• বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অনুবাদ কবিতা

ল্যুইস ক্যারলের ‘হন্তদন্তের গান’

  অনুবাদ: সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ

২৫ মে ২০১৯, ১৩:১০
কবিতা
ছবি : প্রতীকী

গানখানি গা’ব তুষারশুভ্র শীতে তোমাকে গানের সুরের আমোদ দিতে।

বসন্তে পাতা ধরবে যখন শ্যামল বাহার তোমাকে বোঝাতে চেষ্টা করব অর্থটি তার।

গ্রীষ্মে যখন দিনগুলি বড় হবে গানের মানেটা বুঝবে হয়তো তবে।

শরতে যখন পাতারা বাদামি গাঢ় খাতার পাতায় লিখে ফেলো, যদি পারো।

খবর দিলাম মাছেদের, আর বললাম, ‘এ-ই ইচ্ছে আমার!’

সাগরের খুদে মৎস্যেরা সত্বর আমাকে পাঠিয়ে দিল তার উত্তর।

মাছেরা বলল, “নমস্কারম্! পারব না এটা আমরা, কারণ—”

আবার বার্ত্তা পাঠিয়ে দিলাম, “শোনো, কথাটা শুনলে হবে না বিপদ্ কোনোও।”

শুনে, রেগে গিয়ে মৎস্যেরা কয়, ‘নিজেকে কী ব’লে সন্দেহ হয়?’

একবার বলি, দু’বার বোঝাই, মাছেরা তথাপি হ’ল না সোজা-ই।

নিলাম একটা বড়সর হাঁড়ি যেমনটি ঠিক হবে দরকারি।

দুরুদুরু বুক, উড়ু উড়ু মন নলকূপে হাঁড়ি ভরছি যখন।

তখন কে যেন কানে-কানে গান গায়, ‘মাছেরা এখন শুতে গেছে বিছানায়।’

সোজাসুজি আমি ব’লে দিই, ‘তবে তাদেরকে ফের ওঠাতেই হবে!’

বললাম আমি ভয়ানক জোরে সরাসরি তার কানের ভিতরে।

লোকটি বেজায় একগুঁয়ে, হাঁদা, বলল, ‘অমোন চেঁচিয়ো না, দাদা!’

লোকটিকে নিয়ে হয়েছে বিপদ্-ই, বলল, ‘ওদের তুলে দেব, যদি—’

একটা খড়কে-কাঠি নিয়ে বের হলাম, নিজেই ওঠাতে তাদের।

গিয়ে দেখি, হায়, দরজা বন্ধ, কী করি, তখন টানি আর ঠেলি, গুঁতোগুঁতি করি ইচ্ছেমতন।

বন্ধ দরজা দেখে, রাগে কাঁপি, হাতল ঘোরাতে গেলাম, তথাপি—

নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড