আদিব হোসাইন
নিমন্ত্রণ
গাঙচিলের পাখায় ভর করে উড়ে যায় বিষণ্ণ আঁধার কুয়াশাচ্ছন্ন মেঘলা আকাশে লুকায় মন খারাপের ঔষধ। বিহঙ্গ কখনোই মুক্ত মানুষের কল্পনা শক্তির বাইরে উড়তে পারেনা, তা জানে কেবল কালের প্রেমিক এবং প্রেমিকারা! যখন প্রেম জাগে হৃদয়ে, ইচ্ছা এবং আশার খবরাখবরে হৃদকম্পনে প্রেমের ইশারা দেয়, পৃথিবী বাঁচে মানুষের মনকে ঘিরে!
আঁধার, অসুখ, মন খারাপ, এবং বিষণ্ণতা একধরণে মিথ, তা সত্যতায় আসে যখন দু’টি মন থাকে এক এবং একক!
রাজনৈতিক মাঠে বিষফোঁড়া জন্ম নেয় সত্য-মিথ্যার কালো বাজারির দরদামে। পৃথিবীতে সুখি পরিবার লক্ষ্য করলে দেখি দিন শেষে পানশালা গুলোই শান্তিতে থাকে। নৈরাজ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলের চিন্তায় নেত্রীত্বের প্রভাব বিস্তার করে সামাজিকতার নামে অসৎ হাতে তবু, মানুষ আশা রাখে দিন শেষে একদিন শান্তি আসবে।
জন্মে দিন শুরু হয়, মৃত্যুতে দিনের শেষ হয়। মাঝ পথে বেঁচে থাকার মুহূর্ত গুলো ভালো কাটে? প্রেমে ভালোবাসা প্রকাশ পায় ভালোবাসায় জন্মায় প্রতিটি মানব কর্মের শুরুতেই তবু ফেরারি কোকিল নীড় খুঁজে পায়না কোনটা তার লিখিত আবাস।
ফুলের প্রয়োজন ঘ্রাণে নয়, সৌন্দর্যেও তার নয়ন উঁকি দেয় প্রকৃতির শরীরে মানুষের সম্পর্কের জন্মের পূর্বেই কাঁশফুল, বাঁশফুল, কাঠগোলাপের শরীর মেলে ধরে পথ দেখাবে সে আচ্ছা মানুষ কি ফুলের মত সুন্দর নয়?
অবেলার এলোমেলো মুহূর্তে ডাকপিয়নের ডাক গোপনে চুলের খোঁপায় গুঁজে দেওয়া কোনো অচেনা বালিকার গানের সুর কাকে কলসি নিয়ে শীতল দিঘির কিনার হেঁটে বাড়ি ফিরার সময় যুবকের কর্মরত ঘ্রাণ কানে অপরাজিতা, কপালে কালো টিপে লিপিবদ্ধতা করা কোনো যুবকের আব্রু শাড়ী পরিহিত আমার পিঠের ভাঁজ খোলা ব্লাউজের ফাঁকে লুকানো সুরাত এর'চে বেশি কি চাওয়া হতে পারে একজন প্রেমিকার?
তোমাকে প্রায় গোপন স্বপ্ন কথনে বলি এবং বলতে চাই, আমার এতো কিছুর প্রয়োজন নেই। মুক্ত বিহঙ্গের মতো দূর্বাদল ছোঁয়ে তোমার চোখে দেহ লুকিয়ে কালের হাত ধরে দূরে পালিয়ে যাবো একদিন, যাবে?
মাইনাস
দুর্বলতা আছে বলেই হয়তো এখনো তোমাকে আড় চোখে দেখি, এবং দূরত্ব তৈরি করার পরও বুঝি তুমি আমার খুব কাছেই আছো। এই যে গোপনে তোমাকে একাই আহ্লাদে লালন করে যাচ্ছি দিলে, হয়তো কথা গুলো তোমার কানে গেলে বিরক্ত আসতে পারে, মনে মনে ভাবতে পারো, ‘মানুষ এতো ছেঁচড়া হয় ক্যামনে!’ এতো করে বললে, তোমার সাথে আমার যায়না, তাও তোমার পিছনে পিছনে ঘুরে খুঁজি শয়তানের মতো ইমানদার বান্দার সান্নিধ্য।
শোন, ব্যপারটা আসলে কি করে বুঝাই তোমাকে, আসলে তোমাকে আমি নিজের চেয়ে বেশি কখনো ভালোবাসিনি। কিন্তু যখনই নিজেকে একা লাগে, নিজের ভেতর একাকীত্ব আসে, তখন তোমার কথা, তোমার স্মৃতি আমাকে সঙ্গ দেয়৷ যেমন, কার্ল মার্ক্স এর কথা এখনো সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছে একা লড়াই করা সমাজতান্ত্রিক দলকে! হিসাব করে দেখেছো, তারা কিন্তু সমাজ পরিবর্তন করতে না পারলেও নিজেকে ঠিকই পরিবর্তন করেছে। এই যে, তুমি আমাকে নিজের না করলেও তোমাকে আমার নিজ ভেবে সুখ পাচ্ছি! বচন হলো, চোখের সাথে সন্ধি করতে গিয়ে দিয়ে আসলাম নিজেকে।
দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা
শাখীদের দেহচ্ছেদে বাইর হয়ে আসে রবী, উচ্ছলতায় ছুঁয়ে যায় কিরণ কেশ ভর্তি মেঘে, টিপের আড়ালে হাসির অফুটন্ত আবেশে চোখের ফাঁক দিয়ে প্রকৃতির নগ্ন চিত্র দেবীর মতো লাগে!
ক্ষুদ্র দেহভাঁজে চরিত্র আঁকে সমুদ্রের ঢেউয়ের, আঁচল উড়ে জাহাজের মাস্তুলে নাবিকের খোঁজে মন খোলে দাঁড়িয়ে যাই পাড়ে, পা ভিজে যায় লবণাক্ত জলে!
হৃদয়ের অতিরিক্ত চাওয়াতে তোমাকে অন্বেষণ করি, জানি হয়তো পাবনা আর, অধ্যবসায় থাকলে পরে যুদ্ধেও আসে জয়, আশা করতেই পারি নতুনত্ব তোমার!
চোখেতে মন খারাপের অসুখ দেখেছো, সে তোমাকে ছোঁয়ার আক্ষেপের ফলাফল স্পর্শ যখন দিলে এসে আঁকড়ে ধরে প্রেমে, আঁধার আসলেই নয়ন করে টলমল।
মিথ্যে আশ্রয়ের নামে তথাকথিত কথা বাদ দাও, ফিরে আসো পুরনো দিনের স্মৃতিতে যদিও পৃথিবী তিন অব্দে ঘুরে থাকে একা, সব কিছুরই জন্মও মৃত্যু বর্তমান সময়তে!
দেখো, আমার কাছে সবই আছে রাখা, তোমার কাছে যা এখনো অমৃত হয়ে আছে, সুযোগ নয়, সময় এসেছে আসার, ঘর খোলে চলে আসো আমার হৃদয়ের কাছে।
আকাশে মেঘ হলে চিৎকার করে প্রকৃতি, যদিও মানুষ বুঝতে পারেনা হচ্ছে কী তা, তুমি-আমিও মানুষ, তাই হয়তো বুঝতে পারিনি আজও কেউ কারো মনের ব্যথা।
দুঃখ নেই আমার, কৈশোর চিত্তে একাকীত্বে ছায়াবৃত্তে সঙ্গ আঁকি বেঁচে থাকার আমি কষ্ট পুষিওনা আর, যৌবনের শিকলে বহু কায়ার বরং আবৃতিতে টিকে থাকো তুমি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড