• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জি মেন্ড উয়োর ‘সব উজ্জ্বল মুহূর্ত’

  অনুবাদক : তিতাশ চৌধুরী

০৬ জানুয়ারি ২০২০, ১১:২০
কবিতা
ছবি : প্রতীকী

অন্ধকার থেকেই কেবল উজ্জ্বলতম আলো আসে এবং গোধূলিকালেই রমণী সুন্দর। সন্ধ্যাবেলায় কানের দুল উজ্জ্বল এবং রাত্রিতে অশ্বপৃষ্ঠের গদির পেরেক। গুমুদা ফুলগুলো সন্ধ্যায় ফোটে ঘরমুখো অশ্বগুলোর দিন শেষে হ্রেষাধ্বনিগোধূলির আলোর গান মানুষের মেজাজকে উজ্জীবিত করে বস্তুত মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা থেকেই অধিক আলো আসে; মেঘের ফাঁক দিয়ে যে-সূর্যালোক – সেটিই সবচেয়ে উজ্জ্বল। এবং কর্ম সত্যের প্রাণরস ধূমকেতুর ছটায় আলোর অপূর্ব উদ্ভাসন এবং একটি পুত্রসন্তানের জন্মের ভেতর দিয়েই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড আলো ছড়ায়। আমি যতটা নিঃসঙ্গ আমার মনে হয় পৃথিবীর আহবানেই আমি স্বর্গচ্যুত হয়েছি আমার বিশ্বাস, আকাশের উজ্জ্বল কালপুরুষ থেকেই আগুনের সৃষ্টি, এবং নক্ষত্রের গল্প পৃথিবীর স্বপ্ন থেকেই নেওয়া আমি একাকী নিঃসঙ্গ, আমি কেবল নিজ সত্তা নিয়েই ভাবি।আমি যতটা একাকী, ততটাই আমি নিজেকে স্পষ্ট দেখি। আমি যতটা একাকী – ততটাই আমি অন্যের নিঃসঙ্গতা অনুধাবন করি। আমি যতটা একাকী – ততটাই আমি কোনো অদৃশ্য সত্তায় মিশি আমি যতটা একাকী – ততটাই আমি শ্রবণাতীত সংগীত শুনি বস্তু একাকিত্বের এই স্বাধীনতা আমার উপভোগের বিষয়।একমাত্র জার, যদিও অস্পষ্ট কিন্তু তা স্টেপে সমতলের ওপর শাদা হয়ে দেখা দিয়েছে; একমাত্র পাখি – যদিও স্পষ্ট, দৃশ্যগোচর, তবু মেঘমুক্ত আকাশে চক্কর খায় একমাত্র ঘোড়া – দিগন্ত থেকে আমার দিকে ছুটে আসে। এবং এইসব স্বর্গীয় কবিতাই আমার অভিজ্ঞতা।আমি যতটা নিঃসঙ্গ – ততটাই আমি ঘাসের গভীরে প্রবেশ করি আমি যতটা নিঃসঙ্গ – ততটাই আমি আমার পূর্বপুরুষের সত্তায় মিশি আমি যতটা নিঃসঙ্গ – ততটাই আমি অনাসৃষ্টি জ্ঞানকে আহরণ করি, আমি যতটা নিঃসঙ্গ – ততটাই আমি উজ্জ্বল শাম্ভালার নৈকট্যে পৌঁছুই কারণ নিঃসঙ্গতা শক্তির ভেতরই আমি উষ্ণতাকে খুঁজি পাই।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড