বিমানবন্দর সড়কে রাজীব-দিয়ার মৃত্যু, রায় ১ ডিসেম্বর 

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার রায় ঘোষণায় আগামী ১ ডিসেম্বরকে বেছে নিয়েছেন আদালত।

রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ রায় ঘোষণার জন্য এই দিনটি ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের রোষানলে চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হয় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব (১৭) ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬)। একই দুর্ঘটনায় আহত হয় আরও ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী। এরপর দুর্ঘটনার দিনই নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এরপর একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী রিফুল ইসলাম আদালতে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেন। এ দিকে, মামলার আসামিরা জামিনের আবেদন করলে ওই বছরের ২৫ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েশ আসামিদের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

আদালতের এই অভিযোগ পত্রটিতে বলা হয়, ঘটনার দিন দুপুরে চালক ও তাদের সহযোগীরা গাড়িতে বেশি লোক ওঠানোর লোভে যাত্রীদের কথা অমান্য করে এবং তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করেই জিল্লুর রহমান উড়াল সড়কের ঢালের সামনে রাস্তা ব্লক করে দাঁড়ান। একই সময় পাল্লা দিতে গিয়ে অপর বাসের চালক মাসুম বিল্লাহ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪ থেকে ১৫ শিক্ষার্থীর ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই রাজিব ও দিয়া নিহত হয় এবং আরও নয়জন শিক্ষার্থী আহত হয়।

এই মামলার মোট আসামি ছয়জন। এদের মধ্যে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম, দুইজন চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমনসহ তাদের সহকারী এনায়েত হোসেন কারাগারে রয়েছে। পাশাপাশি জাবালে নূর পরিবহনের অপর মালিক শাহাদাত হোসেন বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। তার পক্ষে মামলাটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। এছাড়া চালকের অপর সহকারী কাজী আসাদ এখনও পলাতক রয়েছে।

ওডি/আইএইচএন