• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘গৃহ কারাগার’-এর একাদশ পর্ব

ধারাবাহিক গল্প : গৃহ কারাগার

  ফখরুল হাসান

০২ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:০৬
গল্প
ছবি : প্রতীকী

ধানমন্ডির আলিশান প্রাসাদের বারান্দায় বসে আছে পরী। বিকেলের রোদ নিভে যাওয়া দেখতে দেখতে ভাবনার জগতে ডুব দেয়। সবকিছু যেনো রঙিন অথচ কোথায় যেনো একটা দীর্ঘশ্বাসের ধ্বনি। দেখতে দেখতে দশটি বছর কেটে গেলো। প্রথম যৌবনের মতো যেনো আজও স্মৃতিকে তৃপ্তি দেওয়া ছাড়া নতুন কিছু নেই। বিয়ের দশ বছর পূর্ণ।

বিয়ের প্রথম রাতের মতো এখন আর উত্তেজনা ও উৎসাহ নেই ফেরদৌসের! ভুলে যাওয়া যৌনসুখ তলাতে তলাতে গাঙ্গের নিচে তলিয়ে যাবার মতো অবস্থা হয়েছে। অথচ ফেরদৌস আর পরীর প্রথম বিয়ের বছরটা ছিল যৌবনা বুড়িগঙ্গার স্রোতে মতো ছুটে চলা। আর এই কয়েক বছরে মানে প্রিন্সের জন্ম হবার পর থেকে পরীর শরীর হয়ে গেছে ফেরদৌসের কাছে দূষিত বুড়িগঙ্গার জল যা ছোঁয়া যায় না। কিন্তু নিজের প্রয়োজনে তার উপর দিয়ে ভ্রমণ করা যায়।

এখন সন্ধ্যা এবং রাতের সন্ধিক্ষণে দিনের বিভা বিকশিত হয় না পরীর যৌনজীবনে। বিয়ের পর কত কিছুই তো দেখা হলো না। তাতে কি আসে যায়, কিন্তু বুকের কোণায় একটি ছোট কাঁটা বিঁধে আছে। তা হলো, ফেরদৌস পরীকে বোঝার ক্ষেত্রে অস্পষ্টতা, সেটা শুরু থেকেই ছিল। এখন তার সাথে যোগ হয়েছে সন্দেহ। স্বামীত্বের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠেছে ফেরদৌস।

হাজারো শর্তের বেড়াজালে বন্দী পরীর চাওয়া পাওয়া। তবুও আজকাল নিজের অপরিতৃপ্ত চেহারাকে আড়াল করার চেষ্টা করে পরী। বিকেলের আলোয় শূন্য দৃষ্টিতে নির্নিমেষ তাকিয়ে আনিসের কথা খুব বেশি মনে পরে। তবে কি পাপ-পুণ্যের হিসাব ভুলে গিয়ে, আনিসের কাছে ঘরের দেয়ালে আটকা পড়া সৌন্দর্য বিলিয়ে দিবে।

এসব ভাবতে ভাবতে পরী আকাশের দিকে তাকায়, দিগন্ত ছুঁয়ে আসা গাছ-গাছালি ওপর দিয়ে ঘুরে আবার ফিরে আসে নিজের জায়গায়। কোন কোন সৌন্দর্য অন্ধকারে বুজে থাকে, রোদ-আলো পেলে প্রস্ফুটিত হয়।

(চলবে...)

‘গৃহ কারাগার’-এর দশম- ধারাবাহিক গল্প : গৃহ কারাগার

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড