অরণ্য জামান
প্রিয়তমা, নীলাকাশে তুমি কালো মেঘের পালকে হেঁটে যাচ্ছো ধ্বংস, নিস্তব্ধতা এবং হাহাকার ওসব বহু আগেই আমাকে গিলে খেয়েছে। আগুনে জ্বালিয়ে জ্বালাপোড়াকে মেখেছি রক্তের সাথে অনেক আগেই তোমার দুটি হাত এখন তীব্র হিরোশিমা! আঘাতে আঘাতে ক্লান্ত করে দিয়েছে আমার বুক। সহস্র কোলাহলের ঘরে আমি খুঁজেছি তোমায় সব দিক থেকে উত্তর নিশ্চুপ, নিরুত্তরে তোমার লাশ। লাশ! বড় ভয়নাক শব্দ... কিন্তু তুমি লাশ কেনো হতে গেলে মায়বাতী? তোমার তো তীব্র বৃষ্টিতে আমাকে নিয়ে হাঁটার কথা ছিলো।
ছিলো কথা আরো অনেক... বলা না বলার সেই ডিকশনারিটা কি এখনো রেখেছো? নাকি ওরা সেটাও কেড়ে নিয়েছে? নববধূর মন খারাপ করা নিষেধ। মন খারাপে তাই চুয়াল্লিশ ধারা পড়াও, আন্দোলন কর, আবেগকে গুলি করো, আগুন ধরাও, জ্বালাও পোড়াও। জ্বালাও সুখকে তোমার লাশের প্রতি কানায় কানায়।
আর আমি এখানে বসে! বসে বসে তোমাকে দেখি, সব পিশাচগুলো তোমাকে গিলে খাচ্ছে তোমার হৃদয়ের ঐ নীল খামে তো আমি, মায়বাতী শুধু আমি। তাই আমিও ডুবে যাচ্ছি ভুলে যাচ্ছি কোনো এক কালে বেদনাকে রাইফেল পরিয়েছিলাম, গিরগিটির মতো ওরা এখন রঙ বদলে আমাকে আক্রমণ করছে একটি গুলি, তিন ব্যাগ বোম আর চার ব্যাগ শূন্যতায় আমি মরে যাচ্ছি মায়াবতী, আমি মরে যাচ্ছি। অসাড় হয়ে আসছে দেহ, বারুদ জ্বলছে মনে মুন্ডপাতহীন সেই জল্লাদকে ডেকেছি আজ, সব হিসেব চুকিয়ে নেবো।
এই অবেলায় মাখবো নাগাসাকির ধোঁয়া, দাউ দাউ করে জ্বলবে এই আমার স্মৃতি। তোমার ঘরের উঠোনের প্রতি কানায় কানায়, রক্ত ফুটবে, ছড়াবে গন্ধ। অন্ধ হবে সব অন্ধ, আমার অভিশাপে তোমাকে বন্দির অপরাধে এই তোমার- আমার ভালোবাসা হত্যার অপরাধে। আমি সুনীল, শরৎ সব ছুঁড়ে ফেলেছি, ওসব এখন দুই আনা দামে বাজারে বিক্রি করবো। আমি পরাজিত প্রিয়, আমি পরাজিত, নিস্তব মধুহীনতার তীব্র ঝড়ে ঝরে পড়ছে পড়ছে তো পড়ছেই এই জিন্দা লাশের তিন খণ্ড জড় দেহ।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড