• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হুমায়ুন আজাদের বিখ্যাত পাঁচটি কবিতা

  সাহিত্য ডেস্ক

২৮ এপ্রিল ২০১৯, ১১:০৯
কবিতা
ছবি : বাংলাদেশের প্রধানতম প্রথাবিরোধী ও বহুমাত্রিক লেখক হুমায়ুন আজাদ

আমাদের মা

আমাদের মা গরিব প্রজার মত দাঁড়াতো বাবার সামনে, কথা বলতে গিয়ে কখনোই কথা শেষ ক’রে উঠতে পারতো না। আমাদের মাকে বাবার সামনে এমন তুচ্ছ দেখাতো যে মাকে আপনি বলার কথা আমাদের কোনোদিন মনেই হয়নি। আমাদের মা আমাদের থেকে বড় ছিলো,কিন্তু ছিলো আমাদের সমান। আমাদের মা ছিলো আমাদের শ্রেনীর,আমাদের বর্ণের,আমাদের গোত্রের। বাবা ছিলেন অনেকটা ‘আল্লার’ মতো, তার জ্যোতি দেখলে আমরা সেজদা দিতাম বাবা ছিলেন অনেকটা সিংহের মতো, তার গর্জনে আমরা কাঁপতে থাকতাম বাবা ছিলেন অনেকটা আড়িয়াল বিলের প্রচন্ড চিলের মতো, তার ছায়া দেখলেই মুরগির বাচ্চার মতো আমরা মায়ের ডানার নিচে লুকিয়ে পড়তাম। ছায়া সরে গেলে আবার বের হয়ে আকাশ দেখতাম। আমাদের মা ছিলো অশ্রুবিন্দু-দিনরাত টলমল করতো আমাদের মা ছিলো বনফুলের পাপড়ি;-সারাদিন ঝরে ঝরে পড়তো, আমাদের মা ছিলো ধানখেত-সোনা হয়ে দিকে দিকে বিছিয়ে থাকতো। আমাদের মা ছিলো দুধভাত তিন বেলা আমাদের পাতে ঘন হয়ে থাকতো। আমাদের মা ছিলো ছোট্টপুকুর-আমরা তাতে দিনরাত সাঁতার কাটতাম। আমাদের মার কোনো ব্যক্তিগত জীবন ছিলো কিনা আমরা জানি না। আমাদের মাকে আমি কখনো বাবার বাহুতে দেখি নি। আমি জানি না মাকে জড়িয়ে ধরে বাবা কখনো চুমু খেয়েছেন কি না চুমু খেলে মার ঠোঁট ওরকম শুকনো থাকতো না। আমরা ছোট ছিলাম, কিন্তু বছর বছর আমরা বড় হতে থাকি, আমাদের মা বড় ছিলো, কিন্তু বছর বছর মা ছোটো হতে থাকে। ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়ার সময়ও আমি ভয় পেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরতাম। সপ্তম শ্রেনীতে ওঠার পর ভয় পেয়ে মা একদিন আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমাদের মা দিন দিন ছোটো হতে থাকে আমাদের মা দিন দিন ভয় পেতে থাকে। আমাদের মা আর বনফুলের পাপড়ি নয়, সারাদিন ঝরে ঝরে পড়েনা আমাদের মা আর ধানখেত নয়, সোনা হয়ে বিছিয়ে থাকে না আমাদের মা আর দুধভাত নয়, আমরা আর দুধভাত পছন্দ করিনা আমাদের মা আর ছোট্ট পুকুর নয়, পুকুরে সাঁতার কাটতে আমরা কবে ভুলে গেছি। কিন্তু আমাদের মা আজো অশ্রুবিন্দু, গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত আমাদের মা আজো টলমল করে।

আমাকে ছেড়ে যাবার পর

আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর শুনেছি তুমি খুব কষ্টে আছো। তোমার খবরের জন্য যে আমি খুব ব্যাকুল, তা নয়। তবে ঢাকা খুবই ছোট্ট শহর। কারো কষ্টের কথা এখানে চাপা থাকে না।

শুনেছি আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর তুমি খুবই কষ্টে আছো। প্রত্যেক রাতে সেই ঘটনার পর নাকি আমাকে মনে পড়ে তোমার। পড়বেই তো, পৃথিবীতে সেই ঘটনা তুমি-আমি মিলেই তো প্রথম সৃষ্টি করেছিলাম।

যে-গাধাটার হাত ধরে তুমি আমাকে ছেড়ে গেলে সে নাকি এখনো তোমার একটি ভয়ংকর তিলেরই খবর পায় নি। ওই ভিসুভিয়াস থেকে কতটা লাভা ওঠে তা তো আমিই প্রথম আবিষ্কার করেছিলাম।

তুমি কি জানো না গাধারা কখনো অগ্নিগিরিতে চড়ে না? তোমার কানের লতিতে কতটা বিদ্যুৎ আছে, তা কি তুমি জানতে? আমিই তো প্রথম জানিয়েছিলাম ওই বিদ্যুতে দপ ক’রে জ্বলে উঠতে পারে মধ্যরাত। তুমি কি জানো না গাধারা বিদ্যুৎ সম্পর্কে কোনো খবরই রাখে না? আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর শুনেছি তুমি খুব কষ্টে আছো। যে-গাধাটার সাথে তুমি আমাকে ছেড়ে চ’লে গেলে সে নাকি ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শয্যাকক্ষে কোনো শারীরিক তাপের দরকার পড়ে না। আমি জানি তোমার কতোটা দরকার শারীরিক তাপ। গাধারা জানে না। আমিই তো খুঁজে বের করেছিলাম তোমার দুই বাহুমূলে লুকিয়ে আছে দু’টি ভয়ংকর ত্রিভুজ। সে- খবর পায় নি গাধাটা। গাধারা চিরকালই শারীরিক ও সব রকম জ্যামিতিতে খুবই মূর্খ হয়ে থাকে।

তোমার গাধাটা আবার একটু রাবীন্দ্রিক। তুমি যেখানে নিজের জমিতে চাষার অক্লান্ত নিড়ানো, চাষ, মই পছন্দ করো, সে নাকি আধ মিনিটের বেশি চষতে পারে না। গাধাটা জানে না চাষ আর গীতবিতানের মধ্যে দুস্তর পার্থক্য!

তুমি কেনো আমাকে ছেড়ে গিয়েছিলে? ভেবেছিলে গাড়ি, আর পাঁচতলা ভবন থাকলেই ওষ্ঠ থাকে, আলিঙ্গনের জন্য বাহু থাকে, আর রাত্রিকে মুখর করার জন্য থাকে সেই অনবদ্য অর্গান?

শুনেছি আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর তুমি খুবই কষ্টে আছো। আমি কিন্তু কষ্টে নেই; শুধু তোমার মুখের ছায়া কেঁপে উঠলে বুক জুড়ে রাতটা জেগেই কাটাই, বেশ লাগে, সম্ভবত বিশটির মতো সিগারেট বেশি খাই।

সেই কবে থেকে

সেই কবে থেকে জ্বলছি জ্ব’লে জ্ব’লে নিভে গেছি ব’লে তুমি দেখতে পাও নি।

সেই কবে থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বাতিস্তম্ভের মতো ভেঙে পড়েছি ব’লে তুমি লক্ষ্য করো নি।

সেই কবে থেকে ডাকছি ডাকতে ডাকতে স্বরতন্ত্রি ছিঁড়ে বোবা হয়ে গেছি ব’লে তুমি শুনতে পাও নি।

সেই কবে থেকে ফুটে আছি ফুটে ফুটে শাখা থেকে ঝ’রে গেছি ব’লে তুমি কখনো তোলো নি।

সেই কবে থেকে তাকিয়ে রয়েছি তাকিয়ে তাকিয়ে অন্ধ হয়ে গেছি ব’লে একবারো তোমাকে দেখি নি।

আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে

আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে। আমার খাদ্যে ছিল অন্যদের আঙুলের দাগ, আমার পানীয়তে ছিল অন্যদের জীবাণু, আমার বিশ্বাসে ছিল অন্যদের ব্যাপক দূষণ। আমি জন্মেছিলাম আমি বেড়ে উঠেছিলাম আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে। আমি দাঁড়াতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো, আমি হাঁটতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো, আমি পোশাক পরতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো ক’রে, আমি চুল আঁচড়াতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো ক’রে, আমি কথা বলতে শিখেছিলাম অন্যদের মতো। তারা আমাকে তাদের মতো করে দাঁড়াতে শিখিয়েছিলো, তারা আমাকে তাদের মতো করে হাঁটার আদেশ দিয়েছিলো, তারা আমাকে তাদের মতো করে পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছিলো, তারা আমাকে বাধ্য করেছিলো তাদের মতো করে চুল আঁচড়াতে, তারা আমার মুখে গুজে দিয়েছিলো তাদের দূষিত কথামালা। তারা আমাকে বাধ্য করেছিল তাদের মতো করে বাঁচতে। আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে। আমি আমার নিজস্ব ভঙ্গিতে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম, আমি পোশাক পরতে চেয়েছিলাম একান্ত আপন রীতিতে, আমি চুল আঁচড়াতে চেয়েছিলাম নিজের রীতিতে, আমি উচ্চারন করতে চেয়েছিলাম আন্তর মৌলিক মাতৃভাষা। আমি নিতে চেয়েছিলাম নিজের নিশ্বাস। আমি আহার করতে চেয়েছিলাম আমার একান্ত মৌলিক খাদ্য, আমি পান করতে চেয়েছিলাম আমার মৌলিক পানীয়। আমি ভুল সময়ে জন্মেছিলাম। আমার সময় তখনো আসে নি। আমি ভুল বৃক্ষে ফুটেছিলাম। আমার বৃক্ষ তখনো অঙ্কুরিত হয় নি। আমি ভুল নদীতে স্রোত হয়ে বয়েছিলাম। আমার মেঘ তখনো আকাশে জমে নি। আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে। আমি গান গাইতে চেয়েছিলাম আপন সুরে, ওরা আমার কন্ঠে পুরে দিতে চেয়েছিলো ওদের শ্যাওলা-পড়া সুর। আমি আমার মতো স্বপ্ন দেখতে চেয়েছিলাম, ওরা আমাকে বাধ্য করেছিলো ওদের মতো ময়লা-ধরা স্বপ্ন দেখতে। আমি আমার মতো দাঁড়াতে চেয়েছিলাম, ওরা আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলো ওদের মতো মাথা নিচু করে দাঁড়াতে। আমি আমার মতো কথা বলতে চেয়েছিলাম, ওরা আমার মুখে ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছিলো ওদের শব্দ ও বাক্যের আবর্জনা। আমি খুব ভেতরে ঢুকতে চেয়েছিলাম, ওরা আমাকে ওদের মতো করেই দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছিলো বাইরে। ওরা মুখে এক টুকরো বাসি মাংস পাওয়াকে বলতো সাফল্য, ওরা নতজানু হওয়াকে ভাবত গৌরব, ওরা পিঠের কুঁজকে মনে করতো পদক, ওরা গলার শেকলকে মনে করতো অমূল্য অলংকার। আমি মাংসের টুকরা থেকে দূরে ছিলাম। এটা ওদের সহ্য হয় নি। আমি নতজানু হওয়ার বদলে নিগ্রহকে বরণ করেছিলাম। এটা ওদের সহ্য হয় নি। আমি পিঠ কুঁজের বদলে বুকে ছুরিকাকে সাদর করেছিলাম। এটা ওদের সহ্য হয় নি। আমি গলার বদলে হাতেপায়ে শেকল পড়েছিলাম। এটা ওদের সহ্য হয় নি। আমি অন্যদের সময়ে বেঁচে ছিলাম। আমার সময় তখনো আসেনি। ওদের পুকুরে প্রথাগত মাছের কোনো অভাব ছিলো না, ওদের জমিতে অভাব ছিলো না প্রথাগত শস্য ও শব্জির, ওদের উদ্যানে ছিলো প্রথাগত পুষ্পের উল্লাস। আমি ওদের সময়ে আমার মতো দিঘি খুঁড়েছিলাম ব’লে আমার দিঘিতে পানি ওঠে নি। আমি ওদের সময়ে আমার মতো চাষ করেছিলাম ব’লে আমার জমিতে শস্য জন্মে নি। আমি ওদের সময়ে আমার মতো বাগান করতে চেয়েছিলাম ব’লে আমার ভবিষ্যতের বাগানে একটিও ফুল ফোটে নি। তখনো আমার দিঘির জন্য পানি উৎসারণের সময় আসে নি। তখনো আমার জমির জন্য নতুন ফসলের সময় আসে নি। তখনো আমার বাগানের জন্যে অভিনব ফুলের মরশুম আসে নি। আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে। আমার সবকিছু পর্যবসিত হয়েছে ভবিষ্যতের মতো ব্যর্থতায়, ওরা ভ’রে উঠেছে বর্তমানের মতো সাফল্যে। ওরা যে-ফুল তুলতে চেয়েছে, তা তুলে এনেছে নখ দিয়ে ছিঁড়েফেড়ে। আমি শুধু স্বপ্নে দেখেছি আশ্চর্য ফুল। ওরা যে-তরুণীকে জরিয়ে ধরতে চেয়েছে তাকে ধরেছে দস্যুর মতো। আমার তরুণীকে আমি জরিয়ে ধরেছি শুধু স্বপ্নে। ওরা যে-নারীকে কামনা করেছে, তাকে ওরা বধ করেছে বাহুতে চেপে। আমার নারীকে আমি পেয়েছি শুধু স্বপ্নে। চুম্বনে ওরা ব্যবহার করেছে নেকড়ের মতো দাঁত। আমি শুধু স্বপ্নে বাড়িয়েছি ওষ্ঠ। আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে। আমার চোখ যা দেখতে চেয়েছিলো, তা দেখতে পায় নি। তখনো আমার সময় আসে নি। আমার পা যে-পথে চলতে চেয়েছিলো, সে পথে চলতে পারে নি। তখনো আমার সময় আসে নি। আমার হৃদয় যা নিবেদন করতে চেয়েছিলো, তা নিবেদন করতে পারে নি। তখনো আমার সময় আসে নি। আমার কর্ণকুহর যে-সুর শুনতে চেয়েছিলো, তা শুনতে পায় নি। তখনো আমার সময় আসে নি। আমার ত্বক যার ছোঁয়া পেতে চেয়েছিলো, তার ছোঁয়া পায় নি। তখনো আমার সময় আসে নি। আমি যে পৃথিবীকে চেয়েছিলাম, তাকে আমি পাই নি। তখনো আমার সময় আসে নি। তখনো আমার সময় আসে নি। আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে।

আমার কুঁড়েঘরে

আমার কুঁড়েঘরে নেমেছে শীতকাল তুষার জ’মে আছে ঘরের মেঝে জুড়ে বরফ প’ড়ে আছে গভীর ঘন হয়ে পাশের নদী ভ’রে বরফ ঠেলে আর তুষার ভেঙে আর দু-ঠোঁটে রোদ নিয়ে আমার কুঁড়েঘরে এ-ঘন শীতে কেউ আসুক

আমার গ্রহ জুড়ে বিশাল মরুভূমি সবুজ পাতা নেই সোনালি লতা নেই শিশির কণা নেই ঘাসের শিখা নেই জলের রেখা নেই আমার মরুভূর গোপন কোনো কোণে একটু নীল হয়ে বাতাসে কেঁপে কেঁপে একটি শীষ আজ উঠুক

আমার গাছে গাছে আজ একটি কুঁড়ি নেই একটি পাতা নেই শুকনো ডালে ডালে বায়ুর ঘষা লেগে আগুন জ্ব’লে ওঠে তীব্র লেলিহান বাকল ছিঁড়েফেড়ে দুপুর ভেঙেচুরে আকাশ লাল ক’রে আমার গাছে আজ একটা ছোট ফুল ফুটুক

আমার এ-আকাশ ছড়িয়ে আছে ওই পাতটিনের মতো ধাতুর চোখ জ্বলে প্রখর জ্বালাময় সে-তাপে গ’লে পড়ে আমার দশদিক জল ও বায়ুহীন আমার আকাশের অদেখা দূর কোণে বৃষ্টিসকাতর একটু মেঘ আজ জমুক

আমার কুঁড়েঘরে নেমেছে শীতকাল তুষার জ’মে আছে ঘরের মেঝে জুড়ে বরফ প’ড়ে আছে গভীর ঘন হয়ে পাশের নদী ভ’রে বরফ ঠেলে আর তুষার ভেঙে আজ দু-ঠোঁটে রোদ নিয়ে আমার কুঁড়েঘরে এ-ঘন শীতে কেউ আসুক।

নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড