সিফাত আল মারুত
‘পাঠাগার হোক সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার’ এই স্লোগান সামনে রেখে, ঝিনাইদহ জেলাধীন শৈলকূপা উপজেলার ২ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের গোলকনগর গ্রামে ২০১৪ সালের ১০মার্চ যাত্রা শুরু করে গোলাম রসুল স্মৃতি পাঠাগার। এই পাঠাগারের স্বপ্নদ্রষ্টা কবি ও গবেষক বঙ্গ রাখাল।
বঙ্গ রাখাল নিজের আদর্শবান পিতার নামেই পাঠাগারের নামকরণ করেন। যিনি মনের মধ্যে লালন করেন সুষ্ঠু সমাজ গড়ার আর সেই লক্ষ্যে কতিপয় মানুষকে সঙ্গী করে তার এই পথ চলা। তিনি স্বপ্ন দেখেন এবং দেখান। পাঠাগারটা শুধুমাত্র পাঠাগারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, এটি আরও হবে একটি লোকসাহিত্যের সংগ্রহশালা যা হারিয়ে যাওয়া লোকউপাদানকে সংরক্ষণ করবে। কাজ করবে সমাজের অবহেলিত মানুষদের নিয়ে। তিনি আরও স্বপ্ন দেখেন এনালগ পাঠাগারের পাশাপাশি এটি হবে একটি ডিজিটাল পাঠাগার যেটার সাথে সমস্ত জায়গার মানুষ সংযুক্ত হতে পারবে। সমস্ত মানুষকে সঙ্গী করেই তিনি সমাজের মঙ্গলময় কাজগুলো করে যেতে চান- এসব কথা উঠে আসে পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আলীনূর ইসলামের(বঙ্গ রাখাল) বক্তৃতায়।
ছবি : গোলাম রসুল স্মৃতি পাঠাগারে ত্রৈমাসিক শিশু পত্রিকা ‘ঝুনঝুনি’ বিতরণ অনুষ্ঠান
‘সমাজ গঠনে পাঠাগারের ভূমিকা’ বিষয়ক আলোচনাসভায় এভাবেই একের পর এক আলোচনা করতে থাকেন-সাংস্কৃতিকর্মী ও শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল, ঝিনাইদহের সফল সংগঠক কথনের প্রতিষ্ঠাতা সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান, কবি ও শিক্ষক শাহনেওয়াজ আলম মিঠু, সাংস্কৃতিকর্মী ও শিক্ষক সুবর্ণা আক্তার শারমিন, সংগঠক আলমগীর হোসাইন, আজিজ মেম্বর, সংগঠক লিখন হোসেন, সরোয়ার সবুজ, গোলকনগর সর. প্রা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকাদ্দিস হোসেন, লোককবি-গীতিকার ও গোলকনগর সর. প্রা. বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক হাসানুজ্জামান ও প্রধান অতিথি কবি রণক মুহাম্মদ রফিক।
নব্বই দমকের খ্যাতিমান কবি রণক মুহাম্মদ রফিক বলেন-একটি আলোকিত সংগঠনই পারে আমাদের সমাজকে আলোকিত করতে এবং গ্রন্থের যে আমাদের জীবনে কী ভূমিকা সে সব বিষয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের সম্মুখে গুরুত্বপূর্ণ আশা জাগানিয়া বক্তব্য দেন।
গোলকনগর সর. প্রা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকাদ্দিস হোসেন বলেন, ‘আমাদের সামনে আজ যতগুলো আলোকিত মানুষ হাজির হয়েছে এই মানুষগুলো একত্র হয়ে কাজ করলে সব বাধাকে অতিক্রম করে ভালো কাজ করা সম্ভব এবং তিনি শোনালেন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নানা ঘটনা যা সংগঠন করতে আসা মানুষদের অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে তিনি মনে করেন।’ সাকিব মুহাম্মদ আল হাসানের বক্তব্যে উঠে আসে তারুণ্যের উদ্দীপ্তের কথা যাদের সব সময় তিনি স্বাগতম জানান।এভাবেই মূল্যবান বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয় আলোচনাসভা। পরে অনুষ্ঠিত হয় কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান। কবিতা পাঠ করেন- লোক কবি আব্দুল মজিদ পঞ্চ, কবি রণক মুহাম্মদ রফিক, তরুণ কবি বঙ্গ রাখাল, শাহনেওয়াজ মিঠু, কবি সরোয়ার সবুজ ও কবি হাসানুজ্জামান।
সুজায়েত হোসেন সুজনের উপস্থাপনা ও সাকিবুল ইসলাম লাবুর নিজের লেখা, ‘আমার শেষ বিদায়ে কে সাজাবে, কে বানাবে ঘর গানটির পরিবেশন অনুষ্ঠানকে আরও সাফল্যমণ্ডিত করে তোলে। গোলকনগর সর. প্রা. বিদ্যালয়ের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র/ছাত্রীদের হাতে ত্রৈমাসিক শিশু পত্রিকা ‘ঝুনঝুনি’ বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।’
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড