• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কবিতা : প্রথম যৌবন

  জান্নাতুল ফেরদৌস লাকী

২৩ মে ২০১৯, ০৯:৫০
কবিতা
ছবি : প্রতীকী

জাগতিক পথ ফেরিয়ে মহাকাশ পথের পথিক হয়ে শূন্যতার অভিযানে অভিযাত্রী।

মঙ্গলর গ্রহে নিরন্তর পথ হেটে চলেছি নীলরঙা রমণীর দেখা পাব বলে

হঠাৎ প্রথম যৌবনের হাওয়ায় দেখা মিললো রূপের ঝলকানিতে দু’চক্ষু ঝলসানো প্রায় তাও চেয়ে রয়েছি অবিরাম।

আমার প্রথম যৌবনের রানী ছিলে তুমি কত নীরব কথোপকথন হয়েছিল দু’জনের শুভদৃষ্টিতে হয়েছিল অনুভূতিহীন হৃদয়ের।

আমার এই চোখের ভাষা তোমারি হৃদদুয়ারে প্রবেশে সক্ষম হয়েছিল তুমিও আমারই প্রেমে মত্ত হয়েছিলে দিশাহীন পথিকের মত পদচারণা করে চলেছিলে আমারই রাজ্যে।

যখনি তোমারি স্বরের সুধা পান করেছি তখনি কামুকতা আমায় ঘিরেছে চেয়েছি আমি তোমার অঙ্গের সুভাস নিতে দেহের প্রতিটি ইঞ্চিতে আমার ছোঁয়া রাখতে।

এই নিম্ন বাসনার তাগিদে তোমারি সতীত্ব হরণে ব্যস্ত হয়ে পরেছিলাম এতই যে তোমার আত্মচিৎকার আমার কর্ণযুগলে পৌঁছায়নি।

তোমার অঙ্গের সুভাসে সুভাষিত হওয়ার পর অন্তরে লুকায়িত রাক্ষস মাথা চাড়া দিয়ে উঠে

যে তুমি আমারে ভালবেসে সব কিছু উৎসর্গ করেছ সেই আমি তোমারে প্রশ্নবিদ্ধ করছি আর কোন পুরুষের তুমি শয্যাশায়ী হয়েছিলে।

কিন্তু আমি ভুলে গেছি আমার নিজের সতীত্বের ঠিক আছে কি না? আরে হ্যাঁ, পুরুষদের তো আবার সতীত্ব ও অসতীত্ব কোন মুখ্য বিষয় নই পুরুষ যা ইচ্ছে তাই করতে পারে সমাজ তাদের এই অধিকার দিয়ে দিয়েছে তাই আমিও এর ব্যতিক্রম হলাম না আমিও এই রীতি মত চলছি নিজ খেয়ালে।

তাই আমার অপ্রিয় প্রিয়সীকে কিছু তিক্ততা মিশ্রীত প্রশ্নস্নান করাছিলাম শেষ পর্যন্ত আমার প্রিয়সীটি অন্যের নিকট বাবার কন্যাদায় মিটাতে বিয়ের পিড়েতে সাত পাকে বাধা পড়লো বাহ্যিক সৌন্দর্য রূপি অভ্যন্তরীণ দেউলিয়া হওয়া দেহটি নিয়ে।

হয়ত তার স্বামী বুঝতে পারবে তার অধাঙ্গানীর দেহের প্রতিটি অংশের ঘ্রাণ কোন পুরুষ নিয়েছে হয়ত বা বুঝতে পারবে না।

যদিও বা বুঝতে পারে তবে সেই রাগান্বিত হয়ে স্ত্রী ত্যাগ করবে?

আমি এইসব ব্রোথেল চিন্তা নিয়ে নিজেই আনমনে পৈশাচিক আনন্দ নিচ্ছিলাম আমার বিবেক এতটা বিকৃত হয়েছে যে আমি নিজেই কত বড় বিশ্বাসঘাতক, লম্পট, কুৎসিত মনের অধিকারী তা ভুলে গেয়েছিলাম।

হঠাৎ আমার প্রেয়সীর দেখা মিললো কোন এক হরিণের মত বিকেলে আমার তখন প্রথম যৌবন শেষ করে প্রায় শেষ যৌবনে পদচারণ করছি, প্রেয়সীর সাথে ছিল প্রাণপ্রিয় সুপুরুষ তার স্বামী সুপুরুষ আমার দিকে তাকিয়ে হেসে অনেকটা ঠাট্টা করে বলা যায় বলল, আপনি যে আমাকে এক পৃথিবী ভালোবাসা সাগর পেতে সাহায্য করেছেন তার জন্য হয়েছিল কৃতজ্ঞতা।

আসলে আপনি কি হারিয়েছেন তা হয়ত আপনার অক্কা পাওয়া মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোতে হয়ত কখনো ঢুকবে না।

এই বাক্যগুলো যেন আমাকে শেষ যৌবনে এসে পীড়িত করছে ধংসে খাচ্ছে স্নায়ুতন্ত্র প্রথম যৌবনের কুৎসিত লালসা চরিতার্থ করতে গিয়ে নিজেই নিজেকে লাঞ্ছিত করেছি হয়েছে কাপুরুষ, আত্মনির্ভর পুংশুয়োর।

নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড