সাহিত্য ডেস্ক
‘এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান; জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তূপ-পিঠে চলে যেতে হবে আমাদের।’
মাত্র ২১ বছর বয়সে প্রাণপ্রদীপ নিভে যাওয়া সত্ত্বেও বেঁচে আছেন সগৌরবে। লিখে গেছেন সাধারণ মানুষের জীবনসংগ্রাম, যন্ত্রণা ও বিক্ষোভকে পুঁজি করে অসাধারণ সব কবিতা। যিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গণমানুষের মুক্তি ও নতুন সমাজ গড়ার জন্যে লড়াই করেছেন তিনি অন্য কেউ নন বাংলা সাহিত্যের ‘ক্ষণজন্মা কবি’ সুকান্ত ভট্টাচার্য।
রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কবিতার বৈপ্লবিক ভাবধারাটি যাদের হাত ধরে সমৃদ্ধ হয়েছে তাদের মধ্যে একজন সুকান্ত ভট্টাচার্য। তিনি ছিলেন বাংলা সাহিত্যের মার্কসবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী কবি ছিলেন। আজ এই মানুষটির ৭২তম প্রয়াণ দিবস।
তিনি ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার উনশিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল নিবারন ভট্টাচার্য এবং মা সুনীতি দেবী। তিনি মাত্র ছয় থেকে সাত বছরের সাহিত্যচর্চায় বাংলায় চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
সুকান্ত ভট্টাচার্যের রচনাবলীর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো- ছাড়পত্র (১৯৪৭), পূর্বাভাস (১৯৫০), মিঠেকড়া (১৯৫১), অভিযান (১৯৫৩), ঘুম নেই (১৯৫৪), হরতাল (১৯৬২), গীতিগুচ্ছ (১৯৬৫) প্রভৃতি।
এই কবি ১৯৪৭ সালের ১৩ মে কলকাতার যাদবপুর, ১১৯ লাউডন স্ট্রিটের রেড এন্ড কিওর হোমে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুদিনে কবিকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড