• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ভুয়া সঞ্চয়পত্রে ৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ, দম্পতি গ্রেফতার

  অধিকার ডেস্ক

১২ জানুয়ারি ২০২০, ০২:২৬
সিআইডি
এইচ এম এ বারিক এবং তার স্ত্রী মরশিদা আফরীন (ছবি : সংগৃহীত)

দুটি বেসরকারি ব্যাংকে ভুয়া সঞ্চয়পত্র জমা দিয়ে ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করায় এক দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এইচ এম এ বারিক এবং তার স্ত্রী মরশিদা আফরীনকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সিআইডির দাবি, ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় একটি চক্র তৈরি করে তারা টাকা আত্মসাৎ করত। প্রতারণার টাকায় রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বাড়ি, গাড়ি, জমি ও ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন তারা। বর্তমানে তাদের শত শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। ১৬ বছর আগে দায়েরকৃত একটি মামলার পর এ দম্পতি পালিয়ে ছিল। অবশেষে গত শুক্রবার খুলনার খালিশপুর এলাকা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) টিম তাদের গ্রেফতার করে।

সিআইডি জানায়, এ চক্রটির মূল হোতা একজন শিল্পপতি। তার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যবসা ছিল। ব্যাংকের টাকা হাতিয়ে সে শিল্পপতি হয়েছে। তার পরিচয় পেয়েছে সিআইডি। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই শিল্পপতির নাম গোপন রাখা হয়েছে। শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা হবে।

সাংবাদিক সম্মেলনে সিআইডি কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, ২০০৪ সাল থেকে এই প্রতারক চক্র ২১টি ভুয়া সঞ্চয়পত্র তৈরি করে এবি ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে আট কোটি ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার তৎকালীন ম্যানেজার জড়িত ছিল।

তিনি আরও বলেন, জালিয়াতি করে এই দম্পতি ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে। ব্যাংক হিসাব জালিয়াতি করে তাদের উপার্জিত দুই কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে সিআইডি। এছাড়াও তাদের নামে গুলশান-২ এ প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের একটি ৯ তলা বাড়ি, উত্তরায় শত কোটি টাকার মূল্যের ১টি বাড়ি, উত্তরখান এলাকায় কোটি টাকা মূল্যের একটি দুই তলা বাড়ি, এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমির তথ্য পাওয়া গেছে।

তিনি জানান, ২০০৪ সালে এবি ব্যাংক থেকে এভাবে জালিয়াতির ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। তবে তখন থেকে পালিয়ে ছিল মোস্তাক হাওলাদার। ওই মামলায় তার সাজাও হয়। গত ১৬ বছরে সে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভারতে পালিয়ে ছিল। ২০১১ সালে গোপনে দেশে এসে আবার জালিয়াতি শুরু করে।

তিনি আরও জানান, ওই মামলায় এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি ব্রাঞ্চের তৎকালীন ম্যানেজার আসিরুল হককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে তিনমাস কারাভোগ করেন তিনি। পরবর্তীতে জামিনে মুক্ত হলে হৃদরোগে মারা যান। তবে এর সঙ্গে ব্যাংকের আর কোনো কর্মকর্তা জড়িত আছে কি না তা তদন্ত করে দেখছে সিআইডি।

ওডি/জেআই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড