স্ট্যামফোর্ড শিক্ষার্থীর ধর্ষণের আলামত খোঁজা হচ্ছে

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) তাকে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের সদর উপজেলার বিজয়নগরে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রুম্পার লাশের ময়না তদন্ত হয়েছে। ঢামেকের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, ওই তরুণীর লাশে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তিনি উপর থেকে পড়ে মারা গেছেন বা উপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। মৃত্যুর আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, সেটি নিশ্চিত হতে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আলামত ঢামেকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। রিপোর্ট পেলে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেছে। পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, তরুণীর বাঁ হাতের কনুই, ডান পায়ের গোড়ালি ও মেরুদণ্ড ভাঙা। নাক, মুখ ও মাথায় জখম এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। বুকের ডান দিকে ক্ষত চিহ্নও মিলেছে।

জানা গেছে, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডে দুই ভবনের মাঝে এক গলিতে রুম্পার লাশ পাওয়া যায়। ওই তরুণী আশপাশের কোনো ভবন থেকে পড়ে মারা গেছেন বলে তখন ধারণা করা হয়। কিন্তু পুলিশ তখন তার নাম-পরিচয় জানতে পারেনি। পরের দিন সন্ধ্যায় স্বজনরা মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।

রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা হত্যার শিকার বলে অভিযোগ এনে শুক্রবার মানববন্ধন করেছেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

রুম্পা স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি মালিবাগের শান্তিবাগে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। তার বাবা হবিগঞ্জ জেলা পুলিশে কর্মরত রোকনউদ্দিন।

ওডি/এমআর