অধিকার ডেস্ক ২৮ মার্চ ২০১৯, ১১:১২
‘এখুনি ঝড় উঠবে। ঝড় উঠতে দেরি নেই। তবু সেই দুঃসাহসী ঝড়ো পাখি বিদ্যুতের ভিড়ে, গর্জমান উত্তাল সমুদ্রের ওপর দিয়ে দীপ্ত পাখসাটে উড়ে চলে। তার চিত্কারে পুলকিত প্রতিধ্বনি ওঠে, চূড়ান্ত জয়ের ভবিষ্যদ্বাণীর সমস্ত ভীষণতা নিয়ে ভেঙে পড়ুক, ঝড় ভেঙে পড়ুক।’
বিশ্বসাহিত্য অঙ্গনে নিজের লেখনী শক্তির মাধ্যমে উনিশ শতকের শুরু দিকে যে কয়েকজন সাহিত্যিক আলোড়ন তুলতে সক্ষম হন তাঁদের ভিতর অন্যতম ম্যাক্সিম গোর্কি। তাঁর সাথে প্রথম পরিচয় ঘটে ‘মা’ উপন্যাসের মাধ্যমে। তখনো তাঁর সম্পর্কে তেমন কিছুই জানা ছিলো না। উপন্যাসের গভীরে যেতে যেতে লেখকের সাথে একটি নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে। মা ও ছেলের সম্পর্ক উপজীব্য করে লিখিত সত্যস্পর্শী এবং জীবন থেকে উপন্যাসটি বিশ্বের প্রায় প্রতিটি ভাষায় অনুদিত হয়। বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী এই লেখকের আজ জন্মদিন।
তিনি ১৮৬৮ সালের ২৮ মার্চ রাশিয়ার তাঁর মামার বাড়ি নিজনি নভোগরোদ শহরে জন্মগ্রহণ করেরে। তিনি ছিলেন রুশ ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, রাজনৈতিক লেখকও। জন্মকালে পিতৃপ্রদত্ত নাম ছিলো আলেক্সেই মাক্সিমোভিচ পেশকভ। এই নাম মুছে বিশ্বসাহিত্যে পরিচিত হন ম্যাক্সিম গোর্কি নামে।
তিনি মাত্র ৯ বছর বয়সে পিতৃমাতৃহীন হন। ১৮৮০ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি তার দাদীমাকে খুঁজতে গৃহ ত্যাগ করেন। ১৮৮৭ সালে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান এবং দীর্ঘ ৫ বছর ধরে পায়ে হেঁটে সমগ্র রাশিয়া ভ্রমণ করেন।
ম্যাক্সিম গোর্কির প্রথম দিকের গল্পগুলোতে সাধারণ রোমান্টিকতা থাকলেও পরবর্তীতে গল্পের বিষবস্তু এবং উপস্থাপনা শৈলী বিভিন্ন রূপ নিতে থাকে। দেখা যায়, সমকালীন বাস্তবতা, সমাজের নিচুতলার মানুষই তাঁর গল্পের উপজীব্য বিষয়। মূলত প্রথম দিকে তিনি লিখতেন প্রথাগত নিয়মে। তাঁর অন্যান্য গল্পগন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ‘মানুষের জন্ম’, ‘বুড়ি ইজরেগিল’ ‘চেলকাশ’, ‘কনভালভ’, ‘বোলেসস্নভ‘, ‘ঝড়োপাখির গান’সহ অন্যান্য।
বিশ্বসাহিত্যের প্রতিভাধর লেখক ৬৮ বছর বয়সে ১৯৩৬ সালের ১৮ জুন রাশিয়ার রাজধানী মস্কে মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র- ইন্টারনেট
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড