ফখরুল হাসান
পরের মাসে আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়ে গেল। বিয়ে রাতে মাথায় ভর করলো যত সব এলোমেলো চিন্তা! আমি আধুনিক যুগের পুরুষ তাছাড়া এখন তো আর যুবক না! মেয়েদের কুমারিত্বের বিষয়ে ভাল জ্ঞান রেখে কী হবে। এই বয়সে যে আমার কাছে পরীর পরিবার বিয়ে দিয়েছে এটাই আমার চৌদ্দ পুরুষের কপাল।
আর এটাও বুঝি যে কুমারিত্ব একটা ধোঁয়াশা বেপার। একশো ভাগ নিশ্চিত হয়ে বলা মুশকিল কে কুমারী আর কে কুমারী না। আমার কথা হলো, পরী যদি আগে কারো সাথে কিছু থেকেও থাকে, সে তো আর বাজারি বেশ্যা না। অবিহিত সুন্দরী যুবতী মেয়েদেরকে আমাদের দেশের কিছু যুবক-পুরুষ বেওয়ারিশ রয়লার মুরগী মনে করে তাই নিজদের খোয়ারে বন্দী করতে কতরকম চল-চাতুরী করে তার হিসাব কে রাখে।
বেশি ভাগ প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বিয়ের আগে ইচ্ছে মতো রোস্ট, রেজালা বানিয়ে খেতে চায়। অনেকে সেই স্বাদ পূর্ণও করে। অনেকে দুই তিনটি মেয়ের সাথে একসঙ্গে সম্পর্কে জড়ায়। সেই ছেলেটিই যদি অন্য কোথাও বিয়ে করে তখন খুঁজে মেয়ের কুমারিত্ব!কি অদ্ভুত আমাদের চাওয়া!
যেমন আমার বন্ধু নাজিম সবসময় বলে বিয়ে মানে ঝামেলা। সবচেয়ে বড় কথা একি খাবার বারবার খাও! আরে ভাই আমার ভালো চাকরি আছে টাকা আছে, টাকা থাকলে কি এই শহরে সুন্দরী মেয়ের অভাব! আজকে হঠাৎ নাজিমের কথা গুলো মনে পরে গেল। কিন্তু পরীর রূপের কাছে আর কোন কলঙ্কই আমার কাছে মুখ্য বিষয় হয়ে ওঠেনি। আর আমার সব ধারণা ভুল প্রমাণ হলো বাসর রাতে।
আমরা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ভালবাসার জন্য পরিশ্রম করে সুখি হলাম। পরীও যেভাবে সাড়া দিল তাতে আমার আর কোন আক্ষেপ রইল না। বিছানায় শুয়ে আছে পরী, নড়াচড়ার লক্ষণ দেখা যায় না! কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম পরীও খুশী ছিল, তবে ও আমায় বলেছিল যে, ওর মা-বাবার ইচ্ছাই ওর ইচ্ছা।
মানে, আমার বয়স যে হয়েছে সেটা সে এড়িয়ে যায়। একটু খচখচ করলেও আমি এতো গভীরে যাইনি, কি দরকার এতোটা ভেবে। পরী তো একান্ত আমার, কখনো কি ভেবেছি এমন অপরূপ সুন্দরী মেয়ে আমার জীবন সঙ্গী হবে! এটাই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।
(চলবে...)
‘গৃহ কারাগার’-এর তৃতীয় পর্ব- ধারাবাহিক গল্প : গৃহ কারাগার
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড