অজিত দাশ
আমাকে পালাতে হবে একাই
আমাকে পালাতে হবে একাই। প্রাগৈতিহাসিক জন্তুর মতো তোমার আঁচল থেকে বেরিয়ে আসা মাতৃস্পর্শ এখনও হামগুড়ি দেয় বুকের উপরে-সে জন্য আকাশ খুঁড়ে, পাতাল খুঁড়ে, মাটির ইঞ্চি-ইঞ্চি খুঁড়ে তোমাকে খুঁজে পেতে চাই। উনুনে অন্ধকারে তোমার ফেলে যাওয়া ছায়ার নিস্তব্ধতায় দাঁড়িয়ে গোপনে বলতে চাই তোমার কানে কানে-টুটুলদের উঠানে পাতার ফাঁক দিয়ে লুকিয়ে পড়া আমের মতো এখনো গাল পেতে শুয়ে থাকে বাবা আর রৌদ্রের এক এক চিলতে ছায়ার মাদুরে এখানে ওখানে ছড়ানো থাকে তোমার চুমোর শব্দ।
জলরং
একদিন তুমিও শুনবে পাতার গভীর নেমে ঘরফেরতা পাখিদের মুখে কোনো মৃত্যুর খবর! জ্যান্ত রহস্য যেন বয়ে যাবে এখানে ওখানে এক অন্ধকার আরেক অন্ধকারের গায়ে বিছিয়ে দেবে জলরং-মাটির আচঁল ছিড়ে বের হওয়া শোকের অঙ্কুরে শোনা যাবে-পাখির ঝাপট, সমুদ্র-শঙ্খের ডাক।
তোমার দিকে নুয়ে
আমি তো ছিলাম তোমার দিকে নুয়ে জলের মতো ভেঙ্গে ভেঙ্গে ঢেউয়ে বাঁধা হেলেঞ্চার পাতা যেনো- ফিরে গেলাম, আমারই আসল দুঃখ পরিধান করে। অথচ কী সব অস্ফুট ডালপালা ছেলেখেলার দিন, স্মৃতিবাদ্য রয়ে গেছে তোমার গভীরে ।
স্তব্ধ হও
কেউ একজন আসছে টগবগিয়ে নিষিদ্ধ খুড়ের আওয়াজে-তাকে গিয়ে বলো, ‘পৃথিবীর অসুখ হলে পরে আরেকবার এসো। এখন ফিরে তাকাও এই ধুলোর ঘূর্ণি থেকে-স্তব্ধ হও, নি:সঙ্গ সাক্ষীর মতো পান করো ঘরপালানো বাতাস।’
পাতার ব্যারিকেড
দুটো পাতার ব্যারিকেড ঠেলে ঘাসপথে যে ছায়া টুপটুপ করে ঝরে আমি কি তাদের চিনি? গত জন্মে যে কথা ভুলে গিয়েছি আজ তারা পথ আগলে দাঁড়িয়েছে জলের মতো ঝড়বে বলে, আমাকে সাবধান করে বলতে এসেছে আর এক পা এগুবে না-সামনে কোলাহল এ জন্মের ঋণ শোধ কর-এই মুহূর্তে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড