মেহেদী হাসান রনি
নীলাবতী, তোমার জন্যে এখনো আমার কিছু সময় প্রতীক্ষার দিন গুনে। পায়ে নূপুর পড়ে তুমি আসবে, আমার প্রণয়ের নির্জন ঘরে আঁধার রাতে। আর বলবে, দেখো না, ‘আমি এসেছি রাতের চন্দ্রা হয়ে তোমার কাছে। এ রাতে তোমার চোখে চোখ রেখে গল্প করে রাতটা রাখব স্মৃতি করে।
নীলাবতী, আসলে না কখনো সেই আঁধার রাতে, এতটা রাগ কেনো তোমার? বুঝতে চাওনি, কতটা অসহায়, কতটা প্রণয় হারা, অচেনা পথিক বেশে এলোমেলো পথে ছুটে চলি তুমি ছাড়া।
নীলাবতী, তোমার জন্যে বাগানের ছিঁড়া ফুলগুলো শুকিয়ে গেল, ফুলগুলো ছিটানো ছিল যেখানে তুমি হেলান দিয়ে শুতে। আর সেই ফুলের সুগন্ধি তোমার মনের মধ্যে জাগ্রত করতো অজানা অনুভূতির প্রেম আর দু’চোখে আঁকতে জলে ভেজা প্রণয়।
নীলাবতী, তুমি আসনি, তোমার প্রতীক্ষায় আজও বসে থাকি। তবুও খোঁজ মিলে না। হয় না শব্দের সাথে পুরনো কথার মালা গাঁথা।
নীলাবতী, আজও আছো আমার মনে রাতের চন্দ্রা হয়ে। যাকে পাগলের মতো ভালোবাসি আমি। তুমি দেখনি, সেই মন তোমার প্রণয় নেশায় স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে হারায় অফুরন্ত ভালোবাসার পানে।
নীলাবতী, ভুলটা কি আমার ছিল, রূপের নেশা কেনো ছড়ালে? তোমার রূপ আমায় আজও ভাবায় নির্জনতায়। তখন আমি জ্বলে উঠি দেশলাই কাঠির মতো, খুঁজে বেড়াই সামান্য আলোর মাঝে। আর মনের আকুলতায় বলি, ‘তুমি ফিরে আসো নীলাবতী, আঁধারের দেশলাই কাঠির জ্বলন্ত অগ্নির মতো হয়ে।’
তবুও এ হৃদয় একটু হলেও রাত জাগা চোখে নিদ্রা ফিরে পেতো, তোমার পূর্ণিমা ভরা চন্দ্রার চেহারা দেখে।
নীলাবতী, তুমি নিষ্ঠুর, আমি সেটা বলব না। বলব না কারণ, তোমায় ভালোবাসে প্রণয়ের সহস্র ভাবনা লিখে রেখেছি আমার ভিতরে।
নীলাবতী শুনো, সহস্র কাজের ভিড়েও জেনেনিও আছি তোমার অপেক্ষায়। একবার এসে দেখো কাছে, বুঝবে কতটা ভালোবাসি তোমাকে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড