সাহিত্য ডেস্ক
বাংলাদেশের জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম যে অনুবাদ সাহিত্যের অনন্য এক কারিগর, তিনি সে প্রমাণ রেখেছেন পারস্যের কবি ওমর খৈয়ামের ফারসি ভাষায় লেখা ‘রুবাইয়াৎ-ই-খৈয়াম’ বাংলায় অনুবাদের মধ্য দিয়ে। তিনিই প্রথম বাংলায় এই গ্রন্থটি অনুবাদ করেছেন এবং গ্রন্থটি ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত হয় কলকাতা থেকে। সে সময় বইটির চিত্রায়ন করেছিলেন খালেদ চৌধুরী এবং ভূমিকা লিখেছিলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী।
চলুন কাজী নজরুল ইসলামের অনূদিত ওমর খৈয়ামের কয়েকটি রুবাইয়াৎ পড়ে নেওয়া যাক-
১ আত্মা আমার! খুলতে যদি পারতিস এই অস্থিমাস মুক্ত পাখায় দেবতা-সম পালিয়ে যেতিস দূর আকাশ। লজ্জা কি তোর হল না রে, ছেড়ে তোর ওই জ্যোতির্লোক ভিনদেশি-প্রায় বাস করতে এলি ধরায় এই আবাস?
২ সাকি! আনো আমার হাতে মদ-পেয়ালা, ধরতে দাও! প্রিয়ার মতন ও মদ-মদির সুরত-ওয়ালি ধরতে দাও! জ্ঞানী এবং অজ্ঞানীরে বেঁধে যা দেয় গাঁট-ছড়ায়, সেই শরাবের শিকল, সাকি, আমায় খালি পরতে দাও।
৩ ছেড়ে দে তুই নীরস বাজে দর্শন আর শাস্ত্রপাঠ, তার চেয়ে তুই দর্শন কর প্রিয়ার বিনোদ বেণির ঠাট; ওই সোরাহির হৃদয়-রুধির নিষ্কাশিয়া পাত্রে ঢাল, কে জানে তোর রুধির পিয়ে কখন মৃত্যু হয় লোপাট।
৪ আমরা দাবার খেলার ঘুঁটি, নাইরে এতে সন্দ নাই! আসমানী সেই রাজ-দাবাড়ে চালায় যেমন চলছি তাই? এই জীবনের দাবার ছকে সামনে পিছে ছুটছি সব খেলা শেষে তুলে মোদের রাখবে মৃত্যু-বাক্সে ভাই!
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড