আশিকুর রহমান
মানব সভ্যতার একেবারে ঊষালগ্ন থেকেই নারী সবসময় কোমলতার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় এ ব্যাপারটা আরো বেশি বিস্তার লাভ করেছে৷ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখাতেও তাদেরকে সবসময় কোমলপ্রাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং এখনো হয়ে থাকে। তবে মমতাময়ী নারী তার মায়ার বাঁধনে যেমন পুরুষকে বেঁধে রাখতে পারে, তেমনি জীবনের প্রয়োজনে হয়ে উঠতে অসুরবিনাশিনী দেবী দুর্গা। নারী যখন কাউকে ভালোবাসে, তখন সর্বান্তকরণেই তাকে ভালোবাসে। তেমনি একজন নারী যখন প্রচলিত সমাজব্যবস্থার প্রতিবাদকারিণী রূপে কণ্ঠ তোলে, তখন তাকে আটকাবার সাধ্বিইবা কার কাছে!
এমনই এক হার-না-মানা নারীর অকথ্য নির্যাতনের স্বীকার হয়েও জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাবার গল্প নিয়ে ইতিহাসের পাতা থেকে বইয়ের পাতায় হাজির হয়েছেন সমসাময়িক কালের বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক রবিউল করিম মৃদুল। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রপথিক মাস্টারদা সূর্যসেনকে নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘জলপাই রঙের কোট’ এর প্রভূত সাফল্যের পর ভারতের নামকরা দস্যুরাণী ফুলন দেবীর জীবনযুদ্ধের গল্পের আশ্রয়ে লিখিত উপন্যাস ‘ফুলন’ নিয়ে এ বছর তিনি পাঠক সমাজে হাজির হয়েছেন৷ শত নির্যাতন ও অবিচার সহ্য করে অজপাড়াগায়ের একজন সাধারণ কিশোরী থেকে কী করে সমগ্র ভারতের মানুষের কাছে রীতিমতো ত্রাসে পরিণত হতে পারে, সে গল্প-ই এখানে তুলে ধরা হয়েছে। কারো কাছে নন্দিত, আবার কারো কাছে নিন্দিত— একইসঙ্গে দুই বিপরীত ভূমিকাতেই তাকে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলবার মাধ্যমে ঔপন্যাসিক যে তার মুন্সিয়ানার পরিচয় রেখেছেন, তা আলাদা করে বলাই বাহুল্য।
গল্পের সূচনা হয় ফুলন নামক এক দুর্ধর্ষ নারী ডাকাতের দুর্ধর্ষতার গল্প দিয়ে৷ তারপর একে একে বিয়ে থেকে শুরু করে তার জীবনের প্রতিটি সংগ্রামের গল্প ঔপন্যাসিকের কলমের খোঁচায় উঠে আসতে থাকে। ভারতের উত্তর প্রদেশের জালৌন জেলার অন্তর্গত ঘোরা কা পুরয়া গ্রামের এক দরিদ্র পরিবার সন্তান ফুলন। দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ও পারিবারিক অপরাজনীতির কাছে হার মেনে কিছু বুঝে উঠবার আগেই মাত্র এগারো বছর বয়সে তাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। দুর্ভোগের শুরু সেখান থেকেই। একদিকে মদ্যপ স্বামীর শারীরিক নির্যাতন, অন্যদিকে উঠতে-বসতে সবসময় শাশুড়ির খোঁটা—এই দুয়ের সমন্বয়ে ফুলনের জীবন রীতিমতো দুর্বিষহ নরক যন্ত্রণায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয় না। তাতে বরং অত্যাচারের খড়গ আরো বহুগুণে ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে থাকে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে নিয়তির কাছে নীরবে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া আর কোনো পথ তার সামনে খোলা থাকে না। কিন্তু পিঠ একবার দেয়ালে ঠেকে গেলে নাকি মানুষ ঘুরে দাঁড়াতে বাধ্য বাধ্য হয়! ফুলনের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় না।
ইংরেজিতে একটা কথা আছে, "History repeats itself." অর্থাৎ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি অনিবার্য। আর ইতিহাস নিজেই সেটা করে থাকে। এই কথাটির সার্থক পুনরাবৃত্তি আমরা ফুলনের জীবনে দেখতে পাই। ঘোরা কা পুরয়া গ্রামের দরিদ্র দেবীদীন জাল্লার ছোট্ট মেয়েটি একদিন ঘটনাচক্রে ডাকাত দলে নাম লেখায়; হয়ে ওঠে দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দারনী ফুলন দেবী। তার চালানো একের পর এক লোমহর্ষক ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় খোদ ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের ভিত পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। শুরু হয় তার অন্য জীবন। একদিকে অবর্ণনীয় উপায়ে নির্যাতিত হবার গল্প, অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়াবার গল্প— এ দুইয়ের অপূর্ব সম্মেলনে উপন্যাসের গল্পটি আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এর পাশাপাশি দুর্ধর্ষ ডাকাত পরিচয়ের আড়ালে তার মানবতা ও প্রেমের গল্প এটিকে আলাদা এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গল্পের ধারাবাহিকতা ও রহস্যময়তায় এতো বেশি মোহিত হতে হয় যে কখনো কখনো এটাকে রীতিমতো শ্বাসরুদ্ধকর এক থ্রিলার উপন্যাস বলে মনে হবে পাঠকের।
এবার আসি উক্ত উপন্যাসের চরিত্র বিশ্লেষণ সংক্রান্ত আলোচনায়। সম্মানিত পাঠকের এতক্ষণে নিশ্চয়ই আর বুঝতে বাকি নেই যে, এই উপন্যাসের নাম ভূমিকায় কাকে রাখা হয়েছে? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন! ভারতের দস্যুরাণী ফুলন দেবীকে এই উপন্যাসে নাম ভূমিকায় রাখা হয়েছে। উপন্যাসের প্রধানতম চরিত্র হিসেবে তার জীবনের গল্প এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে। তরুণ ঔপন্যাসিক রবিউল করিম মৃদুলের লেখনীর জাদুতে ঐতিহাসিক সত্যতাকে ছাপিয়ে গিয়ে তার জীবনের গল্প হয়ে উঠেছে এক অনন্য উপাখ্যান। সাধারণ ঘরের জাল্লা বেটি থেকে একদিকে ধনাঢ্য লোকের নিদ্রা হরণকারিণী, অন্যদিকে হতদরিদ্র লোকের কাছে স্বর্গলোক থেকে নেমে আসা সাক্ষাৎ দেবী হয়ে ওঠার এই যাত্রা কিন্তু মোটেও সুখকর ছিল না। পদে পদে তাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে— কখনো পরিবারের সাথে, কখনো জগতের সাথে; আবার কখনোবা তার নিজের সাথেই! জীবনের শেষ মুহূর্ত অবধি সংগ্রাম করে যাওয়া এই নারী তার পাশে কোনো স্থায়ী সঙ্গীকে পায়নি কখনোই! সত্যি বলতে, পুরুষশাসিত সমাজে থেকেও একজন নারী (যাকে এখনো সবসময় অবলা বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়) যে এভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তা সত্যিই এক অকল্পনীয় ব্যাপার। কতটা অত্যাচার তাকে সহ্য করতে হয়, তা পুরো উপন্যাস পড়বার আগে কোনোভাবেই জানা সম্ভব নয়। একদিকে মানবতার মূর্তপ্রতীক, অন্যদিকে দুর্গতিনাশিনী রূপে আবির্ভূত এই নারীর জীবন উপাখ্যান পাঠের অভিযাত্রায় আপনাকে সু-স্বাগতম!
উক্ত চরিত্রের পাশাপাশি উপন্যাসে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের উপস্থিতি চোখে পড়ে। তার নাম বিক্রম, পুরো নাম বিক্রম মাল্লা। এ উপন্যাসের গল্পে তার প্রধান পরিচয় হচ্ছে, সে-ই ফুলনের জীবনের প্রথম পুরুষ, যাকে ফুলন মন থেকেই পতির আসনে বসিয়েছিল। ভালোবেসে তার হাতে সমর্পণ করেছিল নিজেকে। বিক্রম নিজেও তার যথার্থ প্রতিদান দিয়েছে। নিজ হাতে তিলে তিলে গড়ে তুলেছে ফুলনকে। বাইরের জগতের কাছে তার পরিচয় দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার হলেও ফুলনের কাছে সে এক যথার্থ প্রেমিক পুরুষ তথা জীবনসঙ্গী। পেশায় ডাকাত সর্দার হলেও নিজের সর্বস্ব দিয়ে রক্ষা করেছে ফুলনকে৷ ধর্মের আলখেল্লা পড়া ঠাকুররূপী সাক্ষাৎ শয়তান দলের কাম-লালসার শিকার হওয়া ফুলনকে দিয়েছে নিজের স্ত্রীর মর্যাদা। শুধু তাই নয়; সকলের সকল প্রকার কুদৃষ্টি থেকে রক্ষ রক্ষা করেছে নিজের বিয়ে করা বউকে। এর জন্য কখনো কখনো তাকে রক্তের হোলিখেলায় মাততে হয়েছে। কিন্তু তাতে কী? দুর্বল নারীকে অত্যাচারের মধ্যে যে বিশেষ কোনো বাহাদুরি নেই, সে কথাই বারবার প্রমাণিত হয়েছে বিক্রমের কর্মের মধ্য দিয়ে। এর পাশাপাশি বিক্রম নামক চরিত্রের মধ্যে এক মানবতাবাদী পুরুষের সন্ধান পাওয়া যায়। ডাকাতি করলেও তা শুধু নিজের ভোগ-বিলাসে ব্যবহারের পক্ষপাতী নয় সে। বরং তাকে সেগুলো বিলিয়ে দিতে দেখা যায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে। খাবার কিনে দিতে দেখা যায় অনাহারীকে। কন্যাদায়গ্রস্ত দরিদ্র পিতাকে রক্ষা করতে টাকার বাণ্ডেল নিয়ে হাজির হতে দেখা যায় বিক্রমকে। এক কথায়, আপন কর্মগুণে বিক্রম হয়ে ওঠে দারিদ্র্যের রক্ষাকর্তা। প্রসঙ্গত, উপন্যাসের এমন ঘটনাচক্র পড়ে পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের লেখা "সবার সুখে" শীর্ষক কবিতার লাইন বিশেষ স্মৃতির মানসপটে সযত্নে ভেসে ওঠে বারবার— ‘সবার সুখে হাসবো আমি কাঁদব সবার দুখে, নিজের খাবার বিলিয়ে দেব অনাহারীর মুখে।’
উপরোক্ত দুইটি প্রধানতম চরিত্র ছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের সার্থক চিত্রায়ন এই উপন্যাসে দেখা যায়। এসব চরিত্রের মধ্যে দেবীদীন, মায়াদীন, পুট্টিলাল ও তার মা প্রমুখের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। চরিত্রের কথা বলতে গিয়ে আমার বলা হলো না মুখোশ-আঁটা শয়তান শ্রী রাম ও তার ভাই লালারামের কাম-বাসনার কথা। বলা হলো না, সমাজের নানা অপবাদের ঝুড়ি নিয়ে মাথায় নিয়ে জীবন্মৃত অবস্থায় বেঁচে থাকা পবার বউয়ের বড়দি হয়ে ওঠার গল্প। অব্যক্ত রয়ে গেল ধর্মকর্মের আড়ালে বাবা মোস্তাকিমের ডাকাতির গল্প। এসব একেকটা গল্প একেকটা ভিন্ন ভিন্ন উপন্যাস। এসব নিয়ে বিস্তারিত লিখতে গেলে তার বিস্তৃতি ঠিক কোথায় গিয়ে যে ঠেকবে, তা কল্পনাতীত।
প্রসঙ্গত, উপন্যাসের সব চরিত্র হয়তো ইতিহাসের পাতায় খুঁজে পাওয়া যাবে না। সাহিত্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ঔপন্যাসিককে অনেক ক্ষেত্রেই কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়েছে। তবে সেসব কল্পনা কোথাও ঐতিহাসিক সত্যের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে উঠেছে কিনা, সেটাই মুখ্য বিবেচনার বিষয়। ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাসের গল্পে ইতিহাস খুঁজতে যাওয়াটাকে নিছক বোকামি বৈ আর কী বলা যেতে পারে?
চরিত্র বিশ্লেষণ নিয়ে কথা তো নেহাত কম হলো না! এবার তবে উপন্যাসের ভাষাশৈলী ও শব্দচয়ন নিয়ে কিছু বলবার চেষ্টা করা যাক! উপন্যাসটি মূলত প্রমিত ভাষারীতিতে রচিত হয়েছে। গল্পের প্রয়োজনে কোথাও কোথাও (বিশেষত সংলাপের ক্ষেত্রে) আঞ্চলিক ভাষার প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়। তবে এতে কোনো ধরনের সাংঘর্ষিক কোনো কিছু চোখে পড়ে না। মূল ভাবগাম্ভীর্যের সাথে সঙ্গতি রেখে আঞ্চলিক ভাষার যথার্থ প্রয়োগের ফলে উপন্যাসের ভাষাশৈলী আরো চমকপ্রদ হয়ে উঠেছে। শব্দচয়নের ক্ষেত্রেও যথেষ্ট বৈচিত্র্যতা একজন সচেতন পাঠকের নজর এড়ায় না কোনোভাবেই। উপন্যাসের গল্পের পাশাপাশি ঔপন্যাসিকের নিজস্ব জীবনবোধ ও উপমার সার্থক প্রয়োগে এতে এক আলাদা ব্যঞ্জনার সৃষ্টি হয়েছে। সর্বোপরি, পুরো উপন্যাসের শব্দচয়ন এক কথায় অসম্ভব রকম ভালো লাগবার মতো। ভাষার এমন অপূর্ব প্রয়োগ একজন পাঠককে ভীষণ ভাবে মোহগ্রস্ত করে রাখবে। এ ব্যাপারে অন্য পাঠকেরাও আমার সাথে একমত হবেন বলে আমার বিশ্বাস।
উপরোক্ত বিষয়গুলো বইটির প্রতি ভালোলাগা যেমন বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে, তেমনি কিছু সামান্য ব্যাপার আশাভঙ্গের বেদনায় ভুগিয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মুদ্রণ জনিত কারণে প্রয়োজনীয় শব্দ বাক্য থেকে বাদ পড়তে দেখা গিয়েছে। এসব ভুলত্রুটি মুদ্রণজনিত হলেও তা অনেক ক্ষেত্রে পুরো বাক্যের অর্থটাকেই বদলে দিয়েছে। এমন ভালো মানের সাহিত্যকর্মের ক্ষেত্রে এমন ভুল যেন ভবিষ্যতে আর না হয়, এর বেশি কিছু চাই না একজন সচেতন পাঠক হিসেবে। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে যথাযথ নজর দিবেন। এছাড়া আমাদের দেশের সমাজ বাস্তবতা অনুযায়ী বেড়ে ওঠা বিশেষ শ্রেণীর পাঠক মহলের কাছে (সবার কাছে না) গালিগালাজ ও যৌন জীবনের বিবরণ কতটা গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে, সে প্রশ্ন কিছুটা হলেও রয়েই যায়। কেননা, তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল এ দেশে এখনো যৌনশিক্ষাকে এক ট্যাবু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নারী শুধু পুরুষের যৌনক্ষুধা নিবারণকারিণী নয়; মৃতপ্রায় সমাজের জন্য নারী হয়ে উঠুক এক নব-সঞ্জীবনী। আর এটাই হোক "ফুলন" এর শিক্ষা!
বই সম্পর্কিত তথ্য- বইয়ের নাম: ফুলন লেখক: রবিউল করিম মৃদুল বইয়ের ধরন: ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস প্রকাশনা: দেশ পাবলিকেশন্স প্রচ্ছদ: তৌহিন হাসান প্রথম প্রকাশ: একুশে গ্রন্থমেলা, ২০১৯ গায়ের মূল্য: ৪৪০ টাকা (২৫% ছাড়ে ৩৩০ টাকা)
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড