মঈন মুনতাসীর
রাজা, রাজহাঁস এবং রকমারিগণ
মুখে লাগাম দেবো ভাবি- আগাম দাবি আর করবো না, লড়বোনা এই নারীর সাথে- তবু নানা অজুহাতে আমরা যুদ্ধে নামি- আগামী দিন সুন্দর হবে তাই!
জালিমের খাঁচায় বহুদিন পলাতক রয়েছি, অসংখ্য মশা-মাছি আমাকে নর্দমা ভাবে, সেই কবে উজানের নদীতে দেখেছি পারাপার- এখন ভাটা পড়েছে মানুষে-নদীতে সবার।
মুনতাসীরের এমন দশা হায়, কোপ না দিয়ে রাজার গলে- কোপ দিয়েছে নিজের পায়!
এদেশ, কুকুর কিংবা সিংহাসন
এদেশে আসেনি কতোকাল প্রেমের মৌসুম, ঘুমহীন কতো রাত দুচোখে জানা নেই!
এই পাগলা কুকুরের বিষাক্ত লালার কসম, ওম নেয়া বরফ-রাত একদিন জমাট হবে!
কবে কোন কবি দিয়েছে অভিশাপ তারে সাড়ে তিন হাজার বছর আগের এক দুপুরে কুকুরে তখন চাটছে মানুষের জিহ্বা-গাল, শালবনে গেয়ে চলেছে হরিয়াল কীর্তন হরতন, টেক্কা, তুরুপ চলছে সিংহাসনে!
কে জানে কোন দেশ, কোন স্বাধীনতা পেলাম! প্রেম কী! আমি কে! সাহেব-বিবি-গোলাম!
হে উর্বর জমিন, অন্তরালের প্রাণদ এবং শুয়োর কবি
হে উর্বর জমিন, বেনামি অর্ধ-শতাব্দী কেটে গেলো, কাক্সিক্ষত ফসল কোথায়! মরীচিকা ধরা এই সময়ের গায় শুধু ক্ষত, শুধু ছাইভস্ম! নিঃস্ব মানুষের কাতার দিনদিন হচ্ছে আরো দিগন্ত-প্রসারী! তোমার পায়ে ধরি, সোনালি ফসল ফলাও! দাও, হে অন্তরালের প্রাণদ, বিষাক্ত মহামারী দাও! হাউমাউ করে যেনো উবু হয়ে কাঁদে সব স্বার্থবাদী কবি। যারা মানুষের দাবি উপেক্ষা করে গড়েছে ব্যবসার পথ, মুখ থুপরে পড়ে থাকা গলিত নেকড়ের শপথ, আবু লাহাবের মতো ওদেরও দুহাত ধংস হোক! লোকমুখে অন্ন নেই কতোদিন হলো- হে উর্বর জমিন, নবান্নের দিনগুলো কী করে ভুলেছো! মেছো বাগদির দল নিজের ভূমি ছেড়ে দেশান্তরে, এ কোন মন্বান্তরে ডেকে আনলে তুমি! অথচ, এই ভূমি জন্ম দিয়েছে কতো সোনার মানুষ, আজ জন্মাচ্ছে- বিকলাঙ্গ- পতঙ্গ সর্বস্ব ধূর্ত খয়ের খাঁ! বাঁ থেকে ডান, উপর থেকে নিচ, ওরা ঘিরে রেখেছে সিংহাসন!
কপট যোগাসন ছেড়ে যদি উঠে যাই প্রাণদ, যদি তীক্ষ্ম দৃষ্টি না রাখি- ওরা সিংহাসন গিলে খাবে- শুয়োর কবি, শহুরে বাজপাখি!
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড