তানিয়া হাসান
ব্যথাতুর বনসাই
রৌদ্রস্নাত সকালেও মেঘের প্রতি আহ্বান তোমার স্বভাব ছিল, রোদ-মেঘের খেলা দেখতাম আমি- কে হারে আর কে জিতে রাজ্যের শত অভিমান ঝরে পড়ত রাগচটা রক্তচক্ষুর বৃষ্টিতে।
অভিযোগের পথ মাড়িয়ে যেতে ছোট্ট প্রেম কুটিরে, আমার চোখে লুসাই পাহাড় যেন তোমার দাম্ভিকতায় ছিল গড়া।
একদিন মেঘে মেঘে ঘর্ষণে বজ্রপাত হলো খসে পরা তারার মতো তুমি ঝরে গেলে। এখন আর রোদ-মেঘ খেলা করে না প্রভাত কিংবা গোধূলি বেলায়। আমাদের সেই আলাপন আজ ব্যথাতুর বনসাই। কোথায় সেই মেঘ-বৃষ্টি খেলা কোথায় তুমি অভিরাজ আর সেই প্রেম প্রেম খেলা!
নিকষ আঁধার মন
প্রভাত পেরিয়ে নিত্যকার এই ভুবন সূর্যস্নানে সিক্ত হয় সোনালী রঙে সেজে উঠে প্রকৃতি, তুমিহীন আভায় বিন্দু বিন্দু নিকষ আঁধারে ঘিরে থাকে মনোরাজ্যের প্রাচীর।
পাহাড়-হৃদয়ের সুপ্তপ্রেম ঝর্ণার স্রোতে বিলায় নিমন্ত্রণ, তুমিহীন প্রেমের নৌকায় পাল তুলতে এসে ব্যর্থ হয়ে ফিরে শত কাণ্ডারি।
বনফুলে সুসজ্জিত অরণ্যেও সর্বঘ্রাণে মোহিত ভ্রমর মাতাল হয়ে পড়ে, তুমিহীন বৃন্দাবনে সুরভী পৌঁছে না।
পূর্ণিমাতে জোসনার কামজোয়ারে পৃথিবী হাসে কিন্তু তুমিহীন এ মন কভু হাসে না।
প্রেমকুঞ্জ
তাজমহল হয় তো করতে পারবো না খুব সাধ একটা প্রেমকুঞ্জ গড়ার, যেখানে উন্মুক্ত থাকবে প্রেমধর্মের উপাসনা- কপোত-কপোতীর তরে। যেথায় ধর্ম, বর্ণ, বয়সের ঊর্ধ্বে প্রণীত হবে নিঃস্বার্থ প্রেম-আইন, স্বীকৃতি পাবে সব অস্বীকৃত প্রেমের। নিবন্ধিত প্রেমের অবাধ বিচরণে প্রেমকুঞ্জ হবে প্রেমের অভয়ারণ্যে, যুগলের হাতে হাত, চোখে চোখ দেখে ফুলে ফুলে বসবে ভ্রমরের বাসর। প্রেমদেবির মধুর ওষ্ঠে দেবতার স্পর্শে পেয়ালায় পেয়ালায় বিলানো হবে হাউজে কাউসারের স্বর্গীয় শরাব। গোধূলিবেলায় স্নিগ্ধ-কোমল সূর্যতাপে বসবে প্রেমসভা, সকল প্রেমার্ত মানুষের থাকবে জলসায় অবাধ আমন্ত্রণ পূর্ণিমা নিশিতে ছাদ প্রান্তরে হবে জোসনার সাথে মধুময়তার উল্লাস। আকাশে বাতাসে কম্পিত স্লোগানে মুখরতা দেবে স্বর্গের ফেরেশতা— ‘জয় হোক প্রেম, জয় হোক প্রেমকুঞ্জ…’
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড