রেদওয়ান আহমদ
পৃথিবীকে চিনতে না পারার মতন যেসকল ভোর শ্রাদ্ধ হয়ে আসে,
সেসকল রাত আমার অনায়াসে ফুরায় না
তোমাদের কাঠ পোড়ার সব আগুন এসে জ্বালিয়ে যায় আমার ঘরের প্রত্যাখ্যাত সব দাগ।
আমি একদাগ নীল খেয়ে, নীল হয়ে ভাবি নীল যদি হয় বেদনার জাতক, তবে শাদা কি সুখের?
এইসব ভাবনার কোন উপায়ান্তর না পেয়ে আমি শাদা হয়ে যাই- মৃত ফড়িংয়ের উড়ে যাওয়া দৃশ্যের মতো।
তোমাদের পাহাড় খোলা ভাব আমার ঘরে ঢুকতে দেই না, আমি এসব ভিজিয়ে রাখি বাতাস শুকানোর মতো।
কি করে যে বেড়ে যায় চালতার দাম তা আজও আমার বন্ধুসুলভ নয়।
মনে পড়ে শৈশবে বালুর স্তুপে লিখতাম বাংলা নাম। বড়শিতে শোল ধরার পর কি এক কর্তা-কর্তা ভাব নিয়ে বাড়ি ফিরতাম, সে এক আধোপনা কৈশোর আজও রাগাহূত সাপের মত ফণা তোলে; আর আমি - আর্ত নাবিক, নূহের জাহাজ নিয়ে আটকে পড়ি।
রং আর আলোর শহরে যাওয়া হয় না তোমাদের পালক হারিয়ে ফিরে আসা নিয়ে আমার আর কোন ভূগোল নেই আমি রাতসুদ্ধ চাঁদ খেয়ে ফুঁপাতে থাকি।
কি করে যে অমাবস্যা আর আমার সখ্যতা হয়ে গেলো আর তা জনে -জনে জেনে গেলো সবাই আজও তা মাঘে'র কুয়াশার মতো মনে হয়।
আজও পৃথিবীকে একটি অপাঠ্য ধূলিজমা বই ছাড়া কিছুই ভাবতে পারিনি আমি।
ধানখেতে লুকানো দিন এভাবেই কেটে যায় আমার, এভাবেই সবক'টা ঝোপঝাড় দিন শেষ করে আমি আবার হাঁটতে শুরু করি, আর হাঁটতে হাঁটতে ডাকতে শুরু করি প্যাঁক প্যাঁক; প্যাঁক প্যাঁক। যা শুনে বাড়ির ছেলেমেয়ে বুঝে উঠতে পারে সন্ধ্যা নেমে এসেছে, আর তাদের খোঁয়াড়ের একমাত্র পাতিহাঁস বাড়ি ফিরে আসছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড