শব্দনীল
দুপুর রোদের আক্রমণে অনেকটা ক্লান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে রিফাত। সে যেখানে দাড়িয়ে আছে ওখান থেকে আদ্রিয়ার বাসা দেখা যায়। দু’বছর হলো এটা তার নিত্য রুটিন। কড়া রোদের রং আর গোলাপের একটা মিল আছে। ভরদুপুরে জ্বলতে থাকে। একজন পোড়ায়, রুক্ষ করে পরিবেশ এবং অন্যজন যৌবনা সৌন্দর্যে বিমোহিত করে। রিফাতের কাছে দুটোই আছে।
কিছুক্ষণ পরে আদ্রিয়াকে আসতে দেখে ঢোক গিললো একটা। ঢোক গিলতে গিয়ে বুঝতে পারলো কতটা তৃষা পেয়েছে। এই তৃষা শুধু পানির না হেঁটে আসা মানুষটির জন্যও।
আদ্রিয়া এসে কোন রাকঢাক না রেখে সে রিফাতকে বললো, তুমি আর এসো না। দেখো এই ভাবে প্রতিদিন একই সময়ে হয় না। ঘরে শশুর শাশুড়ি আছে। ননদ ঝামেলা করে।’ রিফাত কিছুক্ষণ নীরব থেকে বললো, ‘আগামীকাল চলে যাচ্ছি।’ অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো অদ্রিয়া, কোথায়? - সময় হলে বুঝতে পারবা।
দুপুর বারটা পঁয়তাল্লিশ। আদ্রিয়া বারান্দার জানালা দিয়ে বারবার বাহিরে তাকাচ্ছে আর পায়চারি করছে। হঠাৎ মাঠের শেষ প্রান্তে ছোট একটা বিন্দু উপস্থিতি দেখে অকারণ অভিমান জমে উঠলো। সে দ্রুত বের হতে গিয়ে ডাইনিং রুমে বসে থাকা শাশুড়ির কণ্ঠ শুনলো, ‘বউমা, দু’বছর তো হতে চললো এবার নাতনীর মুখ দেখাইও। আর এদিক আসো তো তোমার চুলগুলো বেঁধেদি। প্রতিদিন এমন দুপুর রোদে কেন যে বাহিরে যাও বুঝি না।’ কণ্ঠে কিছুটা রাগ ঢেলে একটু উচ্চস্বরে বলেন আবার, দরজায় সার হয়ে দাড়িয়ে থেকো না এদিকে আসো।’
আদ্রিয়া ভদ্র মেয়ের মতো শাশুড়ির পায়ের কাছে বসে আছে আর তিনি মাথায় তেল দিচ্ছেন। অন্যদিকে রিফাতের পরিবর্তে যে ছেলেটি খবর দিতে এসে ছিলো সে অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থেকে ফিরে যাচ্ছে। রিফাতকে নিয়ে যেতে হবে তার বাড়িতে। কারণ লাশ কোথাও একা যেতে পারে না।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড