রুদ্রাক্ষ রায়হান
জল ঘুঘু
তৃপ্তির পৃষ্ঠায় জমে থাকে কলসের জল আজকাল স্রোত নদী পুষে রাখে প্রাচীন পলল প্রপঞ্চের দিন শেষে সূর্যকে ফাঁসি দিয়ে দাও।
আগুনের বুকে পিঠে আন্দাজে আদর মাখাও পাখি তার পোষা বুকে নাক ঘসে বলে দিলো আহ আহ্লাদী সুর তুলে নরকের মেঠোপথে যাও।
আমি, এক নিন্দুক আলোর খবর জানি পুস্পেরা মরে গেলে ভোর ডেকে আলো আনে কে? আমি যাই মাসকাটা নদী কাল ডেকেছে আমাকে।
ঘর জানালা
প্রকৃতিরা জানেনা অঙ্কের হিসেব নিকেশ তিন ঘর দূরে থাকে বালিকা রোজ সন্ধ্যায় প্রকৃতির নামতা পড়তে যায়।
একটি সূর্যকিরণের দুপুরের কথা, গামলায় জল তারপর সূর্যের গ্রাস হওয়ার অপেক্ষা ক্ষয়িষ্ণু বউদিরা আঁধিয়ারে চন্দ্রগ্রহণ দেখে।
উর্বশী পথগুলো নেচে ওঠে ঘুমের ভেতর হ্রেষায় মুখরিত দশদিকে নতুন কোরাস তবু কেউ চুপ থেকে শিখে নেয় সনাতন পাঠ।
পক্ষপাত
ত্রস্ত বৃক্ষরা জানে, কতটুকু ঝড় এলে উড়ে যায় শেকড়ের বান নোনা স্রোত সাঁতরালে কতক্ষণ টিকে রয় মিঠা জল মাছের পরান নদী জানে!
নিকৃষ্ট আলোর তেজ কিভাবে লুটে নিচ্ছে নরম আঁধার তার কৈফিয়ত কখনো সূর্যের কাছে চায়নি রাত্রিরা কর্কশ আলোয় রতিগামী পাখির কোন কাজ নেই!
হরিৎ পাতার দিনে বাসন্তী সময় কাছে নেই মানুষের কট্টর পক্ষপাতে দিন জিতে যায়, তবুও সুখ মানে মাঝ আঁধারে নিরিবিলি পেঁচা পাখির গান।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড