্গায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে উচ্ছেদ অভিযান (ছবি : সংগৃহীত)

নদী দখল করে সংসদ সদস্য আসলামুল হক অবৈধভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করায় তা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর বসিলা এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর চর ওয়াশপুরে অবস্থিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির অবৈধ অংশটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বিআইডব্লিউটিএর আভিযানিক দল।

বিআইডব্লিউটিএ জানায়, মাইশা পাওয়ার প্লান্ট নামের এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির মালিক ঢাকা-১৪ সংসদীয় আসনের দাপুটে এমপি আসলামুল হক। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য অবৈধভাবে প্রায় পাঁচ একর সরকারি জায়গা দখল করেছিল মাইশা পাওয়ার প্লান্ট।

অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান হাকীম বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির উত্তর পশ্চিমে ২৫০ ফুট ও দক্ষিণ পশ্চিমে ১ হাজার ফুট জায়গাসহ মোট ৫ একর জায়গা উদ্ধারে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এ দিকে, বিআইডব্লিউটিএর উচ্ছেদ অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মোস্তাফিজুর রহমান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি মাইশা গ্রুপের সমন্বয়ক বলে জানা গেছে।

অপরদিকে, অভিযান চলাকালীন বেলা সাড়ে ১১টায় ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন এমপি আসলামুল হক। এ সময় তিনি তার স্থাপনা বৈধ বলে বারবার দাবি করেন।

আসলামুল হক বলেন, আদালত এবং নদী কমিশন যে যৌথ জরিপ করেছে তাতে আমার স্থাপনা অবৈধ হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। আমি আইনের মাধ্যমে লড়ব। আমি কী এভাবে ছেড়ে দিব? আপনি অন্যায়ভাবে ভাঙবেন আর আমাকে নোটিশ দিবেন না? আমি তো বিআইডব্লিউটিএর অনুমতি নিয়েই এসব স্থাপনা করেছি।

পাওয়ার প্লান্টের পাশ ঘেঁষে যে সীমানা খুঁটিটি স্থাপন করা হয়েছে, তা নির্দেশ করে পাওয়ার প্লান্টটি নদীর সীমানার বাইরে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক (ঢাকা নদী বন্দর) এ কে এম আরিফ উদ্দিন।

সীমানা পুনঃনির্ধারণ এবং প্রয়োজনে সীমানা খুঁটি পুনঃস্থাপন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই জায়গার জন্য ২০০৫ সালে আনাপত্তিপত্র ছিল। এ ব্যাপারে আদালত ২০০৯ সালে রায় দেন। এরপর তারা আবেদন করেছে। কিন্তু আমরা অনুমতি দেই নি।

বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির উত্তর পাশে নদীতে একটি জেটি নির্মাণ করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে পাওয়ার প্লান্টটিতে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হতো। নদীতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা এই জেটিটিও অভিযানকালে ভেঙে দেওয়া হয়।

তবে মাইশা পাওয়ার প্লান্ট জেটি স্থাপনের জন্য বিআইডব্লিউটিএর অনুমতির নেওয়ার কথা দাবি করলেও বিআইডব্লিউটিএ বলছে, জেটি স্থাপনের জন্য প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে একাধিকবার বিআইডব্লিউটিএর কাছে আবেদন করা হলেও সংস্থাটি অনুমতি দেয়নি।

আরও পড়ুন : দেশের সাধারণ মানুষও মোদীকে সম্মান জানাবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মাইশা পাওয়ার প্লান্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের স্থাপনাটি নদীর সীমানার বাইরে। এমন ছাড়পত্র খোদ বিআইডব্লিউটিএ-ই তাদের দিয়েছে। ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট সংস্থাটির উপপরিচালক (বন্দর) মো. সুলতান আহম্মদ স্বাক্ষরিত ঢাকা ওয়েস্ট পাওয়ার প্লান্ট, ওয়াসপুর, বছিলা, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা নামক প্রকল্প সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, ‘প্রকল্পটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় হলেও কর্তৃপক্ষের ফোরশোর সীমানা অর্থাৎ বুড়িগঙ্গা নদীর সীমানার বাইরে অবস্থিত।’

ওডি/এমআই/টিএএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড