নজির আহমেদ
দর্পন
আমি জানি, কত বিশ্বাসের ঘাতক আমি; কতখানি পাতক। কেননা, নিজের অগোচরে পাপ আর মায়ের অগোচরে বাপ হয় না।
সাপের মুখ ব্যাঙের ত্রাহি লাফঝাফ ব্যাঙ মুখে সাপ।
এই যে ক্ষুধা এবং বাঁচার তীব্র লড়াই, খুঁজলে রহস্যবান হুদা-হুদাই জাত-পাতের বড়াই।
স্মৃতি
কতবার ভেবেছি ভুলে যাব স্মৃতিগাঁথা নীলাকাশ। আত্নকেন্দ্রীক হব, ভালো থাকবে বুকের বামপাশ।
চাইলেই কী তা হয়! ভুলতে গেলেই মনে পড়ে যায়। স্মৃতি-যতটা সুখ দ্যায় তারচেয়ে অনেক বেশি কাঁদায়।
মার্বেল
একটা মার্বেল গড়াতে গড়াতে ঢুকে যাচ্ছে খাঁটি অন্ধকারে।
অন্ধকার মূলত রাত্রি পিচ্ছিল এবং শ্যাওলাযুক্ত রহস্যময়।
উৎসুক উঁকি দিয়ে দেখছে জলজ আঁধার বৃষ্টিজল ভাঁজ করা উদ্যান।
মাটির জরায়ু ভেদ করে বেরিয়ে আসা বৃক্ষ দুলছে বাতাসে।
সমন্বিত সময়
আসে না, সবকথা সব সময় ঠিক আসে না।
কাছাকাছি আনাগোনা করলেও, আসে না।
যদিও আসে, ধরা যায় না,ছোঁয়া যায় না; বাঁচেও না।
বাসে না, ভালোবাসার কথা বলেও; বাসে না।
যা দেখি, তা অভিমান ও অভিনয়, দু’জনার সমন্বয়।
যাঁতাকল
মাটির হাঁড়িতে জলবায়ু শিরা, শিরায় শিরায় স্রোত। স্রোতের দহন কাঁপন ধরায় সবুজ পাতায় সুগন্ধিরা খায় ঘোঁৎ।
মধুমিতা কোথায়?ও মধুমিতা! ডেকে ডেকে ক্লান্ত হয় পাখার বাতাস। মাসে মাসে বছর গড়ায় এভাবে বছরকে বছর গিলে খায় মাস।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড