অনুবাদক : মোস্তফা তোফায়েল
আলাপচারিতার উপযুক্ত সময়
একজন বন্ধু যদি ডাক দেয় রাস্তা থেকে হেঁকে, থামিয়ে ঘোড়াটি তার, ধীরে ধীরে, আলাপী ভঙ্গিতে, নিড়ানি থামিয়ে আমি পাহাড়ের চারিদিকে চেয়ে ক্ষতি হয়ে গেল কাজে আফসোসে সে জায়গা থেকে দেই না সজোরে হাঁক, ‘কী হে বন্ধু, কার খোঁজ নিতে চলেছ কোথায়?’ বরং এ-আলাপ কাল হাতে পেয়ে হাতের নিড়ানি ধরে উল্টোদিক, চাপ দেই জোড়ে, পাঁচ ফুট দীর্ঘ সে-নিড়ানিটা দেই খাড়া পুঁতে। দ্রুত পায়ে হেঁটে যাই থপ্ থপ্ হৃদ্যতার ঘোরে, পথ পাশে উঁচু খাড়া দেয়ালটা তড়িঘড়ি ছুঁতে।
জন্মস্থান
যে কোনো স্বপ্নের চেয়ে বহু বেশি উচ্চতায় গিয়ে এখানে এ-জায়গায়, পাহাড়ের ঢাল বেছে নিয়ে আমাদের বাবাজান ঘিরে দেন শেকলের বেড়া; ঘাসদের বেড়ে-ওঠা, মাটির বৃদ্ধির সাথে সাথে দিলেন থামিয়ে তিনি শক্তভাবে, খোদ নিজ হাতে। আমাদের ক‘জনের জীবনকে পৃথিবীতে এনে বাড়তে দিলেন তিনি আমাদের, তার রীতি মেনে। আমরা ছিলাম বেশ, ছেলেমেয়ে ডজনখানেক, মনে হলো, পাহাড়টা এইসব মেনেছে অনেক। আমাদের জীবনের স্পন্দন সে করেছে লালন। কিছুকাল অবশ্যই হাসিমুখে করেছে পালন। ভুলে গেছে, ভুলে গেছে আজকে সে, নাম আমাদের (মেয়েরা তো সত্যি সত্যি কোনোদিন স্বনাম তাদের রাখে না কখনো ধরে; বদলায় ভিন্ন পরিবেশে।) হাঁটু দিয়ে ধাক্কা মেরে পাঠিয়ে দিয়েছে অন্য দেশে সে-পাহাড় আমাদের; পরিবর্তে বহু গাছপালা কোলে তার খেলা করে ভরে দিয়ে আনন্দের ডালা।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড