• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পাণ্ডুলিপির অব্যক্ত গল্প

বেঁচে থাকাদের নিয়ে ‘যখন মৃত্যু নামে’

  ইউসুফ রাকিব

১২ জানুয়ারি ২০২০, ১১:৫২
উপন্যাস
প্রচ্ছদ : উপন্যাস ‘যখন মৃত্যু নামে’

অনেকটা অদ্ভুত ভাবেই উপন্যাসটা শুরু হয়েছে। কখনো ভাবিনি লিখাটা এতটা দূর নিয়ে আসতে পারবো। লিখার প্রতিটা রাত আমাকে কাঁদিয়েছে। শুরুটা বছর দুয়েক আগের। তখন বড্ড বেশি কাছের মানুষদের মৃত্যু দেখেছি। নিজেকে সে সময়গুলিতে অনেকটা অসহায় মনে হতো। এ উপন্যাসের করিম চরিত্রের মত কিছুটা। মনে হয় পৃথিবীর সব চেয়ে নিঃস্ব মানুষটাই আমি।

বন্ধুদের আড্ডার প্রায় একটি মেয়ের নাম বলতাম, তার নাম হলো সফুরা। যে কিনা আমার উপন্যাসের নায়িকা। প্রান্ত নামের আমার একটা বন্ধু আছে। যে আমার সব লিখা সব সময় পড়তে চায়। আমার দেওয়া সফুরা নামটি তার ভীষণ ভালো লাগে। উপন্যাসটা লেখার সময় কালে প্রান্ত সব সময়ই আমায় বলতো সফুরা এখন কি করছে? তার পরবর্তী দিনগুলি কেমন কাটবে?

বড্ড ভালো লাগতো তার এই কথা গুলি। আরও সাহস পেতাম দুটি শব্দ লিখার। এই উপন্যাসটি যাকে উৎসর্গ করেছি সে আমার ছোট বোন নুসরাত জাহান রাফিজা।

‘যখন মৃত্যু নামে’ পাণ্ডুলিপিটা তার মুখস্থ। রোজ লিখতে বসার আগে ঠিক আমাকে বলে দিতো ভাইয়া এ ভাবে এতগুলো মানুষকে মেরে ফেলো না, আমার অনেক বেশি কষ্ট হয়। তুমি এমন কিছু লিখো না। যা আমি পড়ে অনেক বেশি কষ্ট পেয়ে যাই। তার প্রতিটা কথা কেন জানি রোজ আমাকে উৎসাহ দিতো আরও অনেক লিখতে। উপন্যাস সম্পূর্ণ শেষ করা আমার পক্ষে সম্ভব হতো না যদি চোট বোন পড়ার তাগাদা না দিতো। রোজ শুনতে কিংবা পড়তে চাইতো এর পর কি হলো, এর পর কি হলো।

ধরা যায় তার পড়ার জন্য আমি দ্রুত উপন্যাস শেষ করতে পারি। ‘যখন মৃত্যু নামে’ উপন্যাসটির শেষ অংশ লিখতে গিয়ে আমার অনেকটা কষ্ট লেগেছিল। রাফিজা উপন্যাসের চরিত্র করিমের মৃত্যুর সংবাদ শুনার জন্য প্রস্তুত ছিল না। মেনেও নিতে পারেনি। কেন করিম সফুরাকে রেখে এই ভাবে চলে যাবে। সে আজও তা মানছে না।

শেষাংশের লেখাগুলি খুব বেশি সময় নিয়ে লেখিনি কারণ, আমি বুঝতে পেরেছিলাম উপন্যাসের চিরিত্রগুলো আমার উপর ভর করে কষ্ট দিতে শুরু করেছে। আমি জানি যতটা সময় নিয়ে লিখবো ততটা দুঃখ পাবো। ভালোবাসাগুলি চোখের সামনে একে একে মৃত্যু করবে আমিও মানতে পারিনি।

যারা সকাল সন্ধ্যা মৃত্যুর আশা করে, মৃত্যু তাদের সহজে আঘাত করে না। তাদেরই আঘাত করে যারা সহজে মৃত্যু চায় না। উপন্যাসটি এমই এক ঘটনা, সামাজিকতা, এবং পারিবারিক দায়বধ্যতার ভেতর দিয়ে এগিয়ে গেছি। আশা করি আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা আপনাদেও ভালো।

আমি মানুষটা অনেক বেশি ভালোবাসা পেতে চাই। তাই হয়তো বা পাওয়ার থেকে না পাওয়াটাই বেশি থাকে আমার ভাগ্যে। এবার যখন মৃত্যু নামে উপন্যাসটা নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনাদের কাছ থেকে ভালোবাসা চাই অনেক বেশি।

আমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এ উপন্যাসটি প্রকাশিত হবে হরিৎপত্র প্রকাশন থেকে। উপন্যাসটির প্রচ্ছদ করেছেন জহিরুল হক অপি।

আরও পড়ুন- মেঘফুল ঝরে গেলে বৃষ্টি হয়

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড