স্টার্লিং ডি মামুন
কেন তুমি চুপ
দিন দুপুরে ছাত্র মরে কুকুরদের হাতে! সেটা দেখে হায়েনা বলে ডাজেন্ট ম্যাটার তাতে।
শিক্ষকের সামনে রক্তাক্ত ন্যায়ের পক্ষে কথা বলা ছাত্র! স্যাররাও আজ মেরুদণ্ডহীন হাসি তামাশার এক পাত্র।
বাংলাদেশের রাজপথ সে তো ছাত্রদের রক্তে ভেজা ইতিহাস, জালিমের জুলুম থামাতে পারবেনা তরী যতোই করো নির্যাতন হাঁসফাঁস।
শিক্ষক তুমি শিক্ষকতা ছাড়ো না পারো যদি ন্যায় কথা বলতে। বুদ্ধিজীবী মুখোশ খুলে ফেলো না পারো যদি ন্যায়ের পথে চলতে।
প্রতিবাদ যদি করতে নাই পারো কবিতা লেখা থামিয়ে দাও কবি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তুলি না চালালে শিল্পী এঁকো না আর একটিও ছবি।
মিডিয়া গুলাও বন্ধ করো সঠিক তথ্য যদি না পারো দিতে। সাংবাদিকতা ছেড়ে দাও তুমি দেশের পক্ষে না লিখে যদি চাও টাকা কামাতে।
তোমার আমার সবার এখন মরে যাওয়াই উচিৎ। জালিমের টুটি চেপে ধরো হয়তো গাজি নয়লে হও শহীদ।
দেশ আমার দেশ তোমার নয়তো কারো বাপের। বঙ্গবন্ধু, ভাসানী মুক্তিযোদ্ধার দেশ ঢুকাতে দেবনা পেটে কোন কাল সাপের।
সংগ্রাম করো, প্রতিবাদী হও হে অভাগা জনগণ দেশের। তবেই হয়তো মুক্তি মিলবে আমার অবহেলিত বাংলাদেশের।
লজ্জা
এতো লজ্জা কোথায় রাখি বল? মায়ের সামনে সন্তানকে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে আজ ধর্ষণ করে ঐ পিচাশের দল।
বাবার কাছে নয় নিরাপদ কন্যা শিক্ষকের কাছে অনিরাপদ ছাত্রী, ঘরে বাইরে সব খানেতেই ধর্ষণ আমরা সবাই চরম বিপথের যাত্রী।
ধর্ষণ আজ টিভি মিডিয়া ইন্টারনেটে পত্রিকাতেও ধর্ষিতার করুণ মৃত্যুর ছবি, প্রতিবাদের ভাষা বন্ধ হয়ে গেছে জুলুমের ভয়ে কলম বন্ধ করেছে কবি।
বিচারহীনতার হীরক রাজ্যে আধুনিকতার নামে নগ্নতার উন্মেষ পাগলা ঘোড়ার লাগামটা টেনে না ধরলে অনিবার্য ধ্বংস হবে সোনার বঙদেশ।
পুরনো পথের যাত্রী
নীরবতা ভেঙে আবার দেবে যেদিন একজন বঙ্গবন্ধু মুক্ত হবার ডাক, ঘুমন্ত সব বীরসেনানী জেগে উঠবে সবাইকে করে দিয়ে অবাক।
টেবিল ছেড়ে রাজপথে ছাত্রের থাকবে আগুনঝরা সব স্লোগান, কমরেড-পীর মাসায়েক মিলবে কৃষকও দেবে মুক্তির রশদ জোগান!
জালিমের অত্যাচার শেষ হবেই মোদের ঐক্যের শক্তির কাছে, শোষিতের টুটি চেপে হারিয়ে দেবার গৌরবান্বিত ইতিহাস মোদের আছে!
ব্যাংক ফুরালো, কয়লা হারালো জমানো সোনা হলো কতোই তামা, শাসকেরা শোষণের স্বর্ণ গতিতে সোনার দেশে পায়না অনেকে জামা!
খাল-বিল-নদী গেলে সমানতালে মোদের ফিরছেনা তবুও হুস, অন্যায়ের সাথে আপোষ করেই শাসকের পা-চাটতে সদাই বেহুশ।
বঙ্গবন্ধু-ভাসানী-শহীদ জিয়ার সেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে, অন্যায়-অবিচার দেশ বিরোধী চক্রান্ত করছে ওরা ক্ষমতাসীনদের পাশে বসে।
সাঈদী-মাসুদ থাকলে জেলেও ভয় করে নেই কভু বীর মুজাহিদেরা, প্রস্তুত ঢেলে দিতে বুকের তাজা রক্ত স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের দিচ্ছে পাহারা।
কৃষকের প্রতিবাদ
দেখ ঐ দাউদাউ করে পুড়ছে রক্ত পানি করা কৃষকের ধান, মহামারি শাসকের জুলুম আজ এযেন পুড়ছে বাংলাদেশের প্রাণ।
ফসলের ন্যায্য পাওয়ার অধিকার মোদের কৃষকের অবশ্যই আছে, চাষির কষ্টের কান্না দেখেও মন্ত্রী মশাই দাঁত ক্যালিয়ে হাসে!
এ আগুন শোষণ জুলুমের বিপক্ষে কৃষকের অভিশাপ মাখা ঘৃণা, মাজলুমেরাই একদিন টুটি চেপে বলবে ন্যায্য মূল্য দিবি কিনা?
এই কৃষকেরাই প্রতিরোধ করবে ঝাটিয়ে বিদায় করবে জালিম, সময়ে সব সমাধান করো রাষ্ট্র নয়তো আসবে শাসকের দিকে জুলুম!
আমার দেশের কৃষক কেনো করবে আঙুল রাষ্ট্রের দিকে বাঁকা চাষিরা বেকে গেলে কিন্তু! সাধু সাবধান! থমকে যাবে অর্থনীতির চাকা!
আরও পড়ুন- জলের বুকে একটা-দুটো খইফুল ফুটে আছে সাদা
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড