মাসুম মুনাওয়ার
বদমাইশ ইঁদুর
আহা! এই আকালের দিনে
জলজ্যান্ত ফসলগুলো কেটে ফেলছে বদমাইশ ইঁদুর
বলবার মত কোনো ভাষা নেই, শিকারি শকুন নেমেছে ডাঙায়
অর্ধ-মরা গরুটা খুঁড়ে খুঁড়ে হাটছে- শকুনগুলো চলছে পাশাপাশি
বহুত দিন আকাল পরে না এদেশে-
অভূক্ত থাকে না কোনো ছায়াবৃক্ষনারী।
জীবন তাদের উজ্জ্বল সুঘ্রাণ।
অথচ আমাদের বন্দরে জমে নেই কোনো পলি।
হাহাকার
শুকনা পাতাগুলো টুপ করে
আলতু চুমু এঁকে দেয় বুকে-
গহীনে তার দুঃখ জমা থাকে,
সিঁথানে একঝাঁক পুঁইশাক।
ফিরনি খাবো মাগো, পুত্র ডাকে
আমার মনে আজ দুঃখ নাই-
অকুল পথ-ঘাট পাড়ি দেবো
আম্মাগো কান্না রাখ, সুখ নাই।
জামাই বাবু ডাকে কুল নাই
হিরণ ফোটা দিন সাঁতরায়-
আম্মাগো চলে গেছে বাবু রাও
আমার পক্ষে আজ কেউ নাই।
আহা! এই আকালের দিনে
রঙছটা শাড়িটা মলিন
হয়েছে, বিষাদে ঢেকে গেছে
বন, আর কোনো আশা নেই
পাতাদের ভিড়ে দেবো পাড়ি!
ভাঙন ধরা নদীর কুলে
কিনারায় দাঁড়িয়েছে দেখো
অনার্য কোনো পুরুষ-নারী।
সন্তান যার আসেনি ফিরে
শিঁড় উঁচু করে বুক চেপে
আছে তামাম বাংলার মূখে।
হাহাকারগুলো সাড়ি বেধে
মেঘ জমেছে দূরে কোথাও
নীল আকাশের ভাজে ভাজে।
আগুন
দীর্ঘ একটা আগুন জিব বের করে
এগিয়ে আসছে মোরে স্বাগত জানাতে।
লাল-নীল-শাদা-কালো অথবা হলুদ।
প্রেমের উল্টো মণ্ডপ থেকে হৃদয়ের
গহীন জঙ্গলে এই যাত্রা শুভ হোক।
ছো্ট্ট এক বিস্ফোরণ হয়ে গেলো চুপে
মনের ভেতর। নদীটা ফেটে পড়ছে।
যার দুই পাড়ে ভস্ম হইতেছে ঘন
নারীদের স্তন। লাগাম টানা গেলো না,
আহা! চোখের ভ্রুগুলো বেগানা বেহুশ
দিগন্ত জুড়ে আগুন দেখিতে লাগিলো।
পাহাড়গুলো উসকে পড়ছে মাঠেতে-
ময়দানে। বেশরম জমিনে জমিনে
ব্যাঙগুলো ডাকিতেছে। আমি তো ফুতুর
হয়ে যাচ্ছি। এক সন্ধ্যা নামছে অদ্ভুত।
নীরব একটা আগুন ধেয়ে আসছে।
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন সজীব
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
ফোন: ০২-৯১১০৫৮৪
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড