অজয় চন্দ্র বর্মণ
একদিন ফিরে আসবো তোমাদের মাঝে কাঁদবে তুমি আর শাড়ীর বাঁকা আঁচল দিয়ে চোখের ধারা মুছতে মুছতে সদ্য লাগানো কাজলের কালি দিয়ে হরিণের মতো সুদর্শন চোখ জোড়াকে একটু না হয় বিশ্রী করে তুলবে। তবুও আমি ফিরে আসবো–
সেদিন আমি তেমনিভাবে তাকাবো যেমনি আমি তোমায় প্রথমবার দেখে মূর্ছা গিয়েছিলাম। কি অমলিন হাসি তুমি সেদিন হেসেছিলে! তেমনি না হয় আর একটি বার হাসবে–
গ্রামে পদার্পণ করার পর কোনো ডান পিঠে ছেলে যদি আমায় দেখে দৌড়ে এসে তোমায় খবর দেয় তখন তুমি নিজেকে সেইভাবে সুসজ্জিত করিবে যেমনি ঠাঁই সাজিয়া বসিয়াছিলে বিয়ের পিড়িতে–
কোকিলের মতন সুর তুলে আমাকে বরণ করার নিমিত্তে গান গাহিবে! যেই গান তুমি গাহিয়াছিলে এক ফাগুন ময় রাতে এবং যাহা শুনিয়া আমি মুগ্ধ হইয়াও বলিয়াছিলাম বন্ধ কর! বন্ধ কর!
হাতের কাঁকন এবং পায়ের নূপুরের আওয়াজ তুলিয়া আমার প্রথম অচৈতন্য যেমনি ভাঙ্গিয়া দিয়েছিলে এবং সচল করেছিলে আমার শিরা উপশিরা ঠিক তেমনি আমাকে আর একটি বার জাগিয়া তুলিবে কি?
শুন্য নদীতে তরঙ্গ ধারায় শ্যাওলার মতন যেদিন আমি রাজার দাসত্ব বৃত্তি করিতাম তখন যেমনি আমাকে প্রতিবাদী বাক্য শিখিয়েছিলে তেমনি আর একটি বার শিখিয়ে দাও! কেননা আবারও যে জন্ম নিয়েছে নিরাশার নদী–
পূর্ণিমার দিন যেমনি নিজ হস্তে বাগান হইতে ফুল তুলিয়া নিজের কেশ খুলিয়া দিয়া কেশারালে পুস্প ডগা গুজিয়াছিলে এবং যাহা দেখিয়া চাঁদ পর্যন্ত লজ্জা পাইয়াছিল তেমনি আর একটি বার গুঁজিবে কি?
সবশেষে একটি টিপ দিয়া যখন বলিয়াছিলে তোমার অন্ত খুঁজিতে তখন আমি যেমনি স্থির ছিলাম এখন আর তেমনি স্থির না হইয়া পড়িয়া যাইতে চাই– কারণ তা না হইলে আমার ফিরে আসা ব্যর্থতায় পতিত হইবে –
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড