• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘ডায়েরি’-এর দ্বাদশ পর্ব

ধারাবাহিক উপন্যাস : ডায়েরি

  তাবাস্সুম মুন

২৩ আগস্ট ২০১৯, ১২:৩৭
ছবি
উপন্যাসছবি : আপসারা ওরিন (নিশা)

চাঁদ দ্রুত জামা নিয়ে বেরিয়ে পরে আর ভাবে, বিয়ে করে এনে এখন সহ্যই হচ্ছেনা আমাকে কি করেছি আমি।

রোকসানা বেগম সবটাই দেখলেন। হয়েছেটা কি ছেলের, এমন ব্যবহার কেন করছে মেয়েটার সাথে। তিনি আর কিছু না ভেবে চাঁদ এর কাছে খাবার নিয়ে যায়। কোনোমতে কিছুটা খাইয়ে দেয় তাকে। মেয়েটা এত কম খায় তিনি ভেবে কূল পাননা। এত বড় একটা শরীর এইটুক খাবার দিয়ে কি হয় আল্লাহ জানে। এই জন্য হয়তো মেয়েটার ওজন কম।

চাঁদের মাথা ব্যথাটা আবার বেড়েছে। শুতেই চোখের রাজ্যের সব ঘুম এসে পড়ে, চলে যায় ঘুমপরীদের সাথে ঘুমের রাজ্যে। যেখানে নেই কোনো দুনিয়াবি চিন্তা নেই কোনো যন্ত্রণা যা তাকে তাড়া করবে। রোকসানা বেগম চাঁদ এর ঘুমন্ত চেহারার দিকে অপলক ভাবে তাকিয়ে আছেন, কি নিষ্পাপ চেহারা, এই চেহারার মাঝে এতদিন ছিলো কতো যন্ত্রণা মন্ত্রণা এখন থেকে আর থাকবে না। আমি জানি আমার ছেলেটা কোনো ভুল করেনি তোকে এনে, তোকে যে ভালোবাসে তাতো আমি মা হয়ে সবই জানি। আজ আমার তোর মতো একটা মেয়ে থাকলে তাকেও তো এইভাবে ঘুম পাড়াতাম। তাতে কি হয়েছে আজ থেকে তুই এই রাজ্যের রানি।

আকাশ চাঁদকে দেখার পর থেকে এক মুহূর্ত ঠিক থাকতে পারছেনা। মেয়েটার সাথে এতটা খারাপ না হলেও পারতো কিন্তু রাগ এমন একটা জিনিস যা মানুষের সকল জিনিসের উপর রাজত্ব করতে পারে। রাগ হবেই না কেনো ভুলতো করেনি আকাশ। আর একটুর জন্য হলেই তো! আকাশের বুক থেকে চাঁদকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেল তো সে। তিয়ান আর অরুনিমার কাছে সে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে। মেয়েটার বুদ্ধি কবে হবে, একটুও শান্ত করতে পারছেনা আকাশ নিজের মনকে।চাঁদকে তো সে নিজের করে এনেছে কিন্তু বারবার হারানোর কথা মনে হয়ে ভয় করছে তার। কিন্তু অনেকক্ষণ হলো ম্যাডামের কোনো খবর নেই গিয়ে দেখি কই। রোকসানা বেগম চাঁদের কপালে চুমু খেয়ে দিয়ে নিচে আসেন রুমে পানির জন্য, এর মধ্যে আকাশ রোকসানা বেগম এর রুমে এসে দেখে চাঁদ গুটিসুটি হয়ে শুয়ে আছে।

চাঁদ কাত হয়ে শুয়ে আছে এপাশ থেকে ওপাশ হতেই উফ করে উঠে। চাঁদ এর আওয়াজ শুনে আকাশ তার পাশে গিয়ে বসে। দেখে হাতে ব্যান্ডেজ করা। এই দেখে আকাশ হাত বুলিয়ে দিচ্ছে তার। তখনি রোকসানা বেগম রুমে এসে দেখেন আকাশ চাঁদের পাশে বসে হাত দেখছে। রোকসানা বেগম বলেন, সরা হাত কষ্ট দিয়েছিস কেনো? দেখেছিস মেয়েটার কতখানি কেটেছে?

আকাশ বলে, কি করে হলো মা। আমি কিভাবে কি করেছি।

তুই জানিসনা কি করেছিস। আসার পর যে ছুড়ে ফেলেছিলি তখন দরজার সাথে এমন হয়েছে। মেয়েটা একটুও আওয়াজও করেনি। তখনি আমি মেয়েটার ধৈর্য শক্তি সম্পর্কে ধারনা পেয়েছি, কারণ মেয়েটার হাতের ব্যথা থেকে মনের ব্যথা বেশি পেয়েছে।

আকাশ মাথা নিচু করে ফেলে মায়ের কথা শুনে। সে চাঁদের হাতে আলতো স্পর্শ রেখে সরি বলে বলে। তার পরে মায়ের বদিকে তাকিয়ে আবার স্যরি বলে।

রোকসানা বেগম ছেলের কাঁধে হাত রেখে বলে খারাপ লাগছে। আকাশ হালকা করে মুখটা ঝাঁকায়। রোকসানা বেগম ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন, ‘এতটা ভালোবাসিস’।

- অনেক মা।

- তাহলে রাগলি কেনো। আমি সব শুনেছি। মেয়েটার কি দোষ ছিলো বলতো। ওতো ওর মায়ের কথায় করতেছিলো। আর পাড়ার মানুষের কথা একটা মেয়ের জন্য কম কিছু নারে।

- মা কিভাবে বুঝাবো ওকে, যে আমি কতটা ভালোবাসি। বারবার ওকে হারানোর কথা মনে পড়তেছে। আর একটু হলেই...। ওর আর্থিক কিচ্ছু আমি চিন্তা করিনি, কেন বোঝেনা তাকে শুধু ভালোবাসি।

- জানিস মেয়েটা এসে আমাকে কি জিজ্ঞেস করেছিলো। মা আপনি কি মনে করেননা আমি আপনার ছেলেকে হাত করে নিয়েছি। তুই একটু ভেবে দেখ ওকে এই কথাটা কতটুকু কষ্ট দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। আজকে হয়তো আমিও তোর মতো ওকে ভালোবাসি বলে মেনে নিয়েছি কিন্তু অন্য কেউ হলে নিশ্চিত বলতো তোকে টাকার জন্য হাত করে নিয়েছে। আর এলরেডি বলেছেও মানুষ। মেয়েটা খুব কষ্টে আছেরে। ওকে কষ্ট দিস না। ওকে বুঝতে হবে বড়লোকরা ভালোবাসতেও জানে। ওর মনটা খুব সহজ সরল না হলেকি আমাকে এসে সব বলে দিতো? ওকে প্রতিনিয়ত এইসব কথা শুনতে হয়েছে ওকে এখন নিজেকে আরও শক্ত করতে হবে আর সেটা করবি তুই, আর সেই তুই কিনা ওর সাথেই খারাপ ব্যবহার করলি।

- সরি মা, আমি শুধু আমার দিকটাই ভেবেছি। ওকে হারানোর কথা ভাবছি।কিন্তু এখন ওকে পেয়ে ওর পাশে থাকাটা ভুলে গেছি।কিন্তু মা কি করবো ওর সাথে কথা বললেই রাগটা উঠে যায়।

- শোন তোর বাবাও তোর মতো রাগি ছিলেন। তবে সবার সাথে আমার সাথে না। তুই তো চাঁদকে পছন্দ করে বিয়ে করেছিস। কিন্তু তোর বাবা তা করেনি আমাকে বিয়ের পরই সে ভালোবেসেছে তবে অনেক। এইজন্যই তো আজ তোর বাবাকে ছাড়া খুব কষ্ট হয় আমার।যাকে ভালোবাসবি তার মনের এতোটা কাছে যাবি যাতে তুই তার মনের ভাষাও বুঝতে পারিস। মেয়েটাকে কষ্ট দিসনা। ওর এখন একটা শক্ত হাতের দরকার যা তুই নিজেই তৈরি করেছিস কিন্তু এখন ধরছিসনা।

- মা আমি দেখবো আমি ঘুমোতে যাই ওকে দেখে রেখো।

- আচ্ছা তবে এখন থেকে কোনো ভয় না বুঝলি মনে রাখবি,ভালোবাসা ভয় দিয়ে হয়না সাহসেরও দরকার হয়। কখনো ভয় পাবিনা তোর ভালোবাসার কাছে পৃথিবীর সব কিছুই তুচ্ছ হয়ে যাবে দেখবি।

- লাভ ইউ মা। আল্লাহ তোমার মতো মা সবাইকে দেন। আকাশ চাঁদ এর মাথায় চুমু দিয়ে উঠে রোকসানা বেগমকে জড়িয়ে ধরে বলে,এখন থেকে আমার অনুপস্থিতিতে ওর সব দায়িত্ব তোমার আর ঝর্না খালার। বুঝলে।

- হয় যা রাত হয়েছে ঘুমোতে যা।

আকাশ চলে যায় তার রুমে। তার আজ মোটেও ঘুম হচ্ছেনা কেবল তার পরীকে দেখতে ইচ্ছে করছে। এই ইচ্ছেটা আরও বেড়েছে হাতের কাটাটা দেখে। ইস কি করতে গিয়ে কি করে ফেললো। রাত দু’টো বাজে। কেবল মনে হচ্ছে চাঁদকে বুকে নিয়ে ঘুমোতে ইচ্ছে করছে। কোলবালিশটাও আজ সঙ্গ দিচ্ছেনা। এটাই কি বিয়ে নামক বন্ধনের যাদু যা দু’টি মানুষ যতোই দূরে থাকুক না কেনো হালালভাবে কাছে পাওয়ার ইচ্ছা শক্তিই হচ্ছে বিয়ে। নাহ অনেক হয়েছে মোটেও ঘুম হচ্ছে না। আকাশ উঠে সোজা রোকসানা বেগম এর রুমে চলে যায়।

রোকসানা বেগম জাগানোই ছিলেন তার আবার অভ্যাস রাতে উঠে তার পরম ভালেবাসার স্বামীর জন্য দোয়া করা আর ছেলেটার ভালোর জন্য দোয়া করা। এখন তো আরও একজন বেড়েছে তার জন্যও তো দোয়া করতে হবে। তাই উঠে বসে বসে চাঁদকে সুরা পড়ে ফু দিয়ে দিচ্ছেন। তখনি তার ছেলের আগমন দেখে মুচকি হেসে দেন। তিনি এতক্ষণ এটাই ভাবছিলেন ছেলেটা তখন মেয়েটাকে ছাড়াই চলে গেছিলো তার কেনো জানি মনেই হচ্ছিলো ছেলেটা আবার আসবে তাই দরজা খোলাই রেখেছিলো। পাগলটা অবশেষ ঘুমোতে পারিনি তাইতো। স্বামী স্ত্রীর বন্ধনটাই এমন। এতদিন ঠিক দুরে ছিলো আজ বিয়ে নামক বন্ধনটাই টানছে তাদের। রোকসানা বেগম মুচকি হেসে বলেন, এই পাগল বুঝেছিতো দাড়িয়ে আছিস কেনো তুলে নিয়ে যা।

আকাশ মায়ের কথায় এ প্রথম লজ্জা পায়। বলে, মা আসলে...

- হয়েছে হয়েছে আমাকে বলা লাগবেনা। জানিতো আমি সব ঘুম আসছেনা তো তাইনা? আমি জানতাম তো, তাই দরজা খোলা রেখেছি ।এখনো দাড়িয়ে থাকবি নাকি নিবি।

আকাশ মাথায় হালকা চুলকিয়ে চাঁদকে কোলে তুলে নিয়ে মায়ে দিকে তাকিয়ে লজ্জার হাসি দেয়।

রোকসানা বেগম ছেলের অবস্থা দেখে মুচকি হাসি দিয়ে বলে, ‘শোন এখন থেকে চাঁদ তোর কাছেই ঘুমবে আমার কাছে যদি ঘুমোতে আসে তাহলে সেদিন ভাববো তুই আর চাঁদ এর মাঝে কিছু হয়েছে। এমন যাতে না হয় বুঝলি?’

- আচ্ছা প্রমিস মা। ঘুমোও এখন বাবা ওপারে ভালো আছে চিন্তা করোনা। তোমার বউয়ের কথা জানিয়ে দিও।

- পাগল যাহ।

আকাশ সোজা তার রুমে চাঁদকে নিয়ে আসে। খাটে শুইয়ে দিয়ে তার পাশে শুয়ে পড়ে নিজের কাছে টেনে এনে জড়িয়ে ধরে ভাবে, কি ঘুমরে বাবা এতে নড়াচড়া করলাম ম্যাডামের এতো ঘুম। এভাবে তো চলবেনা। এত ঘুমোলে স্বামীর সেবা কে করবে। কিন্তু চাঁদ যে ইচ্ছা করে ঘুমচ্ছেন সে ঘুমের ঔষধ খেয়েছে তা কেউ জানেনা মাথার ব্যথার তীব্রতা তাকে ঘুমোতে দেয়না তাইতো খেয়েছে।আকাশ আবার ভাবে যে আকাশ মেয়েদের থেকে দুরে থাকতো আজ সে একটা পরীকে জড়িয়ে ধরেছে। কি আজব না। ভালোবাসা জিনিসটাই একটা বন্ধন। আকাশ চাঁদ এর হাতের ব্যথার জায়গায় আর কপালে চুমু দিয়ে ভাবতে থাকে।এইসব ভাবতে ভাবতে চাঁদ এর সাথে আকাশও পাড়ি দেয় ঘুমের রাজ্যে।

রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমের কারণে চাঁদ এর ঘুমটা ভাঙে সকালে ফজরের সময়। চোখটা খুলেই নাকে খোঁচা খোঁচা কিছু তীরের মতো বিধে। চাঁদ ব্যথা পেলে এত সহজে আওয়াজ করেনা কিন্তু গরম কিছুতে সে শুয়ে আছে মনে হচ্ছে তার। যতটুকু মনে পড়ে মামনির রুমে এসি ছিলো গরমতো ছিলোনা। আর এইটা কিসে ব্যথা পেলাম। হালকা হালকা মুখটা উঠিয়ে আকাশের কিউট চেহারাটা দেখে মুচকি হেসে দেয়। আর খোঁচা খোঁচা দাঁড়ির দিয়ে তাকিয়ে থাকে তাহলে এইগুলোই সেইসব তীর যা তার নাককে ক্ষতবিক্ষত করতে গেছিলো। ইস লোকটা এত সুন্দর কেনো। আসলেই কি এতো সুন্দর নাকি আমার কাছেই মনে হয়। দাঁড়িগুলোর জন্য আরও সুন্দর লাগছে। বাবার দাড়ি সবসময় আমার পছন্দ ছিলো আজ আরেক জনেরটাও হয়ে গেলো। ইচ্ছে করছে একটু টেনে দেই। মৃদু নাক ডাকার আওয়াজ এতটা সুন্দর হয় তার জানা ছিলোনা। আসলেই কি সত্যি ভালোবাসার মানুষের সব কিছুই হয়তো ভালো লাগে।

হঠাৎ আকাশ বলে উঠে, এইযে মিস এতো তাকিয়ে না থেকে ঘুমান। চাঁদের এখন খেয়াল হয় সে অন্য কোথাও আছে। আর উনি এখানে কিভাবে? আমি কই। কখন এলাম। আকাশ আবার বলে উঠে, আপনি আমার বুকে আছেন। রাতেই এসেছেন। নিজেই এসে এখন ভাবতেছে। এত না ভেবে ঘুমন তো আমার ঘুম পাচ্ছে।

এই লোকটা মানুষ না ভূত আমার মনের কথা জানতেছে কিভাবে? এইটাকি সম্ভব? উনি কি যাদু জানে?

আকাশ বলে, না যাদু না ভালোবাসতে জানি।

- আপনি আমার মনের কথা জানেন কিভাবে।

এবার আকাশ চোখ মেলে চাঁদ এর নাকে কামড় দিয়ে বলে এইযে এভাবে। শুনো স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কটাই এমন সব জানা যায়, বুঝলে।

- উফ... ব্যথা পেয়েছি।

- তাই নাকি? তাহলে যখন আমার দাড়ি দিয়ে ব্যথা পেলে আওয়াজ করলেনা কেনো? এত ধৈর্য কোথা থেকে পাও তুমি।

আমি আমার কষ্ট সবাইকে দেখাতে চাইনা তাই কিছু বলিনি।এখানের ধৈর্য বেশি হওয়ার কি হলো। আমি যাবো ছাড়ুন। চাঁদ এই প্রথম কোনো ছেলের স্পর্শ পেয়েছে তাও এতটা কাছ থেকে আকাশের বুকে কিসের আওয়াজ হচ্ছে। মনে হচ্ছে ওকেই ডাকছে। না সে কিচ্ছু শুনেনা শুনবে কেনো? আকাশ তো তাকে জোর করে বিয়ে করছে। এখন স্বামী দাবি করে কাছে এনেছে। না এমন তো হবেনা সে যদি ভালো নাই বাসে বিয়ে করলো কেনো? জানতে হবে চাঁদের এখন থেকে দুরে দুরে থাকবো হুহ নিশিও বলেছিলো ভালোবাসা তখন বুঝবি যখন দুরে দুরে থাকবি হুম সেইটাই করতে হবে।

- এইযে ম্যাডাম এত কিছু ভাববেন না। আমার কাছেই আপনার থাকতে হবে। দুরের কথা ভাবলে খবর আছে।

আজব তো এখন দেখি ভাবাও যাবেনা। সরুন উঠবো আমি। চাঁদ আকাশ থেকে নিজেকে অনেক কষ্টে ছাড়িয়ে নিতে গিয়ে হাতে ব্যথা পায়। ব্যথা পেয়ে সে আওয়াজ করেনি তবে হাতটাধরে মুখের কান্নাভাব দেখলে যে কেউ বুঝবে চাঁদের অবস্থা। আকাশ চাঁদকে এভাবে দেখে উঠে বসে পড়ে আর বলে, ইস ব্যথা পেয়েছো।

- না পাইনি। সরুন ধরবেন না আমায়, আমি ব্যথা পেলে কার কি। এইটা তো কিছুই না ছাড়ুন।

সরি বউটা। আমি আসলে। চাঁদ আকাশকে কিছু না বলতে দিয়েই উঠে ওয়াসরুমে চলে যায়। বেচারা আকাশের মুখটা দেখার মতো ছিলো। এই প্রথম তার কথার মাঝে কেউ উঠে চলে গেছে। তার খুব রাগ হচ্ছে কিন্তু সে রাগ করবেনা। ব্যথা যেহেতু দিয়েছে ঔষুধও সেও লাগাবে। তার আর আজ ঘুম হবেনা। উঠে পড়ে। উঠে অন্য ওয়াসরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে জগিং এর জন্য বেরিয়ে পড়ে। আজ একটু কম দৌড়বে কারণ চাঁদের পরিবারকে এখানে শিফট হতে সাহায্য করতে হবে। এতো চাকর আছে তাও তার আজ খুব কাজ করতে ইচ্ছে করছে।

চাঁদ ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে নাস্তা বানাতে যায়। যাওয়ার আগে বারান্দায় গিয়ে আকাশকে দেখার চেষ্টা করে তখনি আকাশের সাথে চোখাচোখি হয়ে যায়। আকাশও সুযোগ বুঝে চোখ টিপ দিয়ে দৌঁড়। কারণ তার কেনো জানি মনে হয়েছিলো চাঁদ আজ দেখতে আসবে বারান্দায়। পাগলিটা এইটুকু সময় না দেখে থাকতে পারেনি আর সে অন্য আরেকজনের হতে যাচ্ছিলো।

চাঁদ এমন একটা পরিস্থিতিতে পরবে ভাবেনি। আকাশের চোখ টিপি দেখে লজ্জায় পরে যায়। মুখ ভেংচি দিয়ে ভিতরে চলে আসে। আজ তার খুব ভালো লাগছে বাবা মাও এখানে চলে আসবে।

(চলবে...) ‘ডায়েরি’-এর ১১ম পর্ব- ধারাবাহিক উপন্যাস : ডায়েরি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড