আবুল কাইয়ুম
অমর একুশে গ্রন্থমেলা, ২০১৯ উপলক্ষে এই সময়ের বিশিষ্ট নবীন কবি সুশান্ত হালদারের (জন্ম- ১৯৭১) কাব্য ‘লালটিপ’ প্রকাশ করেছে বাংলাবাজার, ঢাকার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ফেস্টুন। শিল্পী কাজী যুবাইর মাহমুদের আঁকা নান্দনিক প্রচ্ছদ, পেপারব্যাক বাঁধাই ও সুন্দর কাগজে ঝকঝকে ছাপা নিয়ে প্রকাশিত এই ছয়-ফর্মার বইটিতে মোট ঊনআশিটি কবিতা স্থান পেয়েছে। এটি কবির বারোতম কাব্য। তাঁর প্রথম কাব্য ’মুক্তির গান’ প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৫ সালে। ব্যক্তিগত জীবনে একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য প্রযুক্তিবিদ পদে ব্যস্ত কর্মজীবন কাটাবার পরও চার বছরে বারোটি কাব্য রচনার মতো মেধা ও শ্রম দেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। ইতঃপূর্বে কবির এগারোতম কাব্য ‘অবন্তীকার কাছে খোলা চিঠি’ পড়ারও সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। সর্বশেষ এ-দুটো কাব্যের সংস্পর্শে এসে আমার মনে হয়েছে, অতিপ্রসূ কবি হলেও সামগ্রিক মূল্যায়নে তিনি অবশ্যই উত্তীর্ণ। উজ্জ্বল ও সম্পন্ন কবিতাচর্চার পুরস্কার হিসেবে অল্প সময়ের মধ্যে তিনি তিন-তিনটে সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এবং সমঝদার পাঠকশ্রেণির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছেন, যা কাম্য ছিল।
আলোচ্য ’লালটিপ’ কাব্যটির শেষ ফ্লাপে কাজী যুবাইর মাহমুদ কবির পরিচয়জ্ঞাপনকালে সংক্ষেপে কবি ও তাঁর কবিতা সম্পর্কে এই বলে সংক্ষিপ্ত মূল্যায়ন করেছেন— ‘কবি সুশান্ত হালদার মূলত দ্রোহ ও প্রেমের কবি। দেশ মাটি মানুষ আর ঘুণে-ধরা সমাজের অসঙ্গতিই তাঁর লেখার উপজীব্য।’ এই মূল্যায়ন যথার্থ ও প্রনিধানযোগ্য। আমিও কাব্যটিতে মুখ্যত দুটো বৈষয়িক প্রান্ত লক্ষ্য করেছি : ১. কবির স্বদেশলগ্ন ও মানবিক চেতনা এবং ২. তাঁর রোমান্টিক মনোভঙ্গি। তবে আমার কাছে প্রথম বৈশিষ্ট্যই অধিক দীপ্র মনে হয়েছে; প্রেমকে ছাপিয়ে এবং এমনকি প্রেম-প্রকাশের মাঝেও দৈশিক-মানবিক আবহটি সর্বদা স্রোতোস্বিনী থেকেছে। কবি দেশকে বড় ভালোবাসেন, এই মাটিতে প্রেম ও প্রশান্তি নিয়ে বেঁচে থাকার মাঝেই তাঁর সুখ। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই দেশের স্বাধীনতার গৌরব নিয়ে তাঁর প্রাণ উচ্ছ্বসিত, সে সাথে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিও পরম শ্রদ্ধায় তাঁর অন্তরাত্মা বিগলিত। বীর মুক্তিযোদ্ধা পিতার রক্তের উত্তরাধিকারিত্ব নিয়ে তিনি তাঁর হৃদয়কে ইতিবাচক দেশপ্রেমে কানায়-কানায় পূর্ণ করে কবিতাচর্চায় ব্রতী হবেন এটাই তো স্বাভাবিক। কাব্যটির ‘লালটিপ’ নামকরণটিও যথেষ্ঠ সার্থক বলে আমার কাছে প্রতীয়মান। এ যেমনি রক্ত দিয়ে অর্জিত পতাকার লাল সূর্যের মতোই আর এক প্রতীক, তেমনি প্রেম-সৌন্দর্য-ভক্তিতে প্রদীপ্ত চিরায়ত বাঙালি নারীর মোহনীয় ললাটচিহ্ন।
পুরো কাব্যটি পড়ে আমার মনে হয়েছে, স্বাধীন স্বদেশ বলতে কবি রাজাকারমুক্ত ও নানা অনাচার-অপঘাত বর্জিত একটি সুন্দর ও শান্তিময় বাংলাদেশকে চিত্তপটে লালন করেন। আর এই স্বপ্ন যখন বিঘ্নিত হয় তখন তাঁর হৃদয় একাধারে ব্যথিত ও দ্রোহী হয়ে ওঠে। বিপুল ত্যাগ ও বলিদানের বিনিময়ে অর্জিত এই দেশে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের কর্মকাণ্ড দেখে তাঁর উচ্চারণ—
একাত্তরে জন্ম আমার, দেখেছি রক্তাক্ত পতাকা মায়ের যোনিতে শত্রুর গ্রেনেড বোমা পিতার লিঙ্গ নিয়ে করেছে ওরা হাসি-তামাশা দেশ মাটি মানুষের জন্য কত মা আজ বীরাঙ্গনা তবুও রক্তাক্ত মাটিতে রাজাকার ওড়ায় স্বাধীন পতাকা (একাত্তরে জন্ম আমার)
আবার প্রিয় স্বাধীন স্বদেশে ইতিহাস-বিকৃতির ডামাডোল দেখে তাঁর অন্তর কাঁদে। তিনি দ্রোহী হয়ে ওঠেন, প্রতিবাদ করেন। আর সেই প্রতিবাদের অস্ত্র হয়ে ওঠে তাঁর কবিতা—
যদি চন্দ্রিমা উদ্যানে বিকৃত ইতিহাসে ঝরে পড়ে রাতের হাসনাহেনা যদি বিষাদগারে ভেসে যায় স্তম্ভিত বিজয় সরণির ফোয়ারা তবে তুমিই হবে শত্রুর ছাউনিতে অপ্রতিরোধ্য কবিতা। (দৃপ্ত স্বদেশ)
স্বাধীন দেশে মানবিকতার যেসব সংকট তাঁর চোখে ধরা পড়েছে— তিনি সেসবেরও সংক্ষিপ্ত চিত্র উপস্থাপন করেছেন বিভিন্ন কবিতায়। শুধু উল্লেখ নয়, প্রায়শই প্রকাশ করেছেন তাঁর দ্রোহাত্মক মনোবৃত্তির। সমকালে বিরাজমান হত্যা, নৃশংসতা, গণিকাবৃত্তি, মহাজনী শোষণ, ভণ্ডামি, ধর্ষণ, রোহিঙ্গা সংকট, ধর্ম ব্যবসা, ক্ষুধা, দারিদ্র, কুসংস্কার, অনাচার, টকশোতে বুদ্ধিজীবীর মিথ্যাচার, সংখ্যালঘু নির্যাতন, ব্যাংক ও শেয়ার বাজারের অর্থ লুট সহ নানা অমানবিক বিষয় তুলে ধরে তিনি একজন প্রতিবাদী ও হিতকামী কবি হিসেবে তাঁর উজ্জ্বল মানবতাবাদী ভূমিকাটি পালন করেছেন।
প্রসঙ্গত বলা দরকার, সমকালীন সংকটে-বিপদে নৈর্ব্যক্তিক ও নির্লিপ্ত থেকে নিছক স্বকপোলকল্পিত ভাবের হাওয়া ছড়িয়ে কাব্যচর্চা করা, যেমন দেখা যায় সাম্প্রতিক কালের অনেক কবির কবিতায়, কোনওক্রমে কাম্য নয়। কবির কল্পনা বাস্তব জীবনকে ঘিরে ও মানবকল্যাণকে আশ্রয় করে গড়ে ওঠা উচিত। তাঁর কল্পনা থাকবে, কিন্তু নিছক কল্পনাবিলাসী হওয়া তাঁর জন্য পাপ। মানবহিতৈষণাই হওয়া উচিত তাঁর মিশন। জাতীয়-সামাজিক ও গোষ্ঠীগত অনাচার-অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানব-বিবেক জাগ্রত রাখার দায়িত্ব তাঁরও। মানুষের স্বাধীনতা ও সুখের দিশা তিনিই দেবেন। আশার কথা, নবীন কবি সুশান্ত হালদার, কিছুটা হলেও, সে লক্ষ্যেই কাব্যচর্চা করে যাচ্ছেন। তাঁর সময়বোধক, সমাজমনস্ক ও দ্রোহাত্মক চেতনার একটি উদাহরণ তুলে ধরা যাক—
‘অধিকার আদায়ে আজও মরিয়ম ইজ্জত নিয়ে করে খেলা, সম্ভ্রমের গায়ে পিশাচের নখের আঁচড়ে রক্তাক্ত বাংলাদেশ! পৈশাচিক বীভৎসতায় সান্ধ্যপূজায় শেয়ালের হুক্কাহুয়া; এ যেন স্বাধীনতা-উত্তর রাজ্যপাটে শকুনের রাস মেলা!’ (শকুনের রাসমেলা)
কবির ‘স্বদেশলগ্ন ও মানবিক চেতনা’ প্রান্তের কবিতাগুলো নিয়ে আরো অনেক কিছু বলা যায়। এ কাব্যে তাঁর প্রেম ও দেশপ্রেম একাকার মিলেমিশে যেভাবে মহৎ শৈল্পিক আবহ সৃষ্টি করেছে তারও বিস্তারিত আলোচনা করা যায়। কিন্তু এই স্বল্প-পরিসরে তা সম্ভব না হলেও কবি কীভাবে নারীর রূপের মাঝে দেশ ও তাঁর মুক্তিসংগ্রামকে উপলব্ধি করেন এবং দেশ ও প্রিয়া কীভাবে একই সত্তায় লীন হয়ে যায় তার একটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরছি—
‘ওগো রূপসী মেয়ে তুমি যে পদ্মা মেঘনা যমুনা আমার শহীদ বেদীতে রক্তিম প্রভাত ঘোর অমানিশায় লজ্জাবতী চাঁদ পিতার জায়নামাজে অবসাদগ্রস্ত ভাই আমার মায়ের কাছে পিতার যুদ্ধে যাবার অঙ্গীকার’ (একাত্তরে জন্ম আমার)
তবে আমার কাছে যে বিষয়টি বেশি স্মরণীয় হয়ে থাকবে তা হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবির শ্রদ্ধার্ঘ ও অভিব্যক্তি। বেশ কিছু কবিতায় তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখেছেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কবি বলেই স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা অবিচল। সে সাথে পনের আগস্টের সেই শোকাবহ কালো দিনটির স্মৃতিতে তাঁর প্রাণ থেকেও ক্ষরিত হয় বিপুল রক্তধারা। কবি লিখেছেন—
‘যত দিন রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা তত দিন উড়বে আকাশে লাল সবুজের পতাকা। অকৃতজ্ঞ সন্তান বলে রাখতে পারিনি তোমার মান পিতার বুকে বুলেট বোমায় পিতৃস্নেহ করেছি খানখান ক্ষমতার লোভে ভুলে গেছি যুদ্ধজয়ী অভিযান।’ (পিতা)
কবির প্রেমবোধটি নরনারীর স্বাভাবিক কামনা-বাসনায় প্রলিপ্ত। সেখানে মান-অভিমান, বিরহ-মিলন, আনন্দ-বেদনা-অতৃপ্তি সবই আছে। আর এসবই নানা রূপকল্পে সুন্দর কাব্যিকতা নিয়ে উপস্থাপিত হয়েছে। তবে সবচেয়ে প্রণিধানযোগ্য হলো, নিছক প্রেম-বিবৃতির মাঝে আটকে না থেকে কবি তাঁর প্রেমের কবিতাগুলোতেও বিচরণ করেছেন নানা কল্প-ভূখণ্ডে। তিনি প্রেমাতীত অনুষঙ্গ ও ভাবনার সাথে জড়িয়ে প্রেমকে এক ভিন্ন নান্দনিকতায় উপস্থাপিত করেছেন। কখনও বা প্রেম থেকে আহরণ করেছেন তাঁর শক্তি ও সঞ্জীবনী। সৌমিকা, অবন্তীকা, অপরাজিতা, অরুণা, মালবিকা, অনিন্দিতা, সুরঞ্জিতা – এমন সব নামে তিনি তাঁর কাব্যপ্রিয়াকে অধিষ্ঠিত করেছেন। তাঁকেই সম্বোধিত করে তাঁর জীবন ও চেতনায় আশ্লিষ্ট কষ্টকথাগুলো বর্ণনা করেছেন। এই প্রিয়া কখনও হয়েছে তাঁর প্রেম-কামের সহচরী এবং কখনও বা তাঁকে কল্পনা করেছেন মোক্ষদাত্রী বা দেবী। আবার দয়িতার রূপে মুগ্ধচিত্ত হতেও দেখা গেল কবিকে, যিনি নিসর্গের তাবৎ উপচার এনে সেই রূপের বর্ণনা দিয়েছেন। দেশ-সমাজ-মানুষের সংকট-সমস্যার কথা প্রকাশের মাঝেও তাঁর প্রিয়াকেন্দ্রিক প্রেমবোধ জাগ্রত। তাঁর বহুমাত্রিক প্রেমার্ত কথকতার কিছু উদাহরণ দেওয়া গেল—
১ পাংশুটে ঠোঁট যেদিন তোমার স্তনবৃন্তে রেখে পরখ করেছিলাম অনাঘ্রাত জহর সেদিনই হেমলকের পেয়ালা ভালোবেসে ঘোষণা করেছি মৃত্যুর অজানা প্রহর! প্রিয়তমা, স্বপ্নের ফেরিঘাটে এখনো দুঃস্বপ্ন ফেলছে নোঙর। পাড় ভাঙে, ভাঙে ফসলের মাঠ অথচ স্বপ্নের জালে কৃষক বুনে যায় রঙিন আকাশ। (ঘুম)
২ প্রিয়তমা, চলে যাবো দূর অজানায় যেখানে ঘাসের গালিচায় বনলতা হবে তুমি আমার (বিদ্রোহিনী)
৩ যদি যাই চলে মালবিকা ভুল বুঝে দিও না যাতনা জোছনার বুকে শুয়ে যদি হও কলঙ্কিনী রাধা তবে রাতের বাসরে ডুবে মরবে কামপিয়াসী যমুনা (মালবিকা)
৪ শরীরের ভাঁজে লেগে থাকা প্রেম নগ্নবুকে উষ্ণতা ছড়ায় চকমকে মারুতির অযোনিলব্ধ প্রেম জ্বলে-পুড়ে মরে অকটেনে পাস্তুরিত গ্যাসে তবুও নিষেক রাতবিরেতে উত্থিত শিশ্নে তবুও প্রেম কেঁদে যায় গিলোটিনে!! (অযোনিলব্ধ প্রেম)
৫ তোমাকে ভালোবাসি বলেই আজ আগ্রাসী হলাম হৃদয় থেকে ছুঁড়ে ফেলেছি কাস্পিয়ান সাগরের লবণাক্ততা চোখে শ্মশানচিতার অগ্নিময়তা আর বারুদে ভরা রক্তে আমার হিংসার বারতা (হারিয়ে যাওয়া দুর্বাসা)
কবি সুশান্তের কবিতার আর একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো গভীর নিসর্গপ্রেম। বাংলার প্রকৃতি থেকে অসংখ্য উপাদান তুলে এনে তিনি তাঁর কবিতায় থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন। তিনি যে বিষয় নিয়েই বলতে চেয়েছেন, হোক তা দেশলগ্ন, সমাজঘনিষ্ঠ বা প্রেমময়, তাতে সর্বদাই নিসর্গচিত্রের আশ্রয়ে তাঁর মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। তাঁর কবিতার চিত্রকল্পগুলো দৃশ্যমান প্রকৃতির, বিমূর্ত বা পরাবাস্তব চিত্র এঁকে কবিতাকে তিনি জটিল করে তোলেননি। সেগুলো যেমন বৌদ্ধিক উৎকর্ষে ঋদ্ধ এবং অন্যদিকে দৃষ্টিনন্দন ও পেলব। চিত্রকল্পগুলো তাঁর কবিতায় একটি প্রাণছোঁয়া আবহ সৃষ্টি করে রেখেছে। সে সাথে গ্রিক ও ভারতীয় পুরাণের বিভিন্ন চরিত্র এবং বেশকিছু ঐতিহাসিক চরিত্রকে তুলে ধরেছেন তিনি, যা তাঁর কবিতাকে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।
তাঁর কবিতার ভাষা সহজ ও সাবলীল, কিন্তু বৌদ্ধিকতার স্পর্শে গভীর অর্থময়তার দ্যোতক ও নান্দনিক। প্রবহমান গদ্যভঙ্গিই তাঁর কবিতার বাণীবন্ধ গড়ার প্রধান মাধ্যম, যদিও তিনি অল্পকিছু অন্ত্যমিলযুক্ত কবিতাও লিখেছেন। অস্ফূট ও স্ফূট স্বরের মিশেলে তিনি এক-একটি কবিতায় বলতে চান অনেক কথা। আর কবিতা যে অপিরিহার্য শব্দমালার বুনন তাও তাঁর কবিতা পাঠে উপলব্ধ হয়। ভাষা ও বিষয়ের উপস্থাপনে তাঁর যে সামান্য শিথিলতা বা অসঙ্গতি রয়েছে, তা তাঁর মতো একজন নবীন কবির বেলায় খুব একটা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। কবি হিসেবে তাঁর মাঝে যে বিপুল সম্ভাবনা দেখি তাতে শৈলীগত দিকটি আগামিতে আরো পরিপক্ব হবে— আমার দৃঢ় বিশ্বাস। তাঁর কাব্যশৈলীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিকটি হলো—কবিতায় শাস্ত্রীয় ছন্দ ও অলংকার ব্যবহার না করে বিবৃতিধর্মী হার্দ্র বাণীর বিস্তার, তা তাঁর মুক্তগদ্যের কবিতাগুলোর ক্ষেত্রেও। আঙ্গিক বিন্যাসের ক্ষেত্রে এই যে স্বকীয়তা— এটাই একজন কবিকে সামনে এগিয়ে দেয়।
পরিশেষে কাব্যটির পাঠকপ্রিয়তা এবং কবি হিসেবে সুশান্ত হালদারের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি।
গল্পগ্রন্থ : লালটিপ, লেখক : কবি সুশান্ত হালদার, প্রকাশক : ফেস্টুন প্রচ্ছদশিল্পী : কাজী যুবাইর মাহমুদ প্রকাশ কাল : ২০১৯
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড