সুজন আহসান
নিবেদন
যতবার ভালোবাসার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তোমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছি ততবার তুমি ফিরিয়ে দিয়ে বলেছ, ‘আমার এর চেয়ে ঢের আছে’।
আমি আর কতবার কতভাবে নিবেদন করলে গৃহীত হবে আমার আনাড়ি আবেদন ?
সামনে সোনালী প্রত্যুষ, ভোরের রেলগাড়ি কোথায় উঠবে বল, পেছনের মায়া ছাড়ি?
তোমার হাতে আছে স্বর্ণালি পরশ, কিশোরী উম, আরও কত কি! আমার নিবেদন নেহায়েত সময়ক্ষেপণ ব্যতীত আর কিছু নয়। হোক না তোমার আছে ঢের কত কাল্পনিক রূপরেখা, আবাদি জমি; আমার এসব দরকার নেই, কতকিছু কতভাবে ফেলে এসেছি পথেপথেই, আয় সোনা আয়, এই মসজিদে আর কিছু জানা নাই।
অন্তরীণ
শহরভর্তি পোড়ামাটির গন্ধ ফেলে ফিরে গেছে ডাকপিয়ন, বৃষ্টিশয্যায় যে নাবিক শুয়ে থাকে, আমি তাকে কী করে ভুলি?
সত্য স্বীকারে যার নেই অবসাদ, কোনো ঝড়ের তাণ্ডবে যে প্রেমিক নুয়ে পড়ে না; সে কী করে করে রচনা করে প্রণয়ের আখ্যান।
কিছুটা ভুল-ভ্রান্তি, কিছুটা আনন্দোল্লাস, এলোমেলো কদম, জলের জানালায় পিয়নের ঘণ্টাধ্বনি। এভাবেই হঠাৎ করে আসে অচেনা আসমানি।
তার চেয়ে বরং ভুলে যাই, যা কিছু হয়েছে লেনদেন; সুখে থাকার আর কোনো মন্ত্র জানা নাই আমার।
এ সত্য; ভুলে থাকা হয় না কোনোদিন, প্রিয় যত অলিগলি, সেসব নীরব অন্তরীণ।
ব্যবধান
নমনীয়তা এক নীরব ঘাতক খুঁড়েখুঁড়ে খায় প্রেমিকের মন। এলেবেলে ঝরনাজলে বাসি হয়ে ফুটে আত্মহননের বিনাশী আস্তরণ।
জলে, স্থলে আর পরিত্যক্ত কসবিজলে জেগে গেছে চর আর বহুগামী ঘোড়া। পথেঘাটে, মনের জানালা ধরে প্রেম যেন এক নিদারুণ বিষফোড়া।
সংকটকোণে প্রার্থনারত প্রেমিক মনে অসময়ে যদি চলে আসে শক, চোখ মুছে মুছে বলে যেতে হয় ‘বিশ্বাস শালা আজন্ম ঘাতক’।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড