নরসিংদীর গ্রন্থমেলায় হাতের কাছে বই পেয়ে গ্রামীণ পাঠকদের উচ্ছ্বাস

হাতের নাগালে মনের মতো বই, হাতে নিয়েই বিনা খরচে পড়তে পাড়ছি। পছন্দ অনুযায়ী বই ক্রয়ও করতে পারছি। এই সুযোগটি জীবনে প্রথম পেলাম। কেননা আমরা মাধ্যমিক স্কুলে পড়ি। সারা বছর স্কুলের পাঠদান করতে গিয়ে সকাল সন্ধ্যা কেটে যায়। খুব একটা সময় মেলেনা ঢাকায় যাওয়ার। এই সুযোগটি যেনো হাতছাড়া করতে পারছিনা।

নরসিংদীর পলাশ থানা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থী রিক্ত হাসান কথাগুলো বলছিলেন নরসিংদীর পলাশে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজিত গ্রন্থমেলায় দাঁড়িয়ে। তার পছন্দ হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস।

তার সাথে সাথে একই স্কুলের অপর শিক্ষার্থী তানভীরও মেলায় এসেছে। সে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তার পছন্দের তালিকায় জাফর ইকবালের বিজ্ঞানের বই। পাশাপাশি কাজী নজরুল ইসলামের গল্প এবং হুমায়ুন আহমেদের লেখা উপন্যাস। এখন স্কুল ছুটি হওয়ায় বাসায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত মেলায় ঘুরে ফিরে বই দেখছে। দেখে শুনে দুটি বইও কিনেছে করেছে।

উপজেলা সদর পলাশ বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সামিয়া। সামিয়া সকালে স্কুলে আসে তার মায়ের সাথে। ছুটি হলে আবার মায়ের সাথেই বাসায় যায়। আজ স্কুল ছুটি শেষে মাকে নিয়ে বই মেলায় এসেছে। বেশ কিছু বই দেখে তার পছন্দ অনুযায়ী কবি বন্দে আলী মিয়ার লেখা ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প বইটি মা কিনে দেন। সামিয়ার পছন্দও গল্প পড়াই। তাই সে গল্পের বইটিই পছন্দ করে নেয়।

আরও পড়ুন- প্রকাশিত হলো শিশু কিশোরদের স্বপ্নের কাগজ

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান বই মেলার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেক জানান, বই পাঠের মাধ্যমে দেশে পাঠক সৃষ্টি করাই এই মেলার মূল লক্ষ্য। পলাশের এই মেলায় অন্যান্য এলাকার তুলনায় বিক্রি সন্তোষজনক। মেলায় শিশুতোষ, রম্যগল্প ও বিজ্ঞানের বইয়ের বেশি চাহিদা রয়েছে। তাই পাঠকরা এই বইগুলোই বেশি সংগ্রহ করছে।

পলাশ উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় মেলাটির আয়োজন করে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র। তিনদিন ব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করেন পলাশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ফারহানা আলী, ভাইস চেয়ারম্যান কারী উল্লাহ সরকার ও পলাশ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আশাদ উল্লাহ মনা সহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

ওডি/এসএন