• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

প্রবন্ধ

মণিপুরি সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান

  রফিকুল ইসলাম জসিম

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০১:৩৭

ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) আরবের বিশুদ্ধতম ভাষার অধিকারী। তাই যুগে যুগে মুসলিম সমাজেও সাহিত্যচর্চার শুরু হয় ইসলামের সূচনাকালেই। মুসলিম কবি-সাহিত্যিকরা কলমের আঁচড়ে পুষ্টি যুগিয়েছেন পাঠকের মনে। হৃদয় করেছেন পরিতৃপ্ত। স্রষ্টাপ্রেম, মানবপ্রেম, ন্যায়নীতি, উত্তম আদর্শ ও শিষ্টাচার, সত্য ও ন্যায়ের প্রতি আহ্বানে পরিপূর্ণ ইসলামী সাহিত্য সমাজ গঠনে অনন্য অবদান রাখে।

‘মণিপুরি জাতির মুখের ভাষা হলো মণিপুরি ভাষা। ভাষা-সাহিত্যের অবদান বিশ্লেষণে যদিও নির্দিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের রচনাবলীকে আলাদা করে দেখিয়ে প্রভেদ সৃষ্টি করার সুযোগ নেই। তবে এতটুকু অবশ্যই বলা যেতে পারে যে, মণিপুরি ভাষা ও সাহিত্যে যারা অসামান্য অবদান রেখেছেন, তন্মধ্যে মুসলিম মনীষাদের নামও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

মুসলিম সাহিত্যিক-লেখকদের অবদানকে স্মৃতিবদ্ধ রাখার উদ্দেশ্যে মুসলিম মনীষাদের মণিপুরি ভাষাসাহিত্যে অবদান সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করা হলো।-

মণিপুরী ভাষা খুবই প্রাচীন। গবেষকদের মতে মণিপুরী ভাষার বয়স প্রায় সাড়ে তিন হাজার বৎসর। মণিপুরী ভাষার নিজস্ব লিপিপদ্ধতি আছে। মণিপুরী বর্ণমালার নাম ‘মৈতৈ ময়েক’। বলা হয়, ৩৩ সনে মণিপুর উপত্যকার কেন্দ্রস্থিত ইম্ফাল অঞ্চলে রাজত্বকারী মহারাজ পাখংবা প্রথম এই লিপির উদ্ভাবন করেন। পরে, উচ্চারণকে আরো প্রমিত করার লক্ষে আরও ৯টি লিপি যুক্ত করে মোট ২৭টি বর্ণ নিয়ে গঠিত হয় মণিপুরী বর্ণমালা। মণিপুরি সাহিত্যচর্চার ধারাকে ৩টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ১. প্রাচীন যুগ। ২.মধ্য যুগ। ৩. আধুনিক যুগ। ৬৫০ সন হতে ১০৭৪ সন পর্যন্ত প্রাচীন যুগ। ১০৭৫ সন হতে ১৭০৯ সনপর্যন্ত মধ্য যুগ। ১৭১০ সন হতে ১৮২৬ সন পর্যন্ত মণিপুরি সাহিত্যের আধুনিক যুগ হিসাবে গন্য করা হয়।

মণিপুরি লিপির উৎস নিয়েও বেশ বিতর্ক আছে। তবে সাধারণভাবে প্রচলিত মত হলো এই লিপি ব্রাহ্মী লিপি থেকে উদ্ভুত।মণিপুরি ভাষা ভারতে মণিপুর রাজ্যের প্রধান ভাষা এবং রাষ্ট্রভাষা। মণিপুরি ভাষা নিজেদের মধ্যে ‘মৈতৈ লোন’ বা ‘মৈতৈ ভাষা’ নামেও পরিচিত। মণিপুরের অভ্যন্তরে ছাড়াও বাংলাদেশে বৃহত্তর সিলেট এবং ভারতের কাছাড়, ত্রিপুরা ও আসাম, নাগালেন্ড, মায়ানমার সহ বিভিন্ন দেশে মণিপুরি ভাষাবাসি মানুষ বসবাস করে। ভারতে রাষ্ট্রভাষা ছাড়াও বেশ কিছু ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তপশীলে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ‘মণিপুরী ভাষা’ ঐ ভাষাগুলোর অন্যতম। ১৯৯২ সালের ২০ আগস্ট সংবিধানের অষ্টম তপশীলে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে মণিপুরী ভাষাকে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তাছাড়া, ১৯৭২ সালে মণিপুরী ভাষা ভারতের সাহিত্য একাডেমী কর্তৃক স্বীকৃতি লাভের পর ১৯৭৩ সাল থেকে শুরু হয় মণিপুরী কবি-সাহিত্যিকদের সাহিত্য একাডেমী এওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করার পালা। তাছাড়া সাহিত্য-সংস্কৃতি ক্ষেত্রে ভারত সরকার প্রদত্ত ‘পদ্মশ্রী’ ও ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন মণিপুরের অনেক লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। এ যাবৎ মণিপুরি ভাষা-সাহিত্যের ক্ষেত্রে পদ্মশ্রী উপাধিপ্রাপ্ত লেখক ২১ জন।

অষ্টাদশ শতাব্দীতে পূর্ববাংলার হিন্দু ধর্মপ্রচারক শান্তিদাস কর্তৃক তৎকালীন মীতৈ লৈবাক মহাভারতে উল্লেখিত মণিপুর রাজ্যের অনুকরণে মণিপুর নামকরণ করেন। অতঃপর ব্রিটিশরা মীতৈ শব্দের বিকল্প হিসাবে মণিপুরি শব্দ ব্যবহার শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৮৯১ সালে সংঘঠিত এক বিয়োগান্তক ঘটনার মাধ্যমে মণিপুরি ব্রিটিশদের করদরাজ্য রূপান্তরিত হওয়ার মণিপুরি শব্দটি মীতৈ শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে থাকে৷ মীতৈ লাইবাককে মণিপুর ভাষা, মণিপুরি সাহিত্য, মণিপুরি সংস্কৃতিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়।

ষোড়শ শতাব্দীতে মণিপুরে ব্যাপকভাবে মুসলমানদের অনুগমনের পর মৈতে ভাষা ও সাহিত্যে মুসলমানের কথিত ভাষার প্রভাব ও ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়৷ মণিপুরের রাজা পামহৈবা/ মায়াম্বা কর্তৃক গরীভ নেওয়াজ খেতাব গ্রহন তার এক বলিষ্ঠ প্রমাণ। অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে শুরু হয় আধুনিক মৈতৈভাষার পথচলা। তবে, মণিপুরী সাহিত্যে প্রকৃত আধুনিকতার সূচনা বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে বাংলার প্রভাবে মণিপুরী ভাষা মণিপুরী লিপির পরিবর্তে বাংলা লিপিতে লেখা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত মণিপুরী লিপিতে লিখা প্রাচীন হস্তলিখিত মণিপুরী সাহিত্যের প্রায় এক হাজার পাণ্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়েছে। ১৮৯১ সন পরবর্তী সময়ের মণিপুরি ভাষায় পুস্তক প্রকাশনা বিপ্লব শুরু হয়৷ আধুনিক সাহিত্যযুগে পদার্পণের পর মণিপুরি ভাষায় অসংখ্য ছোটগল্প, গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, মহাকাব্য ও ইতিহাস রচিত হয়েছে।

মনের ভাব প্রকাশ করার মাধ্যম হলো ভাষা। প্রত্যেক জাতি, জনপদ বা এলাকার মানুষের জন্য আলাদা আলাদ ভাষা রয়েছে। আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক নবী-রাসূলকেই তার গোত্রের ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছেন। ইসলামের উদার ও সহনশীল ভাবধারাকে কাজে লাগিয়ে আলেম সমাজরা বহু রচনা করে জীবনমুখী সমাজ সচেতনতামূলক সাহিত্যকর্মে মণিপুরি মুসলমান কবি, লেখক, আলেমরা স্বকীয় মণিপুরি সাহিত্য ছাড়াও আল কোরআন, আল-হাদিস, বেহেস্তি জেওর, ফাজায়েল তাবলিগ ইসলামি সাহিত্যকর্মে মণিপুরী ভাষা ও সাহিত্য যথেষ্ট সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। মণিপুরী সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য অনেক সৃষ্টিকর্মও আজ অনূদিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় মণিপুরি, উর্দু, ইংরেজি ও বাংলা লেখার বই পাওয়া যায়। উল্লেখযোগ্য মণিপুরি মুসলমানদের কিছু বই ও লেখকের নাম তুলে ধরা হলো-

প্রখ্যাত আলেম ও বরণ্য লেখক মৌলানা রহিম উদ্দিন এর উর্দুতে লেখা মণিপুরি মুসলমানদের মধ্যে প্রথম বই ‘মুসলামান-ই-মণিপুরী’ (১৯৩৪-৩৬), মৌলভী বরকতুল্লা পর্যবেক্ষণ ও মৌলভী মুওয়াইজুদ্দিন জনতকী সোজাই (জান্নাত চাবি) ১৯৫৯ সালে,ইতিহাসবিদ ও গবেষক মোহাম্মদ আলী জনাব খান এর মণিপুরি মুসলিম নামে (মণিপুরি ভাষায় ১৯৭২)। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কবি মো: খাইরুদ্দিন চৌধুরী তার কাব্যগ্রন্থ মিনোক পাইরাঙ্গি মিকআপ অনিদং (১৯৭৬) সম্বলগী মেরিক আনিডাং (১৯৮৪)) মুক্তা খুইওক ( ১৯৭৯) নংখং পেরেং ওয়াংমদা, (১৯৯৯) মণিপুরী মাহম্মদন (১৯৭৬)।

অধ্যাপক আব্দুস চৌধুরী তার কাব্যগ্রন্থ পুঁশিগি পাম্বই (১৯৭৯), কাজী মুজিবুর রহমান, হিংবাগী মঙ্গল (১৯৭৮), ইসলামের ফান্ডামেন্টালস (১৯৭৯), মা আরিফতকী শক্তি (১৯৯০)ইসলামি চিন্তাবিদ মৌলানা হাতিম আলী তার নবীর জীবনী নিয়ে লেখা -হাজরাত মুহাম্মদকী পাঁসি ওয়ারী (১৯৮০), মৌলানা আব্বাস খান তার বাহিস্তি জুভেরি চাংখোলবা আরতা (১৯৮৮) মোহাম্মদ আব্দুর রহমান তার কাব্যগ্রন্থ থমোগি খোলো (১৯৮০) পেলে তাইবং (২০০০) এরালদুবু করিনো? (২০০০), সাহির-সালিমা লুহংবা (২০০৪) নগ্কলাবা পুঁশি (২০০৭) ইসলামী গ্রন্থ:- রুজা (১৯৮৬), ইউসুফ-জুলেখা (১৯৮৭), আইডি আনি (১৯৮৭) মুহররম আমসুং কারবালগী, লান (১৯৯২) ইসলাম (১৯৯৭).খংফাম থোকপা ফতজ খড়া (২০০০).ল্যাঙ্কন (২০০৩). খুতবাতুল ওয়াদা (২০০৯) কায়ামুদ্দিন পুখ্রি মায়ুম তার কাব্যগ্রন্থ নিঙ্গমদাবা থমোগি এসাই (১৯৭৭) নুংসলেইমা থোরাক্লো (১৯৭৯) ইতিহাসগ্রন্থ - মণিপুরদা মুসলিম কুমথারাকপা (১৯৮৮) উপন্যাস: সংসারদগী বিদাই (১৯৭৭) ইয়থং (১৯৭৮) নুগল্লামদাই সাজিক (১৯৮৪) শিশু সাহিত্য: জারুল্লাহ (১৯৮৩) এবং আলকবাগী ওয়ারি (১৯৯০), কোহিস্টাঙ্গি ওয়ারী, উর্দু থেকে অনূদিত কোহিষ্ঠাঙ্গী ওয়ারী (১৯৮৯)। মৌলনা হুসেন আলী তার সাময়িকী পেগামে ইসলাম (১৯৬০) ড. এ, কে, এম শাকিল আহমেদ তার বই; সমাজবিজ্ঞানের প্রবন্ধ; মণিপুরের মুসলমানরা (১৯১১), এ হাকিম শাহ তার কাব্যগ্রন্থ -মালাং টানথ (১৯৭৮) ইতিহাস গ্রন্থ- মাইটেই পাঙ্গালকে মণিপুর গভর্নেন্স (২০০৮) এম, এম, আহমেদ তার গ্রন্থ- মুহাম্মাদী পাংশী ওয়ারী (১৯৮৩), কুরান কুইজ (১৯৯৬, ২০০০)) ওয়াকফ আইন আমাসং ওয়াকফ চত্নারকপা (২০০১) হযরত মুহাম্মদ (২০০৪) মণিপুরী মুসলামি চত্নবী আমসাং হাওরা কুমেহে (২০১১) গবেষক ফারুক আহমেদ তার ইতিহাস গ্রন্থ- মণিপুরী মুসলিম; ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি (২০১১) মুফতি মাওলানা সিরাজ আহমেদ তার একক গ্রন্থ-ওয়ালী নূপি তারুক (২০০৪) মাওলানা জাকারিয়া কালন্ধভির সংকলিত ফাযায়েল আমল দুই খন্ড অনুবাদ করেন। প্রথম খন্ড (৮৯৫ পৃ.) ১৯৯৬ সালে, এবং দ্বিতীয় খন্ড (৯১১পৃ.) ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয়। তাহের আলী সাজাবম তার কাব্যগ্রন্থ- আমিরবা মারাক্সিদা (১৯৯৮), পুঠোকি (২০১২) আব্দুল হামিদ কাব্যগ্রন্থ-সাইকিং মিঙ্গসেন্ডা(২০০৪), মী হিংলি মাং মঙ্গলি, (২০০৯) ওয়াংমাগী তোড়বান্দুদা (২০১৭) হাজী মো. আব্দুস সামাদ-তার বাংলা ভাষায়- মণিপুরি মুসলমানদের ইতিহাস (২০১৭)।

তাদের রচিত সাহিত্যে সমাজ সংস্কারের চিন্তা-চেতনা, জাতীয় ঐতিহ্যের ধ্যান-ধারণা, আত্মচেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রতিফলিত হয়। এ সময়ের মুসলমানদের রচিত সাহিত্যে ইসলামের মানবতাবাদ, সম্প্রীতি ও উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটে। এ দেশের নবপ্রজন্মের গবেষকদের কাছে আমাদের তাগিদ হলো- উপরোল্লিখিত কিংবদন্তি মুসলিম কবি-সাহিত্যিকদের কাব্য ও সাহিত্যচর্চার প্রতিপাদ্য বিষয়গুলোকে বর্তমান প্রজন্মের বৃহত্তর স্বার্থে তুলে ধরা এবং ইসলামের সত্যিকার সর্বজনীন রূপটিকে জনসমক্ষে পরিস্টম্ফুট করা উচিত।

সাহিত্য হল নিখুঁত ও সুন্দর বিষয়ের অনুপম ও হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া বর্ণনা। ইসলামের উদার ও সহনশীল ভাবধারাকে কাজে লাগিয়ে আলেম সমাজ রচনা করতে পারেন জীবনমুখী সমাজ সচেতনতামূলক সাহিত্যকর্ম। তা হতে পারে কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, উপন্যাস, ছোটগল্প, শিশু সাহিত্য ও সমাজ সচেতনতামূলক লেখা। সুতরাং মণিপুরি ভাষাভাষীদের কাছে দ্বীনের বাণী পৌঁছাতে হলে মণিপুরি ভাষাসাহিত্যের চর্চা ও অনুশীলনের বিকল্প নেই। তবেই তাদের সাহিত্য হয়ে উঠবে আরও প্রাণবন্ত ও প্রেমময়। মণিপুরি মুসলমানদের সাহিত্যাঙ্গনে তৈরি হবে মানবপ্রেম, প্রজ্ঞা ও আধ্যাত্মিক প্রেম দর্শনের এক নতুন দিগন্ত।

তথ্যসূত্র : মণিপুরি মুসলমানদের ইতিবৃত্ত

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড