তাবাস্সুম মুন
আকাশ চাঁদের চোখে পানি ঢেলে দেয়। যখন দেখে সে চোখ মেলেছে তখনি তাকে কোলে নিয়ে হাঁটা শুরু করে দেয় আকাশ।
চাঁদ মাথা ব্যথা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলো আচমকা চোখে পানি অনুভব করে চোখ মেলে দেখে শূন্যে ভাসতেছে। এরকম ঘটনা মানুষের সাথে খুব কমই হয় তার ধারনা। সে শূন্যে কিভাবে। চাঁদের এমন চোখ টিপটিপ করে আশেপাশে তাকানো দেখে আকাশ বলে, ‘ম্যাডাম আপনি শূন্যে না আমার কোলে। চাঁদ পুরুষের কণ্ঠ শুনে ভয় পেয়ে যায় সাথে সাথে আকাশের মুখের দিকে তাকিয়ে বড় একটা ধাক্কা, আপনি এখানে? আর আমার মনের কথা জানলেন কি ভাবে? কই নিয়ে যাইতেছেন?
আকাশ রেগে বলে, এমনি মাথা গরম এর উপর তুমি এতো প্রশ্ন করতেছো। বলছি। প্রথম তো মানুষ যাকে ভালোবাসে তার মনের খবর এমনি জানে। আর দ্বিতীয়ত এখন আমি যেখানে নিবো সেখানের আমার কথায় চলবে একটা কথাও মুখ দিয়ে বের করবেনা। আর আমি এখানে কেনো তাও জানবে একটুপর। চাঁদের মাথায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা করছে। তারপরও আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। কেনো এসেছে লোকটা, কি করতে চায় তার সাথে। সে কি আমার মনের সব খবর জানে? সে কি আমার জন্যই এসেছে?
আকাশ মনে মনে হাসছে, পাগলিটার মাথায় হাজারো প্রশ্নের ফুলঝুরি ছুটছে জানি। তোমার সব কিছু আমার তা তোমাকে বুঝতে তো হবেই।
আকাশ সোজা বসার ঘরে চাঁদকে নিয়ে গেলে সবাই মুচকি হেসে দেয়। জ্যোৎস্না বেগম অনেক খুশি সে ঠিকই বুঝতে পারছে আকাশ কি করতে চাচ্ছে। সে তো জানতোনা ছেলেটা সত্যিই মেয়েটাকে পছন্দ করে, আগে জানলে কি অন্য কাউকে দেখাতো।
চাঁদ দারওয়ান আঙ্কেকে দেখে তাড়াতাড়ি আকাশকে বলে নামাতে। আকাশ তো নাছোড় বান্দা সে বলে, ‘আমি যা করবো তাতে বাঁধা দিবে না। আমার ইচ্ছে হলে নামাবো চুপ একদম চুপ!’
চাঁদ আকাশের ধমক শুনে এবার রেগে যায় আর বলে, কি হলো আমাকে এত রাগ দেখানোর মানেটা কি? কে আপনি ছাড়ুন বলছি। অনেকসময় ধরে বকা দিচ্ছেন ছাড়ুন।
আকাশ সোফায় নিজের পাশে চাঁদকে বসিয়ে এক হাত দিয়ে চাঁদের বাহু ধরে রাখে। হুজুর আর কেউনা কাজী সাহেব তাকে বিয়ে পড়ানোর কথা বলে। চাঁদ পুরো থমকে যায়। বিয়ে কার বিয়ে!
আকাশ বলে, কার আবার আমার, এখন কোনো কথা না যা বলতে বলবো তা বলবে। এমনিতেই মেজাজ গরম আছে।
চাঁদ চুপচাপ বসে আছে। জ্যোৎস্না বেগম বলেন, বাবা কি করতে যাচ্ছো চাঁদ এর বিয়ে মানে? ওর বিয়ে ঠিক করা হয়ে গেছে। দেখো বাবা মহল্লার লোকরা কি বলবে?
আকাশ বলে, বিয়ে ঠিক হয়েছে বিয়ে হয়নাই। আর মহল্লার লোকরা কি বলবে মানে আমি বিয়ে করছি উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিনা। মহল্লার লোকরা আপনাদের সাথে কি করেছে সব আমাকে দারোয়ান আঙ্কেল বলেছে তাদের ব্যবস্থা তো করবই। এখন কোনো কথা না। আমাকে অন্য কিছু করতে বাধ্য করবেন না। রইলো আপনাদের দায়িত্ব, একবার তো আমাকে বলতে পারতেন কমিটির মানুষের কথাগুলো। আমি কি আপনাদের দায়িত্ব নিতে অক্ষম নাকি মরে গেছি। আমি এতো কষ্ট এই প্রথম পেয়েছি। এখন কাজী সাহেব বিয়ে পড়ান।
চাঁদ অবাক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, লোকটার মধ্যে নাই কোনো অহংকার, নাই কোনো ভয়। আমি কেনো বিয়ে করবো? সে কি আমাকে ভালোবাসে? যদি ভালো নাই বাসে তাহলে এখানে কেনো এসেছে আমাকে বিয়ে কি শুধু পরিবারের ভালোর জন্য করছে নাকি? ওফ! কিচ্ছু ভালো লাগছেনা!
কাজি বিয়ে পড়া শুরু করে দিয়েছেন। দেনমহর আকাশ বিশ লক্ষ টাকা ধরতে বলেছে কাজী সাহেবকে আগেই। জ্যোৎস্না বেগম এই মুহূর্তে অনেক অবাক হন এত টাকা দেনমহর। নাই চাইতেও বলেন, বাবা আকাশ এত টাকা, বেশি হয়ে যায় না?
আকাশ বলে, এইখানে তো কমই আন্টি। সামনে আরও অনেক কিছু অপেক্ষা করছে। শুধু দেখে যান।
কাজী সাহেব আকাশকে কবুল বলতে বললে, একবারে কবুল বলে ফেলে। চাঁদ না চাইতেও মুচকি হেসে দেয়। লোকটার এতো তাড়া এতো তাড়াতাড়ি কবুল বলে ফেললো। এবার চাঁদের পালা। কিন্তু চাঁদ যে এখনো জানেনা আকাশ কি সত্যি ভালোবাসে কিনা তাহলে কবুল কিভাবে বলবে! আকাশ চাঁদের চুপ থাকা দেখে ধমক দিয়ে বলে, কি হলো কবুল বলছো না কেনো। বলো কবুল।
- না বলবো না কেনো করবো আমি আপনাকে বিয়ে। করবোনা বিয়ে আমি, ছাড়ুন আমায়। আমি আরিফকেই বিয়ে করবো।
আকাশ প্রচণ্ড রেগে বলে, ‘ভালোয় ভালোয় কবুল বলো। তোমাকে ভদ্রভাবে আমি বিয়ে করতে এসেছি অভদ্র হতে দিওনা আমাকে।’
জ্যোৎস্না বেগম দেখছেন আকাশ অনেক রেগে আছে তাই চাঁদকে কবুল বলতে বলে। তাও চাঁদ বলবে না। একসময় আকাশ চাঁদের হাত অনেক জোড়ে চাপ দেয় আর চাঁদ ব্যথায় চিৎকার দিয়ে বলে, আমি ব্যথা পাচ্ছি ছাড়ুন। আকাশ বলে, তুই কি কবুল বলবি কিনা বল?
কাজী বলে, ‘আপনারা কি জোড় করে বিয়ে করছেন?’
আকাশ এমনি রেগে আছে তার উপর কাজীর এই প্রশ্ন। আপনাকে বিয়ে পড়াতে এনেছি টাকা দিয়েছি, কোনো কথা না।
দারওয়ান বলে, ‘মা কবুলটা বল মা। তোর বাবার কথা চিন্তা করে বল।’
চাঁদ বলে, ‘আমি বলবো না।’
এক পর্যায়ে চাঁদ আকাশের ধমক খেয়ে কবুল বলতে রাজি হয়। আকাশ মুচকি হেসে সবাইকে মিষ্টি দিয়ে চাঁদকে নিয়ে আসফাক হকের রুমে যায়। পাশে বসে বলে, বাবা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আপনার মেয়ের আর আপনাদের সব দায়িত্ব আমার। চাঁদ পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এখন তার মতো খুশি কেউ নেই। আসফাক সাহেবের চোখ দিয়ে পানি পড়ে যায়, কিন্তু এ পানি দুঃখের নয় সুখের। সকালে মেয়েটা কান্না করলো আর এখন এত ভালো একটা সংবাদ। সব বাবাই তার রাজকুমারীর জন্য আকাশের মতো একজনকে চায়।
তিয়ান আর অরুণিমার তো লাফালাফি কমছেই না। তাদের মতো খুশি এই মুহূর্তে কেউ নাই। আকাশ পিচ্চিকে বিয়ের বকশিশ দেয়। জ্যোৎস্না বেগমকে বলে বাসার সব কিছু গোছাতে। তারা আর এখানে থাকবেনা জ্যোৎস্না বেগম কিছু জিজ্ঞেস ও করতে পারছেন না আকাশের রাগ দেখে। চাঁদ নীরব হয়ে বসে বসে দেখছে। দারওয়ান আঙ্কেলকে আকাশ চাঁদদের সাহায্য করতে বলেছেন এবং তাকে টাকাও দিয়েছে সবাইকে মিষ্টি খাওয়ানানোর জন্য। । আঙ্কেল মহা খুশি। ওই দিকে আরিফরা কেউ কিছু জানেনা। আর রোকসানা বেগম তার ছেলের জন্য অপেক্ষা করছেন।
চাঁদ সেই দুপুরের শাড়ি পড়েই ছিলো। আকাশ শুধু চাঁদকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। চাঁদ আকাশ থেকে হাত ছুটাতে চাইয়ে বলে, ‘ছাড়ুন আমায় কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। ছাড়ুন!’ আকাশ বলে, ‘চুপ একদম চুপ। আমার বউ এখন যেখানে ইচ্ছা নিবো আমার সম্পূর্ণ অধিকার আছে।
চাঁদ খুব ছাড়ার চেষ্টা করছে তখন কমিটির সুমন সাহেব এসে আকাশের সামনে দাঁড়ায় আর বলে, ‘এই যে বড়লোক বাপের ছেলে আমাদের মেয়েকে এভাবে কোথায় নিচ্ছ।’
আকাশ হেসে বলে, ‘কি, আপনাদের মেয়ে কবে থেকে? এই মেয়ে শব্দটা এতদিন কোথায় ছিলো। কিন্তু যখন কথা বলেন তখন মনে থাকেনা। আমি যেখানে ইচ্ছে আমার বউকে নিবো আমার মনে হয়না আপনাকে বলতে হবে?’
সুমন বলে, তোমার বউ মানে। বিয়ে না করে বউ (হা হা হা)। তাহলে এই মেয়ের সাথে পতিতা কথাটা যায় (হা হা হা)।
আকাশ রেগে সুমন সাহেবের কলার ধরে বলে, ‘হাউ ডেয়ার ইউ। আমার বিয়ে করা বউকে এমন বলার অধিকারকে দিয়েছে। তোকে তো মেরেই ফেলবো। আকাশ কতোগুলো ঘুষি দিয়ে দেয় সুমন সাহেবকে। দারওয়ানসহ অনেকে আকাশকে ছুটায়। চাঁদও ছুটাতে বাধ্য হয়। চাঁদ আজ দেখেছে আকাশের এত রাগ।
আকাশ বলে, ‘তুই তো কারো বাবা হওয়ারও যোগ্যতা রাখিস না। তোর ঘরেও তো ছেলেমেয়ে আছে দেখবোকে কেমন। আর তোকে যদি আমি জেলের ভাত না খাইয়েছি।’
চাঁদ বলে, থামুন অনেক হয়েছে আর না চুপ করুন আমার ভালো লাগছেনা। আমি বাসায় যাবো।
আকাশ রেগে বলে, ‘কি বললি তুই। এখন আমার বাসায় যাবি। দারওয়ান বলে, মা এত কথা বলোনা চুপচাপ চলে যাও ছেলেটা রেগে আছে।’
আকাশ চাঁদকে টানতে টানতে গাড়ি উঠিয়ে বাসায় নিয়ে আসে। গেইট দিয়ে ঢুকার সময় রোকসানা বেগমকে ডাকে রোকসানা বেগম এসে দেখেন এত রাতে চাঁদ এখানে। কিরে আকাশ কি হয়েছে এত রাতে ওকে এখানে কেনো এনেছিস।
মা তোমাকে যেই জন্য তৈরি থাকতে বলেছি তা হলো এই যে। চাঁদকে সবসময়ের জন্য নিয়ে এসেছি। আমি বিয়ে করেছি ওকে। আর ওর দায়িত্ব এখন থেকে তোমার। রাজুকে বলো কাল দুপুরের মধ্যে আমাদের পাশের বাসায় যে প্লাটটা খালি আছে পরিষ্কার করতে। এই ধরো তোমার গুনধর বউকে। আমার কাছে যাতে না আসে। একদমে সব বলে চাঁদকে রোকসানা বেগম এর দিকে জোড়ে ছুড়ে ফেলে চলে যায় উপরে আকাশ।
চাঁদ তাল সামলাতে না পেরে দরজায় হাত কেটে যায়। রোকসানা বেগম তো অনেক খুশি এত বড় একটা উপহার তার ছেলে তাকে দিবে সে ভাবতেই পারেনি। তবে কি হয়েছে যে আজই বিয়ে করে ফেললো। তার সাথে বা এমন ব্যবহার কেনো। ইস মেয়েটা মনে হয় অনেক কান্না করেছে। তার ছেলেটা তো এমন ছিলো না। কি করেছে চাঁদ যে এতটা রাগ চাঁদের উপর। ইস রক্ত বের হচ্ছে। কিরে মা ব্যথা পেয়েছিস। আয় মা আমার কাছে, তুই আমার কাছেই থাকবি। কি হয়েছে পরে বলিস এখন চল ঔষধ লাগিয়ে দেই।
চাঁদ বলে, ‘আন্টি আপনি এত ভালো কেনো? আপনি একটুও রাগ হননি আমার উপর? একটুও মনে হচ্ছেনা আমি আপনার ছেলেরকে হাত করে বিয়ে করেছি?’
রোকসানা বেগম চাঁদের হাতে ঔষুধ লাগাতে লাগাতে বলেন, দূর পাগলি রাগ কেনো করবো। এখন তোর বিয়ে হয়েছে আমার ছেলের সাথে সুতরাং আমাকে মা বলবি। আমিও যে তোকে অনেক আগে নিজের বউমা মেনে নিয়েছি। আমি তো চাইতাম তুই আমার ঘরের বউ হস। তুই সেরকম মেয়েই না যে তোকে আমি এমন কথা বলবো। তুই তো আমার ঘরের আলো। আমার আকাশের চাঁদ। তুই এমন কেন ভাবছিস?
চাঁদ কান্না করে বলে, আসলে মা। উনি তো অনেক বড়লোক আমার সাথে যায়না। তাই সবাই অনেক কথা শুনিয়েছে। তারপর চাঁদ সব বলে রোকসানা বেগম এর কাছে।
রোকসানা বেগম শুনে বলে, ‘এতো কিছু হয়ে গেলো আমাকেও তো বলতে পারতি। আসলে তুই আমাকে আপনই মনে করিসনি কখনো। আকাশের তো রাগ করার কথা।’
- না মা আমি সবসময় আপনাকে আপন মনে করেছি। কিন্তু আমি মানুষের কথা খুব ভয় পাই। তাই মায়ের কথায় রাজি হয়ে যাই। কারণ, সবাই অনেক কথা শুনিয়েছে আম্মুকে। উনি যে আমাকে বিয়ে করবে আমিতো বুঝতে পারিনি।
- আরে পাগলি ছেলেটাকে তুই বুঝলিনা তাই এত রেগে গেছে। কিন্তু এত রাগ আমি এই প্রথম দেখেছি। আমি দেখছি কেনো সে এত রেগেছে তোকে ব্যথাও দিয়ে দিয়েছে। তোর মুখটা এত শুকনো কেনো খাসনি কিছু সকাল থেকে।
- মা সব কিছু নিয়ে চিন্তা করে গলা দিয়ে কিছু নামাতে পারিনি।
- কি করেছিস চেহারার একদিনে। বস এখানে, আমি খাবার নিয়ে আসছি। তুই আকাশের রুমে গিয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে আয়। তোর জামা থাকতে পারে। আমি খাবার আনছি।
- মা আমি এখানে থাকি। ওনাকে আমার প্রচণ্ড ভয় করছে।
- আরে পাগলি কিচ্ছু করবেনা। যা তুই এককাজ কর শুধু জামাটা নিয়ে আয় এখানে ফ্রেশ হ।
- আচ্ছা মা যাচ্ছি।
আকাশ খুব রেগে আছে। সে চাঁদকে কখনো কষ্ট দিতে চায়নি। শুধু দুপুরের ভয়টা এখনো তার মনে আছে। আজ যদি তিয়ান ফোন না দিতো তখন তো সারাজীবনের জন্য চাঁদকে হারিয়ে ফেলতো। একটা সুবিধা হয়েছে জেনে গেছে চাঁদ তাকে ভালোবাসে এখন কষ্ট দিতে মজা লাগবে। যাতে নিজের মুখে ভালোবাসার কথা বলে।
চাঁদ চুপচাপ আকাশের রুমে ঢুকলে, আকাশের খেয়াল হয় চাঁদ শাড়ি পড়েছে। লাল কালারের জামদানী এক সাইড দিয়ে পেট দেখা যাচ্ছে। আকাশ রীতিমতো চোখ সরাতে পারছেনা। চাঁদ আকাশের চাহনি দেখে লজ্জা পেয়ে বলে, আসলে আমি তো কিছু আনিনি কি পরবো? কি হলো কথা বলছেন না কেনো।
আকাশ ধ্যান ভেঙে বলে, ‘তোমাকে না বললাম আমার সামনে আসবেনা।’
- আমিতে আসতে চাইনি মা বলেছে।
- যাও বলছি।
- আমার জামাটা।
- আলমারির ভিতর আছে দেখো। তাড়াতাড়ি যাবে। আকাশ চাঁদ এর জন্য আগেই জামা কিনে রেখেছিলো। এ বাড়িতে চাঁদের কোনো সমস্যা হলে জামা চেন্স করতে পারে। চাঁদ দ্রুত জামা নিয়ে বেরিয়ে পরে আর ভাবে, বিয়ে করে এনে এখন সহ্যই হচ্ছেনা আমাকে কি করেছি আমি।
(চলবে...) ‘ডায়েরি’-এর ১০ম পর্ব- ধারাবাহিক উপন্যাস : ডায়েরি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড