জোব্বায়ের মিলন
অনার্য সময়
বকুল ফুলগুলো আর রইল না বকুল গাছে চাঁদের গা থেকে জ্যোৎস্না ঝরে গেল রাত্রি বাঁকে- আলো-প্রসবিনী সূর্য আরোগ্য-হীন ধুকছে মরণ রোগে. . .
সমুদ্রে নেই জাগ্রত-জাগরণী ডাক; নদী কলতানে শুধু মুমূর্ষু আওয়াজ সরব পাখির স্বরে অস্তগত মৌনতা; কাগজের ফুলে ঠাসা নগর নার্সারি।
যাদের দেখেছি নিষ্ঠ সন্ন্যাসী রূপ তারা সব নামকরা বড় যাদুকর! তন্ত্র-মন্ত্র জব্দ করে নিয়েছে সুরলিত আকাশের সফেদ উঠান; ছাতিম ফুলগুলো নেই আর ছাতিম গাছে।
উন্মন
পাখির ঠোঁট থেকে খসে পড়ছে যে ধান সে ধানে অঙ্কুরিত হবে না কোনও সবুজ পাতা। পাখিরা ছেড়ে যাচ্ছে শহর, নগর, গ্রাম, গঞ্জ- ও-সুশীল চোখ তুমি এতো অন্ধ কেনও! নদীরা চলে গেছে সমুদ্রের সব হাতছানি ফেলে কূলের বধূর স্পর্শ ভুলে জলেরা হয়েছে বালিরোয়া বুক থেকে ঝরে পড়ছে সমস্ত বোতাম ও-সভ্য সভ্যতা বোবা হয়ে আছো কেনো?
তরুর শাখা থেকে নেমে যাচ্ছে পাতা ভেঙ্গে পড়ছে ডাল-পালা উপড়ে পড়ছে শেকড়-বাকর কার কাছে গিয়ে পাবো সজিব রঙ, সবুজ আঁচল- ও-শুবু্দ্ধি বধির হয়ে আছো কার সুবিধার্থে! রোদ উবে গেলে কী করে জ্বলবে উনান- আগুন নিভে গেলে আসবে কি নৃত্যরত সকাল?
পূর্ণাঙ্গ
কখনোই ভাবি না, হোঁচট খেলে কেউ টেনে তুলবে এও ভাবি না, রোগ-শোকে সান্ত্বনা দেবে কেউ।
পড়তে পড়তে উঠতে শিখেছি শিখতে শিখতে এতো দূর এসেছি। পথ কি শেষ হলো? মোটেও না। এখনো মেঘ থেকে শিখি, রোদ থেকে শিখি সন্ধ্যা থেকে শিখি, রাত থেকে শিখি; এখনো কাউকে ভালো লাগলে তার থেকে শিখি মন্দ লাগলে সেও শিখি- এই শেখাটাই উঠতে বসতে কাজে লাগে, আর সব উবে যায়, উড়ে যায়।
অন্য হাতের ভরসা করে পঙ্গু-বিকলাঙ্গ যারা পূর্ণাঙ্গ তো তারা, যারা নিজেকে নিজেই টেনে তুলতে পারে খাদ কিংবা গিরিখাত থেকে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড