অধিকার ডেস্ক ১৫ জুন ২০১৯, ১১:২৪
তোমার অভিযোগ
জলের মতো পান করে চলেছি তোমার মৌনতা তবু অবুঝের মতো অভিযোগ রেখে যাও; বার বার বলো তোমায় বুঝি না।
বোঝাতে চেয়ে দূরত্ব টেনেছ কতবার, তোমার অপবাদে ক্লান্তি আসেনি আজও। মুখর হতে পারি না বলে জমিয়ে রাখো কতশত আক্ষেপ।
অথচ নীরবতায় আমি মেপে যাই তোমার হৃৎস্পন্দন; প্রতি সেকেন্ডে তোমার নিশ্বাসের গতির পরিমাণ। বর্ণমালার মতো পাঠ করি তোমার চোখ, অভিমানের ডালপালা ছুঁয়ে তোমাতে মুগ্ধ হই; ঘুরে আসি রাগ ক্ষোভের সীমান্তপথ। তুমি শুধু পাঠ্য বইয়ের মতো মুখস্থ করে গেলে আমায়; কখনো বুঝতেই পারোনি! আমার অভিযোগ বলতে এটুকুই তোমার প্রাপ্য বোঝাপড়ার জন্য কোনও পাঠশালা লাগেনা চাইলেই অভিযোগ ঝেড়ে দ্বিমত মিটিয়ে ফেলা যায়।
মতের মিলন রেখায় এক হওয়া যায় ডাকবাক্স উপচে পড়া অভিযোগ পরে থাকলে থাকুক না! তুমি নেশার মতো পান করতে চাও কয়েকশো শব্দ। সুরার পাত্রে টানো আবেগী আলিঙ্গন।
আর আমি আবিষ্কারে খুঁজে পাই নতুন তুমি; মুখস্থ করি নৈশব্দের শ্বাসপ্রশ্বাস। প্রতিদিন নতুন আলোয় মেখে নতুন করে প্রেমে পড়ি। তবুও তোমার অন্তহীন অভিযোগ হতে আমার মুক্তি নেই। অবুঝ অপবাদে ভেজাও আমায় সারা শহর, অভিযোগের রৌদ্রে পোড়াও সারা দুপুর। তুমি বুঝি আর শুধরালে না।
মৌনতা
মৌনতা, রাত যত গভীর হয় নিঃসঙ্গতা আমাকে গলা ঝাপটে ধরে, আর তুমি? তুমি তখন পণ্ডুলিপি নিয়ে ব্যস্ত। অথচ ঘুমের ঘরে তোমার নিঃশ্বাস না পেলে আমি ঘুমোতে পারিনা।
খুব সকালে চায়ের কাপে চুমুক দেয়ার আগে দুদণ্ড সঙ্গ না পেলে মন খারাপে ছেয়ে যায় এই শহর। অথচ তুমি কী সুন্দর এই শহুরে বাতাসের শরীরে মাখিয়ে দাও নিঃসঙ্গতারগুচ্ছ দীর্ঘশ্বাস।
তুমি তো গানের পাখি, গান কবিতা নিয়েই ব্যস্ত! গানের সাথেই তোমার ঘর সংসার। অথচ বেনামী ঠিকানার চিঠিতে, এক টুকরো সংসার পাতার আকাঙ্ক্ষা ছিল আমাদের।
আজ আর নয়! কেঁয়া পাতার খামে কিছু প্রাপ্ত বয়স্ক দীর্ঘশ্বাস আর কয়েক ফোঁটা মৃত চোখের জল পাঠিয়েছি। ওগুলো রেখে দিও চিঠির ভাজে।
বেদনার অশ্রু
ঝরাপাতা, প্রিয় ঝরাপাতা, এই শহরতলী ব্যস্ততার কষাঘাতে ঝর্ঝরিত! বিরুধী দল ‘ব্যস্ততা’ বসন্তকে গ্রাস করেছে। খনিকটা সময় বসন্তের আগমন টেকিয়ে রেখেছে। শুনেছি শহরতলীর উপর খুব অভিমানে গাল ফুলিয়ে আছো। অপরাধ ভালোবাসা পাওনি! তবুও অভিমানী মুখে বলেছো প্রতিক্ষার পথে বহুকাল দাঁড়িয়ে থাকবে। হ্যাঁ, তুমি প্রতিক্ষায় থেকো।
ঝরাপাতা, আমি এক মুঠো বসন্ত নিয়ে কোনো এক অষ্টাদশী বিকেলে, আসবো সোহাগে সোহাগে অভিমানের পাতা ঝরাতে। তুমি সুবহে সাদিকে ব্যালকনি থেকে ভেসে আসা জান্নাতি ঘ্রাণের ন্যায় একগুচ্ছ ফুলেল সুগন্ধি রেখো। সেই সুবহে সাদিকে আমরা প্রার্থনার জায়নামাজ ফুলেল ঘ্রাণ আর আনন্দাশ্রুতে ভিজিয়ে দেবো।
তারপর? তারপর আরেকবার তোমার প্রেমে পড়বো। পিথাগোরাস বলেছিলেন একই ব্যক্তির সাথে নাকি বহুবার প্রেমে পড়াই স্বার্থক প্রেমের নিদর্শন! আমি না হয় ঝরাপাতার প্রেমে স্বার্থক হবো, তুমি ভালোবাসা নাও।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড